ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নেপালকে হারিয়ে গ্রুপসেরা বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৩ অক্টোবর ২০১৮

নেপালকে হারিয়ে গ্রুপসেরা বাংলাদেশ

রুমেল খান ॥ চারটি ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপটি পেরনো গেছে খুব ভালভাবেই। তবে দ্বিতীয়টি পেরতে বেগ পেতে হয়েছে। সেই ধাপের নাম নেপাল। মঙ্গলবার ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামের টার্ফে তাদের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। হিমালয়কন্যাদের ২-১ গোলে হারিয়ে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো বঙ্গকন্যারা। আগামী ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ ভুটান। একইদিনে প্রথম সেমিতে ভারতের মুখোমুখি হবে নেপাল। এর আগে দু’দল সাফ অনুর্ধ-১৮ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ চারে নাম লিখিয়ে ফেলেছিল এক ম্যাচ হাতে রেখেই। ফলে মঙ্গলবারের ম্যাচটি ছিল মর্যাদার এবং গ্রুপসেরা নির্ধারণীর। সেক্ষেত্রে তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল লাল-সবুজবাহিনী। ম্যাচে কমপক্ষে ড্র করলেই চলতো তাদের। পক্ষান্তরে জয়ের বিকল্প ছিল না হিমালয়কন্যাদের। শেষ পর্যন্ত ড্র নয়, কষ্টার্জিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলার বাঘিনীরা। ম্যাচের প্রথমার্ধে বিজয়ী দল এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। মজার ব্যাপারÑ প্রায় দেড় মাসের ব্যবধানে একই মাঠে একই দেশের বিরুদ্ধে একই পরিস্থিতিতে ভিন্ন টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয় গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যারা। ১৩ আগস্ট এই মাঠেই সাফ অনুর্ধ-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপপর্বে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলার বাঘিনীরা। ওই ম্যাচটি জিতেই গ্রুপসেরা হবার পাশাপাশি সেমিতে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে অনুর্ধ-১৮ দলও। আরও মজার ব্যাপার অনুর্থ-১৫ আসরের মতো অনুর্ধ-১৮ আসরেও বাংলাদেশের সেমির প্রতিপক্ষ ভুটান। এই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। যে কোন লেভেলের ফুটবলে এটাই বাংলাদেশের মেয়েদের সবচেয়ে বড় জয়। একই দলকে আবার নেপাল হারিয়েছে ১২-০ গোলে। ফলে নেপালের মতো সমান পয়েন্ট হলেও গোল তফাতে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশই। কাজেই মঙ্গলবারের ম্যাচে তাদের সঙ্গে ন্যূনতম ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারতো তারা। মঙ্গলবারের ম্যাচে জিতলেও মন ভরাতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। গোল দুটি তারা পেয়েছে অনেকটা ভাগ্যক্রমেই, নেপালী ডিফেন্ডারদের ভুলে। ১৬ মিনিটে কৃষ্ণা রানী সরকার এবং ৩২ মিনিটে সিরাত জাহান স্বপ্নার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। ৪১ মিনিটে কৃষ্ণাকে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু তা থেকে গোল করতে পারেনি শামসুন্নাহার সিনিয়র। পোস্টের বাইরে শট মেরে বসে সে। নেপাল হারলেও বেশ গতিশীল ও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পায়নি। খেলা শেষ হতে যখন মাত্র কয়েক সেকেন্ড বাকি তখন ভাগ্যক্রমে এবং বাংলাদেশী রক্ষণভাগের ভুলে একটি সান্ত¡নার গোল পরিশোধ করে। ইনজুরি সময়ে (৯০+২ মিনিটে) রেশমী কুমারী শিসিং গোলটি করে। ওই গোলে বাংলাদেশ শিবিরে ভয়ের কাঁপন ধরালেও পর মূহূর্তেই রেফারি খেলা শেষের বাঁশি বাজালে স্বস্তির-কষ্টের জয় নিয়ে অপরাজিত গ্রুপসেরা হয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলার বাঘিনীরা।
×