ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজালালে সোনা পাচারের সময় ইমিগ্রেশনের দারোগা আটক

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২ অক্টোবর ২০১৮

শাহজালালে সোনা পাচারের সময় ইমিগ্রেশনের দারোগা আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোনা পাচারের সময় ইমিগ্রেশনের একজন দারোগাকে আটক করা হয়েছে। তার নাম কামরুল ইসলাম মিলন। সমবার বিকেলে বিমানবন্দরের ৬নং গেট দিয়ে পালানোর সময় তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে কাস্টমস কর্মকর্তা। এ সময় তার কাছ থেকে সোনার ৩টা বার উদ্ধার করা হয়। তার কাছ থেকে সোনা ধরার প্রতিবাদে ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাস্টমসের বাদানুবাদ হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে চোরাচালানের সোনা নিয়ে দুটো সংস্থার মধ্যে তুমুল ঝগড়া বিবাদের দরুণ আধঘণ্টা অচলাবস্থা দেখা দেয় ৬নং গেটে। এতে এই গেট বন্ধ করে রাখা হয় আধঘণ্টা। কাস্টমস সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে চারটার সময় দারোগা মিলন প্যান্টের পকেটে এ তিনটে সোনার বার লুকিয়ে দ্রুত ৬নং গেট দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন। গেট পার হবার সময় পেছন থেকে অনুসরণকারী দুই কাস্টমস কর্মকর্তা তাকে পিছু ডাকেন। এ সময় তিনি ভেতরে আসতে টালবাহানা করেন। কয়েক মিনিট পর তিনি গেটের ভেতরে ঢুকতেই কাস্টমস তার সঙ্গে কিছু থাকলে দিয়ে দিতে বলেন। এদিকে খবর পেয়ে মুহূর্তেই সেখানে ছুটে আসেন ইমিগ্রেশন পুলিশের এডিশনাল এসপি এলিজাসহ আরও বেশ ক’জন সদস্য। কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার মাহবুবও সেখানে হাজির হয়ে এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে এই দুই সংস্থার মধ্যে বাদানুবাদ হৈ চৈ ও চিৎকার শুরু হয়। বিশেষ করে কাস্টমস ওই দারোগাকে ধরে নিচে নিয়ে যেতে চাইলে এডিশনাল এসপি এলিজা বলতে থাকেন- এভাবে একজন পুলিশ অফিসারকে হেস্তনেস্ত করতে পারেন না। প্রায় আধঘণ্টা উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘাত চলার পর এ গেটে অচলাবস্থা দেখা দেয়। এ সময় ওই গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। বিষয়টি সিভিল এ্যাভিয়েশানের (মেম্বার সিকিউরিটি) শাহ এমদাদুল হককে অবহিত করার পর তিনি জয়েন্ট কমিশনার মাহবুবকে নির্দেশ দেন- ওই দারোগাকে ভেতরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় কাস্টমস অফিসে তাকে বসিয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। তিনি সবকিছু অস্বীকার করলেও কাস্টমস সিসিটিভি দেখিয়ে প্রমাণ করে দেখিয়ে দেয়-কিভাবে তিনি তার সোনার বারগুলো ছুড়ে মারেন।
×