ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রবীণ নবীনদের শোডাউন

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১ অক্টোবর ২০১৮

 নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রবীণ  নবীনদের শোডাউন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে আওয়ামী লীগের ৯, জাতীয়পার্টির ২ ও বিএনপির ৩ সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়ন পেতে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও সভা-সমাবেশসহ নানাভাবে প্রচার করে কেন্দ্রীয় নেতাসহ সকলের মন আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন নেতা নতুন করে মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় গণসংযোগে নেমেছেন। করছেন শো-ডাউনও। ইতোমধ্যে আনাচে-কানাচে শোভা পেয়েছে ফেস্টুন, ব্যানার। আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থী বিলি করছেন আওয়ামী লীগের উন্নয়নের প্রচারপত্রও। এ আসনে আওয়ামী লীগের (নৌকা) মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদির, সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খোকন সাহা, শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত। ’৯৬ সালের আওয়ামী লীগের টিকেটে এ আসনের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আকরাম আওয়ামী লীগের কোন পদে না থাকলেও মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় তার নামও শোনা যাচ্ছে। প্রবীণদের পাশাপাশি নবীন প্রার্থীরাও শোডাউন করে মন আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় থাকা নবীনদের মধ্যে একেএম আবু সুফিয়ান ও জিএম আরাফাত নগরীতে শোডাউন করে সবার নজরে আসার চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগের অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিগত দিনের উন্নয়নের প্রচারপত্র বিলি করছেন। এ আসনে জাতীয়পার্টির (লাঙ্গল) মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের সহধর্মীণী পারভিন ওসমান। পারভিন ওসমান এ আসনের বর্তমান সংসদ সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের বড় ভাবি। পারভিন ওসমান নতুন করে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। তারা দু’জনেই জাতীয় পার্টি থেকে আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। অপরদিকে এ আসনে বিএনপি (ধানের শীষ) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান ও মহাগনগর যুবদলের আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। গলাচিপায় কৃষক লীগ নেতা স্টাফ রিপোর্টার গলাচিপা থেকে জানান, পটুয়াখালী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ তসলিম সিকদার রবিবার গলাচিপা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে গলাচিপা-দশমিনা আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে যোগ্য প্রার্থী দাবি করে তসলিম সিকদার বলেন, আমি ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচন থেকে এ আসনে প্রার্থিতা দাবি করে আসছি। কিন্তু মনোনয়ন পাইনি। তাই বলে নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে যাইনি। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে সর্বোতভাবে কাজ করেছি। তিনি আরও বলেন, দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যোগ্যদের মনোনয়ন দেয়া হবে। আশা করি এ আসনে যোগ্য প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। কোন অরাজনীতিক যেন মনোনয়ন না দেয়া হয়। অরাজনীতিককে মনোনয়ন দেয়া হলে এলাকার উন্নয়ন হয় না। নেতাকর্মীদেরও মূল্যায়ন হয় না। ২০০৭ সাল থেকে পটুয়াখালী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি তসলিম সিকদার ১৯৭২ সালে পটুয়াখালী সদর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৭৮ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯২ সালে পটুয়াখালী শহর শাখা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তার বাবা জয়নুল আবেদীন সিকদার ১৯৪৯ সালে তৎকালীন পটুয়াখালী সদর মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকসহ আমৃত্যু কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। প্রেসক্লাব সভাপতি খালিদ হোসেন মিলটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তসলিম সিকদার জানান, তিনি এরই মধ্যে গলাচিপা ও দশমিনার প্রতিটি ইউনিয়ন-ওয়ার্ড এবং গ্রাম পর্যায়ে গণসংযোগ করেছেন এবং তা অব্যাহত রেখেছেন। আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসন থেকে তিনি দলের মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার দৃঢ় আশা রাখেন।
×