ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২ অক্টোবর ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

অক্টোবর শুরু হলো। ঢাকাবাসী কিছুটা দুশ্চিন্তায়, মহানগরীতে আবার মিটিং মিছিল সমাবেশের আধিক্য না শুরু হয়। সামনে নির্বাচন, তার একটি প্রতিক্রিয়া তো থাকবেই সঙ্গত কারণে। তবে মানুষ আর গাড়ি উপচে পড়া এই শহরে সরকারী অফিস বন্ধ থাকে শুক্র ও শনিবার। যদিও বাদবাকি প্রায় সব কর্মজীবীর সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের বেশি নয়। তাই কর্মদিবসগুলোতে কর্মসময় অর্থাৎ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচী না থাকলেই ঢাকাবাসীর সুবিধা হয়। তার ওপর গরম কিছুতেই কমছে না। ফলে ঢাকার মানুষেরা বড়ই সমস্যার ভেতর পড়ে যাবেন যদি বড় কোন দল বা জোট কর্মদিবসে রাস্তায় নেমে পড়ে! জেব্রাক্রসিং ও ফুটওভারব্রিজ ফুটওভারব্রিজ থাকতেও মানুষ তার নিচ দিয়ে চলন্ত গাড়ির সামনে হুড়মুড় করে রাস্তা পার হচ্ছে। এমন ছবি খুব ছাপা হয় সংবাদপত্রে। আর এখন তো এটি বন্ধ করার জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি বয়স্কাউট-গার্ল গাইডের সদস্যরাও সদাতৎপর। ভাল কথা। পথচারী ট্রাফিক আইনের লঙ্ঘন করছে। পথচারী বা পাবলিকের আইন ভাঙা নিয়ে সব পক্ষ যতটা সোচ্চার, ততটা কি গাড়িচালক-মালিক বা মোটরসাইকেলওয়ালাদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সতর্ক বা সচেতন? চোখকান খোলা রাখলেই দেখা যায় অন্যায্য কায়কারবার চালাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশরা এত বড় একটি আন্দোলন হয়ে যাওয়ার পরও। অন্যদিকে জনসাধারণের ভেতরেও অনেকটা গাছাড়া ভাব। যারা সমর্থ, অল্পবয়সী তাদের পক্ষে খাড়া সিঁড়ি বেয়ে ফুটওভারব্রিজ ডিঙানো কঠিন নয়, কঠিন হলো বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য। উদাহরণ দিয়েই বলছি। উত্তরার হাউজ বিল্ডিং মোড়ের ফুটওভারব্রিজটি সরু ও বেশ খাড়া। এখানে এখন লাইন দিয়ে মানুষ পার হচ্ছে। তবে ব্যস্ত সময়ে সিঁড়িতে অন্যকে পাশ কাটানো অসম্ভব। এতটাই সরু পথ। সেদিন একপাশ দিয়ে তরতর করে মানুষ নেমে যাচ্ছে, অন্যপাশে আমরা যারা উঠছি তাদের গতি বেশ মন্থর হয়ে পড়ল। তার কারণ হলো একজন বয়স্ক ও কিছুটা অসুস্থ মহিলা সিঁড়ি দিয়ে উঠছেন। তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মতো জায়গাও তো তখন নেই। তাই এরকম ব্যস্ত মোড়গুলোতে ওভারব্রিজের পাশাপাশি জেব্রাক্রসিংও যে কত জরুরী সেটি কেন কর্তৃপক্ষ বুঝতে চাইছেন না। হ্যাঁ, জেব্রা ক্রসিং থাকলে গাড়ির সারিকে সেখানে থামতেই হবে, সাবধানী হতেই হবে। পুলিশের কাজও বাড়বে সঠিকভাবে ডিউটি পালন করতে গেলে। সেজন্যেই কি জেব্রা ক্রসিং তৈরির উদ্যোগ নেই? জনকল্যাণের কথা বিবেচনা করলে তাদের যেটায় বেশি সুবিধে সেদিকেই তো উদ্যোগী হতে হবে। ঢাকার মঞ্চে হ্যামলেট শনিবার গিয়েছিলাম শিল্পকলায় ‘হ্যামলেট’ নাটক দেখতে। সাতটায় শুরু হওয়ার কথা। পৌনে সাতটায়ও দেখি টিকেট কাউন্টারের সামনে কমপক্ষে ত্রিশ চল্লিশজনের সুশৃঙ্খল লাইন। টিকেটের দাম ২০০ ও ৩০০ টাকা। সাধারণত এখানে অভিনীত মঞ্চনাটকগুলোর টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ১০০ টাকাই থাকে। এটিতে ২০০ টাকা। অথচ ‘হ্যামলেট’ নাটকটি মঞ্চায়নে অর্থায়ন করছে সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং একটি প্রাইভেট ব্যাংক। তাই দামটা বেশি না রাখলেও হয়তো চলত। যা হোক, মূল মিলনায়তনে নাটক। সাতটায় মিলনায়তনে দরোজা খোলার অল্প সময়ের ভেতর পরিপূর্ণ হয়ে গেল। সত্যিই ভাললাগার মতো দৃশ্য। এই মিলনায়তনে ওপর তলাতেও বসার বন্দোবস্ত রয়েছে। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের প্রতিটি সাহিত্যকর্মই মানসম্পন্ন সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচিত। তবে শেক্সপিয়ারের সেরা কাজ কোনটি সেটা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাহিত্য সমালোচকরা হ্যামলেটকেই এগিয়ে রাখেন। হ্যামলেট শেক্সপিয়ারের দীর্ঘতম নাটক। সারা বিশ্বেই নিয়মিত মঞ্চায়ন হয় এই ট্র্যাজেডিটি। নাটকের কাহিনীতে ডেনমার্কের যুবরাজ হ্যামলেট তার পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিতে সচেষ্ট হয়। সে তার মৃত পিতার আত্মার কাছে জানতে পারে, তার চাচা ক্লডিয়াসই হত্যাকারী। ক্লডিয়াস ভাইকে হত্যা করে ডেনমার্কের সিংহাসনে আরোহণ করে এবং ভ্রাতাপতœী (হ্যামলেটের মা) রানি গারট্রুডকে বিয়ে করে। যুবরাজ হ্যামলেট খুবই অসন্তুষ্ট হয়, ক্ষুব্ধ হয়; কিন্তু ক্লডিয়াসের অপরাধ সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে ইতস্তত করে। অবশেষে কৌশলে একটি নাটকের মঞ্চায়ন করে হ্যামলেট, যাতে দেখানো হয়- কোন এক রাজার ভাই রাজাকে হত্যা করে সিংহাসন দখল করে এবং রানীকে বিয়ে করে। নাটক দেখে ক্লডিয়াসের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। নাটকে দেখানো অপরাধ ও কৃতকর্ম একই ধরনের হওয়ায় রাগান্বিত হয়ে সে নাটকের স্থান ত্যাগ করে। হ্যামলেট নিশ্চিত হয়, ক্লডিয়াসই প্রকৃত অপরাধী। এভাবেই নাটকের কাহিনী এগিয়ে যায়। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও হ্যামলেট পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে সমর্থ হয়; কিন্তু নিজেও মৃত্যুমুখে পতিত হয়। শেক্সপিয়ারের এই নাটকটি অনুবাদ করেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। নাটকটি নতুন করে মঞ্চে এনেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আর এই নাটকে অভিনয় করেছেন এ প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীরা। বিভিন্ন নাট্য দলের কর্মীদের থেকে অডিশনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সেরা অভিনয়শিল্পীদের বাছাই করে এই নাটকে অভিনয়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে। আগেভাগেই জেনেছিলাম অনুবাদে সৈয়দ শামসুল হকের প্রয়াস ছিল যে, শেক্সপিয়ারের ‘হ্যামলেট’ যেন হয়ে ওঠে বাঙালীর ‘হ্যামলেট’ তথা বাংলাদেশের ‘হ্যামলেট’। তিনি তাঁর কাহিনীর কোন পরিবর্তন না ঘটিয়ে প্রোথিত করেছেন মহান বাঙালী কবিদের কাব্যাংশ ও সঙ্গীত। পাশাপাশি এসেছে আমাদের নিজস্ব লোকজ পালাগানেরও নানা আঙ্গিক। নৃত্যে সচেতনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে বাঙালীর নৃত্য আঙ্গিক ও ভাবনা। কালজয়ী নাট্যকার শেক্সপিয়ারের নাটক যারা পাঠ করেছেন কিংবা মঞ্চনাটকে যারা তার বিশুদ্ধ স্বাদই পেতে চাইবেন ঢাকার মঞ্চে এই নাটক দেখে তাদের প্রত্যাশা পূরণ নাও হতে পারে। মূল নাটকে বর্ণিত রাজকীয় আবহ এবং সংলাপে সুগভীর ব্যঞ্জনার কিছুটা ঘাটতিও তারা হয়তো পাবেন। কিন্তু বিনোদনসন্ধানী দর্শকের এই মঞ্চনাটকে মজার অভাব তেমন ঘটবে না, তারা উপভোগই করবেন। কারণ হ্যামলেট ও হেরোশিয়োর মুখে সংলাপ হিসেবে জীবনানন্দের কবিতার পঙ্ক্তি এবং অহেতুক বেশ কিছুটা সময় নিয়ে রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে যুগল পাত্রপাত্রীর নৃত্যছন্দই শুধু নয়, আরও কিছু স্থানে কিছুটা বাঙালিয়ানার মিশেল আছে, তাতে বাঙালী দর্শকের কাছে হ্যামলেট হয়ে উঠবে বাংলারই হ্যামলেট বটে। এই আরোপণ নাটক উপভোগে সুবিধাই দিচ্ছে। হ্যামলেট নাটকে আছে ‘নাটকের ভেতর নাটক’। অর্থাৎ পাত্রপাত্রীদের সামনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নাট্যদৃশ্য মঞ্চস্থ হয়েছে। এটি এবং অসিযুদ্ধÑ এই দুটি দৃশ্য নাটকের খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তার উপস্থাপনায় যথোপযুক্ত শক্তিমত্তাই প্রত্যাশা করবেন শেক্সপিয়ারের পাঠক-অনুরাগীরা। রাস্তার পাশের খাবার বা স্ট্রিট ফুড ‘স্ট্রিট ফুড’। বাংলায় বললে ‘রাস্তার খাবার’! নানা অভিযোগ উপেক্ষা করে এই রাস্তার খাবারই অনেকের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে ঢাকায়। কাঁচঘেরা ছোট্ট ‘স্ট্রিট ফুড’ দোকানে হাতে গ্লাভস পরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবেই পরিবেশন করা হয় খাবার। আবার ঢাকার প্রায় সব ক’টি এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় এমন সব খাবার বিক্রি হয় যেখানে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশনা নজরেই পড়ে না। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) একজন বিজ্ঞানী গণমাধ্যমকে একবার বলেছিলেন, ‘রাস্তার ধারের খাবার খুবই অনিরাপদ। এই যে ফল বিক্রি হচ্ছে এগুলো পরিষ্কারে কী পানি ব্যবহার হচ্ছে, আমরা জানি না। আবার একটি মাছি ড্রেনের পানিতে বসছে, সেখান থেকে উড়ে এসে এসব খাবারের ওপরেও বসছে। আমরা না বুঝেই অনায়াসে খেয়ে যাচ্ছি। যে কারণে বাড়ছে ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া। আমাদের এখানে কয়জন রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সবাই বাইরের খাবার কিছু না কিছু খেয়েছেন। ভ্যানগাড়ি থেকে ফল, দোকান থেকে পানি কিংবা রাস্তার ধারের শরবত। ঢাকায় আমার অভিজ্ঞতায় রাস্তার মাঝখানে খাবারের পসরা সাজিয়ে বসা দু’জনের কথা বলার আগে বিশ্বের তিনটি বড় শহরের উদাহরণ দিচ্ছি। বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরগুলোর একটি হলো জাপানের টোকিও। এ শহর বিখ্যাত তার ব্যয়বহুল রেস্তোরাঁগুলোর জন্য। তবে এখানে জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড। টোকিওর রাস্তাতেও দোকানিরা খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন। ভিড় থাকে ভোজনরসিকদের। তাদের পছন্দের তালিকায় থাকে গ্রিল মাংস, ভাজা মাছ বা সবজি। বিশ্বের অন্যতম উন্নত শহর সিডনি। এখানকার মানুষের সেরা পছন্দ স্ট্রিট ফুড। তবে সিডনিতে স্ট্রিট ফুড স্টলগুলোর অধিকাংশ তাজা সী ফুডের জন্য বিখ্যাত। ফিশ ফ্রাই সিডনির বাসিন্দাদের প্রথম পছন্দ। কাঁকড়া ভাজা বা অক্টোপাসের বারবিকিউ এখানকার অন্যতম আকর্ষণীয়। চীনের ব্যস্ততম শহর বেইজিং। এখানকার মানুষের পছন্দের খাবারের তালিকায় আছে নুডলস, স্পাইসি সিচুয়ান ডিশ অথবা বাহারি ধরনের স্ন্যাকস। এসবই পাওয়া যাবে বেইজিংয়ের স্ট্রিট ফুড স্টলগুলোতে। আর এজন্য ক্রেতাকে খুব অল্পই অর্থ ব্যয় করতে হবে। তবে ঢাকার স্ট্রিট ফুডের নাম জিজ্ঞাসা করলে আমরা পিঁয়াজু, মুড়ি, চানাচুর মাখাতেই আটকে যাই। অথচ এই শহরে কত পদের খাবার শুধু রাস্তায় বিক্রি হয় তার ইয়ত্তা নেই। শরবত বিক্রি হয় শতাধিক রকমের। চিকেন ফ্রাই থেকে শুরু করে পিৎজা পর্যন্ত সড়ক পথেই বিক্রি হওয়া শুরু হয়েছে। একটি শহরকে যদি সভ্য ও আধুনিক, যথাযথ আরবান করে তুলবার লক্ষ্য থাকে তবে একেবারে রাস্তার ওপরে অপরিচ্ছন্ন ও গরিবি খাবারের ভ্রাম্যমাণ দোকান তুলেই দিতে হয়। কিন্তু এটা আমরা কী করে ভুলি যে জীবিকাসন্ধানী রাজধানীমুখী ¯্রােত আমরা থামাতে পারিনি। মানুষের বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে একবার ঢাকা শহরে পৌঁছুতে পারলে কোনো না কোনো একটা উপায়ে জীবিকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। গুলশান দুই নম্বর সার্কেলের প্রধান সড়কের পেছনেই রয়েছে রাজউক মার্কেট। সেখানে কাঁচাবাজার রয়েছে, তাই ভিড়ভাট্টা লেগেই আছে। ওই মার্কেটের সামনে রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়ে সন্ধেবেলা যে দু’জন দোকানিকে খাবার বিক্রি করতে দেখলাম তারা নিজেরাই তৈরি করেছেন এসব খাবার। মহিলাটির মুখের খুব সামান্য অংশই অনাবৃত, তাই খুব পরিচিত লোক ছাড়া তাকে শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব। ছোট্ট টেবিলের ওপর প্লাস্টিকের পাত্রে তিনি সামুচা আর পিঠা সাজিয়েছেন। আরেকটি বড় পাত্রে নুডলস। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই তিনি খাবার পরিবেশন করেন। কারণ বসতে গেলেই আরেকটু বেশি জায়গার দরকার হবে। টেবিলের নিচে রাখা থলেতে আরো পাত্র আছে পিঠার। টেবিলের ওপরের খাবার শেষ হওয়ার আগেই নিচের পাত্র থেকে নিয়ে আবার টেবিলে সাজিয়ে রাখছেন। যারা চামচ দিয়ে নুডলস খাচ্ছেন সেই চামচ-প্লেট পাশে রাখা বালতিতেই ডুবিয়ে ধুয়ে নিচ্ছেন। আর পিঠার ক্রেতাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিকের প্লেট কাপড় দিয়ে শুধু মুছে ওই পাত্রেই পরের খদ্দেরের কাছে পিঠা পরিবেশন করছেন। তার পাশের খাবার বিক্রেতা ছোলামুড়ি বিক্রি করছেন। দুটো দোকানেই বেশ ভিড়। এখন পুলিশ যদি এ দুজনকে রাস্তা থেকে তুলে দেয় তাহলে দুজনের পরিবারের সদস্যদের পেটে লাথি মারা কি হবে না? ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ [email protected]
×