ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানকে হারিয়ে জয়ে ফিরল বাংলাদেশের যুবারা

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ২ অক্টোবর ২০১৮

পাকিস্তানকে হারিয়ে জয়ে ফিরল বাংলাদেশের যুবারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যুব এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে হতাশাজনক শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দলের। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তান অনুর্ধ-১৯ দলকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, জাতীয় দলের এশিয়া কাপ মিশনেও বাংলাদেশ দল হারিয়েছিল পাকদের। সেই ধারাটা যুব ক্রিকেটাররাও ধরে রাখল। দিনের অপর ম্যাচে, ‘এ’ গ্রুপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান অনুর্ধ-১৯ দল। তীব্র লড়াইয়ের পর নেপাল অনুর্ধ-১৯ দলকে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে তারা হারিয়েছে ৩ উইকেটে। শুরুটা খুব বাজে হয়েছিল বাংলাদেশ দলের। যুব এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই শ্রীলঙ্কান যুবাদের কাছে ৬ উইকেটে হারতে হয়েছে। চলমান আসরে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে যেতে পাক যুবাদের বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না। সেই ম্যাচে সোমবার টস জিতে আগে পাকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ দল। তবে ওপেনার সাইম আইয়ুবের ৭৭ বলে ৪৯ রানের একটি ধৈর্যশীল ইনিংসের সুবাদে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান তুলে ফেলেছিল তারা। এরপর টানা দুই উইকেট তুলে নিয়ে খেলায় নিজেদের ফিরে পায় বাংলাদেশের বোলাররা। তবে চতুর্থ উইকেটে আবারও ৪৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আইয়ুব ও ওয়াকার আহমেদ। আইয়ুব সাজঘরে ফেরার পর একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন ওয়াকার। তিনি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৫৮ বলে ১০ চার, ১ ছক্কায় ৬৭ রান করে সাজঘরে ফেরার পর আর বেশিদূর যেতে পারেনি পাকরা। ৪৫.২ ওভারে ১৮৭ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন ৫৩ রানে ৩টি ও পেসার শরীফুল ইসলাম ২০ রানে ২টি উইকেট শিকার করেন। জবাব দিতে নেমে মাত্র ৪২ রানের মধ্যেই তিন টপঅর্ডারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দল। তবে ওয়ানডাউনে নেমে প্রান্তিক নওরোজ নাবিল দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। চতুর্থ উইকেটে তিনি শামীম হোসেনের সঙ্গে ৯৭ রানের জুটি গড়ে দলকে ভাল একটি অবস্থানে পৌঁছে দেন। ৯৩ বলে ৫৮ রান করে প্রান্তিক সাজঘরে ফেরেন। এরপর দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে শামীম হাফসেঞ্চুরি হাঁকান। তিনি একাই দলকে টেনে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি তার। আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ১০৫ বলে ৫ চার, ২ ছক্কায় ৬৫ রান করেছিলেন শামীম। তখনও জয় থেকে ১৯ রান দূরে বাংলাদেশ দল। তবে বাকি পথটুকু পাড়ি দিতে সমস্যা হয়নি। ৪৭.২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ মুসা ২৪ রানে ৩ উইকেট দখল করেন। ‘এ’ গ্রুপে দিনের অপর ম্যাচে মুখোমুখি হয় নেপাল ও আফগানিস্তান। আসরে টিকে থাকার লড়াইয়ে নামা নেপালের যুবারা প্রথম ব্যাট করতে নেমেই বিপাকে পড়ে। ৩৮.৩ ওভারে মাত্র ১৩১ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। রোহিত পাউডেল ৮৮ বলে ৭ চারে সর্বোচ্চ ৪৬ ও রশিদ খান ২৫ বলে ৫ চার, ১ ছক্কায় ৩০ রান করেন। আজমতুল্লাহ ওমরজাই মাত্র ১৪ রানে নেন ৪ উইকেট। আব্দুল রহমান ও কায়েস আহমেদ নেন দুটি করে উইকেট। জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল আফগান যুবারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩৭.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয় তারা। রহমতুল্লাহ গুরবাজ সর্বোচ্চ ২৬, আজমতুল্লাহ ২৩ ও আরিফ খান অপরাজিত ২৩ রান করেন। সুরিয়া তামাং ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন।
×