ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার জামিন কেন বাতিল নয়-জানতে চেয়েছে আদালত

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১ অক্টোবর ২০১৮

খালেদার জামিন কেন বাতিল নয়-জানতে চেয়েছে আদালত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া চ্যারিটেবল ট্র্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন কেন বাতিল হবে না, তা তার আইনজীবীদের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে করা অনাস্থা আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। এছাড়া আসামি মনিরুল ইসলাম খানের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আগামী ৭ অক্টোবর এ বিষয়ে শুনানির জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছে আদালত। তবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সমাপ্ত করে রায় ঘোষণা করার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর কোন আদেশ দেননি আদালত। পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান রবিবার এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতের প্রতি দুই আসামির অনাস্থা বিষয়ে রায়ের জন্য রবিবার দিন ধার্য করা হয়। শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও এ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার এবং এ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আসামি ৪ জন। তারা হলেন- কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, তার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এর মধ্যে হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। অন্যদিনের মতো খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই রবিবার বেলা ১১টা ৮ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল গত ১২ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তার পরিবর্তে খালেদার কাস্টডি আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে ‘অনিচ্ছুক’। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বরও খালেদার ‘অনিচ্ছা’র কথা জানিয়ে একই কাস্টডি পাঠানো হয় আদালতে। সেদিন দুদকের আইনজীবী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে কি না, এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। পরে ওইদিন আদালত বলেন, খালেদা জিয়া বিচার পর্যায়ে ৪০ বার, আত্মপক্ষ সমর্থন পর্যায়ে ৩২ বার (আদালতে উপস্থিত হতে) সময় নিয়েছেন। গত ৮ ফেব্রæয়ারি অন্য একটি মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর এতদিন পর্যন্ত এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরু করা সম্ভব হয়নি। কোন আসামি যদি দিনের পরদিন (আদালতে) না আসেন, তবে তো মামলার বিচার প্রক্রিয়া থেমে থাকতে পারে না। তাই খালেদা জিয়াকে ছাড়াই অন্য আসামিদের পক্ষে এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরুর জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আদালত। গত ৮ ফেব্রæয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দÐিত হওয়ার পর থেকে পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন। এরপর থেকে মামলার শুনানির জন্য দফায় দফায় তারিখ পড়লেও ‘অসুস্থ থাকায়’ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজির হতে পারেননি তিনি। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
×