ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অন্তদ্বন্দ্বে তিন ডাকাত

পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চার মাদক কারবারি নিহত

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১ অক্টোবর ২০১৮

  পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চার মাদক কারবারি নিহত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নারায়ণগঞ্জ এবং কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে অন্তত চার মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। এরা হল সোনারগাঁওয়ের আলী নূর এবং কক্সবাজারের ইমরান হোসেন ও মোহাম্মদ করিম। বন্দুকযুদ্ধের এসব ঘটনায় পুলিশের ৯ সদস্য আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি ছাড়াও ১০ হাজারের বেশি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া বান্দরবান থেকে পুলিশ তিন ডাকাতের লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি এরা ডাকাত। ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গুলিবিনিময়ে ডাকাত মোহাম্মদ করিম, আনোয়ার ও বাপ্পি নিহত হয়। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার। জানা গেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে পুলিশের সঙ্গে মাদক কারবারিদের বন্দুকযুদ্ধে আলী নূর (৫০) নামে এক তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে রবিবার ভোরে সোনারগাঁও পৌর এলাকার চিলারবাগ গ্রামের বালুর মাঠে এ বন্দুকযুদ্ধে আলী নূর নিহত হয়। এ সময় মাদক কারবারিদের হামলায় সোনারগাঁও থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শাহীনউল্লা, ইমামুল ইসলাম, কনস্টেবল কাউছার ও বাকি বিল্লাহ আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নিহত আলী নূর উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিশ গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে। পুলিশ তার কাছ থেকে ৩’শ পিছ ইয়াবা, একটি ওয়ান শূটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। দুই ইয়াবা কারবারি কক্সবাজার \ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ ইয়াবা কারবারিসহ দুইজন নিহত হয়েছে। রবিবার ভোরে টেকনাফের হ্নীলা দরগাহ গেট ও মহেশখালীর পাহাড়ের শাপলা ঢেবা এলাকায় পৃথক এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, টেকনাফের হ্নীলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ইমরান হোসেন ওরফে পুতিয়া মিস্ত্রি নিহত হয়েছে। নিহত ইমরান ওরফে পুতিয়া মিস্ত্রি টেকনাফের হ্নীলার পশ্চিম সিকদারপাড়ার আজিজুল হক মিস্ত্রির পুত্র। এ ঘটনায় এক এসআইসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ ৭ হাজার ইয়াবা জব্দ করেছে পুলিশ। টেকনাফ থানার ওসি জানান, তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী পুতিয়া মিস্ত্রি ইয়াবার বড় একটি চালান হস্তান্তর করছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়। পরে ঘটনাস্থলে একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিহত মরদেহটি শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী পুতিয়া মিস্ত্রির বলে শনাক্ত করে স্থানীয়রা। ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশীয় বন্দুক, একটি বিদেশী পিস্তল, তাজা কার্তুজ ও ৭ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ছোট মহেশখালীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ইয়াবা কারবারি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ করিম ওরফে মাত করিম নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮টি বন্দুক, দুই হাজার ইয়াবা ও ২০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে। রবিবার ভোর পাঁচটার দিকে পাহাড়ের শাপলা ঢেবা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সন্ত্রাসী ওই এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র। মহেশাখালী থানার ছোট মহেশখালীর মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী মোহাম্মদ করিম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও সড়কে ডাকাতি করে আসছিল। নিহত সন্ত্রাসী করিমের বিরুদ্ধে থানায় হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মহেশখালীতে ডাকাত সর্দার \ কক্সবাজারের মহেশখালীতে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে ৮ মামলার পলাতক আসামি মাদক বিক্রেতা ও ডাকাত সর্দার মোহাম্মদ করিম প্রকাশ মাক্করি (৩৫) নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ২০ রাউন্ড কার্তুজ ও ২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় পুলিশের ৫ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। আহতরা হলেন এসআই দীপক বিশ্বাস, এএসআই সনজিব, কনস্টেবল আবতাফ, কনেস্টেবল মহিউদ্দীন, ও কনেস্টেবল ইব্রাহীম। আহতদের মধ্যে কনস্টেবল আফতাবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ভোরে উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকায়। নিহত মোহাম্মদ করিম উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণকুল গ্রামের মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর ছেলে। ৩ ডাকাতের লাশ উদ্ধার বান্দরবান \ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ডাকাতদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তিন ডাকাত নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ । নিহতরা হলো- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারি ইউনিয়নের আব্দুস সোবাহানের ছেলে আনোয়ার, কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে আব্দুল হামিদ, সুপারিকাটা এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে মোঃ বাপ্পি। রবিবার সকালে বাইশারী এলাকার থ্রি স্টার রাবার বাগানের পাশে দীন মোহাম্মদের এলাকা থেকে ওই তিন ডাকাতের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ ও ডাকাতি করে আসছিল। শেষে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। পরে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করলে তিন জন নিহত হয়। ঘটনাস্থলে তিন জনের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
×