ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিন্দু বিসর্গ’ নেপথ্যের নায়ক বিশ্বজিৎ গোস্বামী

প্রকাশিত: ০৭:৩৩, ২ অক্টোবর ২০১৮

‘বিন্দু বিসর্গ’ নেপথ্যের নায়ক বিশ্বজিৎ গোস্বামী

ডি-প্রজন্ম : জন্ম, বেড়ে ওঠা, পরিবার, শিক্ষা... বিশ্বজিৎ : জন্ম নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানায় ১৯৮১ সালে। ওখানেই বড় হওয়া। ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতিক পরিম-লে বেড়ে উঠেছি। বাবা বিদ্যুৎ গোস্বামী ছিলেন একজন শিল্পী। মা রমা গোস্বামী গৃহিণী। দাদু মনোরঞ্জন গোস্বামী কংগ্রেসের রাজনীতি করতেন। পড়েছিলেন শান্তিনিকেতনে। মনসিকতায় ছিলেন প্রগতিশীল। উনি পরিবারের সকলকে এমনভাবে তৈরি করতেন যেখানে কেউ গান করছে, কেউ তবলা বাজাচ্ছে, কেউ নাচ করছে, কেউ ছবি আঁকছে। স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকেই ছবি আঁকার প্রতি আমার তীব্র ঝোঁক ছিল। স্কুল ব্যাগে ছবি আঁকার সামগ্রী নিয়ে যেতাম স্কুলে। শিক্ষকরা অবাক হয়ে বলতেন, ‘ও পড়তে এসেছে নাকি ছবি আঁকতে’? পড়তাম কম। ঘুরতাম বেশি। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতাম। সহপাঠিই নয়, সিনিয়র ভাই, শিক্ষকরাও ছিল আমার বন্ধু। মুক্তস্বর করতাম। দেয়ালিকা, ক্রস গান নিয়ে আমরা জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এসেছি। আমি মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং মোহনগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ২০০০ সালে চারুকলায় ভর্তি হই। চারুকলায় পড়ার জন্য আমাকে পরিকল্পনা করেই এগোতে হয়েছে। পরিবারের চাওয়া ছিল আমি বুয়েট থেকে আর্কিটেকচারে পড়ব। বুয়েটে ভর্তির প্রস্তুতি হিসেবে এক ভাইয়ের কাছে পড়তে দেয়া হয় আমাকে। তিনি আমার ইচ্ছের কথা জেনে বলেন, ‘যেহেতু তুমি মন থেকে স্থির করেছ চারুকলায় পড়বে। তুমি ওখানেই পরীক্ষা দাও শিল্পী হও’। চারুকলাতে অনেক এ্যাকটিভ ছিলাম। এরপর শান্তি নিকেতন থেকে পেইন্টিং-এ মাস্টার্স করি। এছাড়া ফরেন ক্যাজুয়াল প্রিন্টিং এ পড়ি। ডি-প্রজন্ম : শান্তিনিকেতন আর আমাদের দেশীয় পাঠ্যসূচীর মধ্যে মিল অমিল... বিশ্বজিৎ : মিল-অমিল দুটোই আছে। আমরা অনেক রকম এ্যাকটিভিটিস্ করি। যেমন, পহেলা বৈশাখের মতো বড় একটা মেলা। সে রকম শান্তিকেতনে হয় দোল, পৌষ মেলা, নন্দন মেলা। এগুলো এক ধরনের কোলাবোরেটিং প্রসেস। যেগুলো ওখানে বেশি হয়। কিছু হলেÑ ‘আমরা করব, আমি না,’ এই কনসেপ্ট থেকেই রবি ঠাকুর গড়ে তুলেছিলেন শান্তিনিকেতন। মানুষই সব, প্রকৃতি হচ্ছে সর্বময় শক্তি, ক্ষমতা। এ বিষয়গুলো ওখানে অনেক বেশি। যা অনুভব করতে হয়, যিনি এটা অনুভব করতে পারেন সে ওখান থেকে তার হৃদয়ের খোরাক পেয়ে যায়। আমাদের পরীক্ষা দিতে হয় বেশি। বেশি মার্কসের জন্য পাঠ্যসূচীর মধ্যে আবদ্ধ রাখতে হয় নিজেকে। ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হতেই হবে। ওখানে বিষয়টি পড়া, দেখা, বোঝা এবং অনুভবের উপর ছেড়ে দেয়া হয়। ওখানে একটা সাব মিশনে ভাল-মন্দ যাচাই করে বিচার করা হয়। ডি-প্রজন্ম : একজন ভাল শিল্পী হওয়ার জন্য কোন কোন বিষয়গুলো প্রয়োজনীয়... বিশ্বজিৎ : সবার আগে দরকার একটা উন্মুক্ত পরিবেশ। যে পরিবেশ থেকে সমস্ত এলিমেন্টস্ নিয়ে বিকশিত হবে ভাবনার জগত। সেখানে মানব হৃদয়কে বিকশিত করে এমন সব ম্যাটেরিয়ালস্ থাকবে যা সে নিতে পারে যেমন, সাহিত্য-সঙ্গীত-নাট্যচর্চা। কেউ শিল্পী হবে কি হবে না তা পরের কথা। জীবন বোধটাই সর্বাগ্রে। একটাই জীবন। ক্ষুদ্র এই জীবনে আমাদের সন্ধান করতে হবে সত্যিকারের আনন্দের। ডি-প্রজন্ম : আপনার শিল্পী হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা... বিশ্বজিৎ : পরিবার, পরিবেশ তো আছেই। এরপর বাবা। আমাদের এলাকার বড় ভাই মশিউর রহমান রানা। যিনি চারুকলায় পড়তেন। বর্তমানে এ্যানিমেশন নিয়ে মালয়েশিয়ায় কাজ করছেন। উনি এ বিষয় আমার ভাবনার দ্বার উন্মেচন করেছেন। মনেপ্রাণে চাইতেন আমি শিল্পী হয়ে উঠি। তার অবদান কখনই ভুলবার নয়। ডি-প্রজন্ম : একজন শিল্পীর কী ধরনের গুণাবলী থাকা উচিত বলে আপনি মনে করেন... বিশ্বজিৎ : শিল্পী ভেদে গুণাবলী ভিন্ন হয়। তবুও কমন কিছু কোয়ালিটি আছে যেগুলো থাকা আবশ্যক। যেমন, আবেগ। রিয়েল আবেগ না থাকলে এ্যাটাচম্যান হওয়াটা কষ্টকর। থাকতে হবে ভাবনার সততা। অর্থাৎ নিজের কাছে স্বচ্ছ হতে হবে যে, ভাবনাগুলো আমার ভেতর থেকে আসছে কিনা। সুন্দরকে, নতুনকে গ্রহণের মানসিকতা। সামান্যে নয় বিশালতা খোঁজার প্রবণতা। ডি-প্রজন্ম : শিল্পী এবং শিক্ষক জায়গা দুটিকে আপনি কিভাবে দেখেন? বিশ্বজিৎ : জায়গা দুটি অনেক সময় কনফ্লিক্ট করে। কাজ করার, ভাববার, সামনে এগোবার ক্ষেত্রে প্রত্যেক শিল্পীরই নিজেস্ব একটা দর্শন থাকে। শিক্ষকের দর্শন আবার ভিন্ন। তখন ভাবনার বিষয়টি হচ্ছে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কিভাবে ভাববে, কাজ করবে। আমার কনসেপ্ট নিয়েই যে তারা কাজ করবে তা কিন্তু নয়। খেয়াল রাখতে হবে ওদের স্কিলিং এর প্রতি। গুরুত্ব দিতে হবে ওদের মোটিভেশনে। কেউ পরীক্ষার নম্বরে হয়ত পিছিয়ে কিন্তু অন্য কোন বিষয়ে অনেক ভাল। তার সে গুণ সঙ্গে নিয়ে তাকে এগিয়ে যাবার জন্য উৎসাহ দিতে হবে। ডি-প্রজন্ম : সহিত্য ও শৈল্পিক মননশীলতার জন্য যা আবশ্যক... বিশ্বজিৎ : উন্নত সভ্যতা তখনই হয় যখন মানুষ চা খেতে খেতে শিল্প, শিক্ষা, রাজনীতি নিয়ে কথা বলে। আমাদের সেটা হয় না। আর হলেও তা গসিপের মধ্যে থেকে যায়। উন্নত চিন্তা আর সঠিক সমালোচনা রয়ে যায় দূরে। সভ্যতা টিকে আছে শিল্প, সাহিত্য, আর স্থাপত্য দিয়ে। এর জন্য আমাদের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যেহেতু কাজের জন্য বিভিন্ন দেশে যেতে হয়েছে তাই উন্নত দেশগুলোর বর্তমান অবস্থান, জীবনবোধ, এ বিষয়ে তাদের ভাবনা নিয়ে কিছুটা হলেও জানবার সুযোগ হয়েছে আমার। সেক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা অনেক। সেগুলোকে অন্যভাবে পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে। থাকতে হবে প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, উদার, নৈতিক মানসিকতা। হতে হবে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। ডি-প্রজন্ম : বিন্দু বিসর্গের পরিকল্পণা... বিশ্বজিৎ : আমার প্রথম কিউরেটোরিয়াল প্রজেক্ট ‘বৃহত্ত্ব’। এটি ২০১৭ সালে অবিন্তা গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয় ৪ মাসব্যাপী। শিল্পকলার মহাপরিচালক, এশিয়ান বিনিয়ালের ন্যাশনাল কমিটিতে যারা রয়েছেন তারা অনেকেই ‘বৃহত্ত্ব’ এ গিয়েছেন। কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করেছেন। তাদের ধারণা এটা আরও বেশি হওয়া দরকার। তারাই আমাকে এ কাজটির জন্য আমন্ত্রণ করেছেন। ডি-প্রজন্ম : ‘বিন্দু বিসর্গ’- নামটির তাৎপর্য... বিশ্বজিৎ : ‘বিন্দু বিসর্গ’র বিন্দু হচ্ছে এখানকার প্রত্যেক তরুণ শিল্পী। আর আমরা হচ্ছি বিসর্গ। বিসর্গ বর্ণমালার এমন একটি বর্ণ যা নিজে কোন শব্দ ক্রিয়েট করে না। কিন্তু শব্দ ক্রিয়েট করতে সহায়তা করে। আমাদের ওই জায়গা থেকে চিন্তা করতে হবে। আমরা যারা চারুকলায়, শিল্পকলায় আছি, যারা শিক্ষক, বাবা-মা আমাদের হতে হবে বিসর্গ। সন্তানরা যখন আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে তখন আমরাই গর্ববোধ করব। এই বিন্দুই একদিন পরিণত হবে সিন্ধুতে। ডি-প্রজন্ম : শিল্পী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলোর উপর বেশি প্রাধান্য দিয়েছিলেন? বিশ্বজিৎ : বলতে গেলে সারা বাংলাদেশ থেকে ফিল্টারিং করে আমি এই ১১ জনকে সিলেক্ট করেছি। বৃহত্ত্ব’র বেলায় প্রথমে অন লাইনে ওপেন কল করি। ৮০টির বেশি আবেদন থেকে ৩০ জনকে সিলেক্ট করে, মুখোমুখি বসে তাদের ভাবনা, ইন্সপিরিয়েশন বোঝার চেষ্টা করেছি। তার মধ্যে ১১ জন কে নির্বাচন করা হয়। এটা যেহেতু একটা টিম ওয়ার্ক। তাই আমার নির্ধারিত ভিজুয়াল ইমাজিনেশন মাথায় রেখেই সিলেক্ট করি। আমি প্রথমে ওদেরকে লামাতে প্রকৃতির কাছে নিয়ে যাই। সেখানে সাপোর্ট করে বন্ধু নুসরাত। ওদের বলেছি তোমরা প্রকৃতির অপরূপ শোভা অবলোকন কর। উপভোগ কর। ইনহেল কর। বোঝ প্রকৃতি কত সুন্দরভাবে শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রতিনিয়ত নিঃস্বার্থভাবে আমাদের কতকিছু দিয়ে চলেছে। ফিরে এসে ওগুলোকে নিজের মতো ট্রান্সফর্ম করে শিল্পে রূপান্তর করতে বলি। ‘বৃহত্ত্ব’ থেকে বেছে নেয়া ছয় জনের সঙ্গে নতুন পাঁচজন যোগ হয়েছে বিন্দু বিসর্গে। ডি-প্রজন্ম : কিউরেটরিয়াল প্রজেক্ট নিয়ে সামনে কোন নতুন পরিকল্পনা... বিশ্বজিৎ : নতুনদের নিয়ে আরও বড় পরিসরে কাজ করার জন্য সামনে একটা প্ল্যাটফর্ম ক্রিয়েট করার চেষ্টা করছি। গুরুজন, সিনিয়রদের কাছ থেকে পাওয়া উৎসাহ আমাদের আরও বেশি উদ্যমী করে তুলেছে। স্যার যোগেন চৌধুরীর মতো গুণী শিল্পী এই প্রজেক্ট দেখে আপ্লুত হয়ে বলেছেন, ‘এ রকমভাবেই আমাদের এগুনো উচিত। তুমি যদি গ্রুপ কর আমি তোমাদের এ্যাডভাইজার হব।’ ডি-প্রজন্ম : তরুণদের নিয়ে কাজের উদ্দেশ্য... বিশ্বজিৎ : তরুণরাই তো আমাদের ভবিষ্যত, তাদের সম্ভাবনা আছে। এদের পরিশিলিতভাবে অনেক দূর নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তারুণ্য গতির প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ধার করে বলি, গতিতেই জীবন, স্থিতিতেই মরণ। এ পৃথিবীর সব বড় বড় আন্দোলন, পরিবর্তন তরুণরাই করেছে। শিল্প সৃষ্টির জন্য অভিজ্ঞতাই সব নয়, চাই স্বপ্ন- চাই উন্মাদনা, যেটা তরুণদের আছে। তাদের প্রয়োজন সামান্য সুযোগের। আমার সাধ্যের মধ্যে আমি তাদের জন্য সেই সুযোগটুকু তৈরি করে দিতে চেয়েছি। ডি-প্রজন্ম : একজন শিল্পীর জীবনে বাধা... বিশ্বজিৎ : জীবনে বাধা তো আসবেই। কিন্তু ওসব নিয়ে আমি ভাবি না। ওভ ুড়ঁ ঃযরহশ ধহু নধৎৎরবৎ, ণড়ঁ রিষষ মবঃ ংড় সধহু নধৎৎরবৎ. ণড়ঁ রিষষ ধষধিুং নব ঢ়ড়ংরঃরাব ঃড় নৎবধশ ঃযব নড়ঁহফধৎু. তুচ্ছ বিষয় এড়ানোর জন্য আমাদের মনকে করতে হবে প্রসারিত। রবি ঠাকুর তো বলেছেন, অন্তর মম বিকশিত কর, অন্তরতর হে। তবে যে জায়গাগুলোতে আমি সাপোর্ট পাইনি ও ংযড়ঁষফ নব ধষধিুং ঢ়ৎবঢ়ধৎব ভড়ৎ ড়ঃযবৎং. ডযরপয ধৎব ুড়ঁহম. বাঁধা সরিয়ে নিজেকে বলিষ্ঠ রূপে প্রকাশ করার জন্য আমি ওদের নজরুলের জীবন সংগ্রামকে অনুসরণ করতে বলি। ডি-প্রজন্ম : এবারের এশিয়ানে আপনার শিল্প ‘ট্রাভেলিং উইথ মাদার’ নিয়ে যদি কিছু বলেন... বিশ্বজিৎ : এটি একটি ইন্টারেকটিভ ফটোগ্রাফি প্রজেক্ট। এখানে আমি রিক্সা পেইন্টিংয়ের এলিমেন্টসগুলো ব্যবহার করেছি। বাংলা বর্ণমালার একটি হৃদয়গ্রাহী শব্দ হলো ‘মা’। যার সঙ্গে আমাদের বন্ধন আত্মার, নাড়ির। ইটস এ্যা সিম্বল অব হার্টস। পৃথিবীর যেখানেই যাই সঙ্গে থাকে আমার মা। এই মা হচ্ছে আমার জন্মদাত্রী মা, দেশ মা, মাতৃভাষা মা। ‘মা’ ইউনিভার্সেল। শান্তির জায়গা। এই শান্তি নিয়ে যেখানেই যাব সেই স্থানই সুন্দর হয়ে যাবে। এর কারণেই শিল্পের নামটা হচ্ছে ‘মাকে নিয়ে ভ্রমণ’। ডি-প্রজন্ম : বর্তমানে যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন... বিশ্বজিৎ : বর্তমানে আমি মা, মাটি, মানুষ, স্বদেশ, ভাষা, প্রকৃতি এই ৬টি এলিমেন্টস্ নিয়ে কাজ করছি। যা পেইন্টিং, ভাস্কর্য, ফটোগ্রাফি, ভিডিও ইনস্টলেশনের মধ্য দিয়ে উঠে আসবে। কারণ এগুলো ইউনিভার্সেল। আইডেনটিটি। ডি-প্রজন্ম : আমাদের শিল্পের বাধা উত্তরণের উপায়... বিশ্বজিৎ : আমাদের পরিবেশ আরও উন্নত হওয়া উচিত। এক্সপ্রোজার বাড়ানো দরকার। রাষ্ট্রীয়ভাবেও আরও বেশি করে প্রমোট করতে হবে। আমাদের শিল্প, সাহিত্য, ঐতিহ্যকে তুলে আনতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না এটা আমাদের ঐতিহ্য। এটাই বাংলার পরিচয়। ব্যক্তিগত জীবনে শিল্পের ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমরা উপহার হিসেবেও পেইন্টিং দিতে পারি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রাইমারি লেবেল থেকেই উন্নত করতে হবে। শিক্ষানীতি, রাজনীতি, পরিবারনীতিকে উন্নত ভাবনায় সাজাতে হবে। চাই সম্পদের সুষম বণ্টন। যোগ্য ব্যক্তির যোগ্য জায়গায় অবস্থান। ডি-প্রজন্ম : কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান? বিশ্বজিৎ : সরল-সুন্দর, শিল্প, সাহিত্যে সমৃদ্ধ এক মানবিক বাংলাদেশ।
×