ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নগরাঞ্চলের কঠিন বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস ও জৈব সার তৈরি হবে ॥ গণপূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ২ অক্টোবর ২০১৮

নগরাঞ্চলের কঠিন বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস ও জৈব সার তৈরি হবে ॥ গণপূর্তমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন পরিকল্পনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করে কঠিন বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন ও জৈবসার প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশররফ হোসেন। সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ বছরে বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পৌর এলাকার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’। অনুষ্ঠানে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, নগরাঞ্চলের বর্জ্যকে সম্পদ হিসেবে পরিণত করা সম্ভব। পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনগুলো অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক উপায়ে রাস্তার পাশে মূল্যবান বর্জ্য পদার্থগুলো ফেলে রাখে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মিরপুরে স্বপ্ননগর আবাসিক প্রকল্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্যুয়োরেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনসহ বড় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে বাসাবাড়ির কঠিন বর্জ্য পৃথক করে তা থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন করা হবে এবং অবশিষ্টাংশ থেকে জৈব সার উৎপাদন করা হবে। উত্তরা এ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প, ঝিলমিল এ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প ও পূর্বাচলেও অনুরূপ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বর্জ্য পদার্থ সংরক্ষণ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। একইসঙ্গে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে হলেও সবার সচেতনতা প্রয়োজন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশকালে পলিথিন, কাগজসহ বিভিন্ন বর্জ্যপদার্থ ফেলে নোংরা করা হয়। ভবিষ্যতে এখানে সমাবেশ করতে হলে অগ্রিম জামানত দিতে হবে। সে টাকা দিয়ে উদ্যান পরিচ্ছন্ন করা হবে। বর্তমানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রধান কাজ সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার। আধুনিক নগর পরিকল্পনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদউল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য দবিরুল ইসলাম, ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, রাজউক চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রহমান, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ রাশিদুল ইসলাম ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আখতার হোসেন। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়া’র মহাপরিচালক ড. এম এ মতিন। বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালির আগে বিশ্ব বসতি দিবস পালন উপলক্ষে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্বর ও কদম ফোয়ারা হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
×