ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

শিল্পরসিকের মুগ্ধতায় এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর সমাপ্তি

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ১ অক্টোবর ২০১৮

 শিল্পরসিকের মুগ্ধতায় এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর সমাপ্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেষ হলো মাসব্যাপী শিল্পের মহাযজ্ঞ। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী উপভোগ করেছেন বিচিত্র শিল্পসম্ভার। কী নেই সেই আয়োজনে? চিত্রকর্ম থেকে শুরু করে স্থাপনা শিল্প, ভিজুয়াল আর্ট, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, ছাপচিত্র কিংবা পারফরমেন্স আর্ট। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ছয়টি গ্যালারি জুড়ে শোভা পেয়েছে বহুমাত্রিক শিল্পকর্ম। দেশ-বিদেশের শিল্পীদের সৃজিত সেই বিপুল শিল্পসম্ভার মুগ্ধ করেছে শহুরে শিল্পরসিকদের। শৈল্পিক সেই আনন্দযজ্ঞ অষ্টাদশতম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর শেষ দিন ছিল রবিবার। এদিন চিত্রশালা মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত প্রদর্শনীটির সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে সমাপনী আয়োজনের সূচনা হয়। একঝাঁক নৃত্যশিল্পী মঞ্চের চারপাশজুড়ে ছড়িয়ে দেয় নৃত্যের নান্দনিকতা। মঙ্গল হোক এই শতকে মঙ্গল সবার-গানের সুরে তাল রেখে নেচে যায় শিল্পীরা। নাচ শেষে মঞ্চে আসেন অতিথিরা। এরপর সকলের কণ্ঠে উঠে আসে জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি...’। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতি সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। প্রদর্শনীর আয়োজনটির সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ১৯৮১ সালে বরেণ্য শিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীরের পরিকল্পনায় শুরু হয়েছিল এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী। সেই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হলো আঠারোতম আসরটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে এই প্রদর্শনীর বৈশিষ্ট্য। শ্রীবৃদ্ধির ঘটার পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রদর্শনীর কলেবর। এবারের আয়োজনে আমরা দেশের তরুণ শিল্পীদের শক্তির পরিচয় পেয়েছি। সেই সঙ্গে বিদেশী শিল্পীদের শিল্পসম্ভারের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে দেশের শিল্পীদের কাজ। আলোচনায় এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী উপলক্ষে গড়ে ওঠা ভাস্কর্য পার্কটি স্থায়ীকরণসহ সংস্কৃতির বিকাশে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকারের বিষয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতিচর্চা বিকাশ ও সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে ভাস্কর্য পার্ক নির্মাণ করেছি। জাতীয় চিত্রশালা ভবনের উর্ধমুখী সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজনটি আরও সুন্দর ও গুছিয়ে করা সম্ভব হবে। জাতীয় জীবনে সংস্কৃতিচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প-সংস্কৃতিকে এড়িয়ে মানবিক রাষ্ট্র গড়া সম্ভব নয়। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অজ সঙ্কট মোকাবেলা করেও শিল্প-সংস্কৃতিকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার প্রেরণা দিয়েছেন। স্বাগত বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, আজকের দিনটি একদিকে যেমন আনন্দের অন্যদিকে বেদনার। তবে আমরা স্বপ্ন দেখছি আগামী ১৯তম আসর আরও বড় পরিসরে করতে পারব। পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় আঠারোতম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ আয়োজনে অংশ নিয়েছে ৬৮টি দেশ। প্রদর্শিত হয়েছে দেশী-বিদেশী শিল্পীদের মোট ৩৬৮টি পেইন্টিং, প্রিন্ট ও ফটোগ্রাফি, ৩৩টি ভাস্কর্য, ৫২টি ইলাস্ট্রেশন আর্ট এবং ৩০ জন পারফর্মেন্স আর্টিস্টের শিল্পনৈপুণ্য প্রদর্শনী। সব মিলিয়ে দেশী-বিদেশী ৪৬৫ শিল্পীর ৫৮৩টি শিল্পকর্ম উপস্থাপিত হয়েছে মাসব্যাপী প্রদর্শনীতে। বিশ বছরে চ্যানেল আই \ আজ সোমবার প্রতিষ্ঠার বিশ বছরে পদার্পণ করছে দেশের প্রথম ডিজিটাল বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল আই। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নিজস্ব ভবনে ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ স্লোগানে ১৯তম বর্ষপূর্তি ও ২০তম জন্মদিন উদ্যাপনের আয়োজন করেছে চ্যানেলটি। রবিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে চ্যানেল আই ভবনে কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজসহ চ্যানেলটির পরিচালক পর্ষদ, বিভিম্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং চ্যানেলটির কলাকুশলী ও অতিথিরা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ের চেতনা চত্বরে স্থাপিত হয়েছে বিশাল উৎসব মঞ্চ। এখানে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও একঝাঁক বর্ণিল বেলুন আকাশে উড়িয়ে শুরু হবে ২০তম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠান। এতে দেশের সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজন অংশ নেবেন। সন্ধ্যা ৭টায় কেক কাটার মধ্য দিয়ে শেষ হবে বর্ষপূর্তির আয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান \ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয় শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে রবিবার দুপুরে। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ, মোবারক আলী সিকদার, চিত্রনায়িকা নতুন, সমীরণ রায়, মোহাম্মদ আজাদ খান, শাহ আলম, অভিনেত্রী পারুল আক্তার লোপা, মাধবী রানী সরকার, রোকন উদ্দিন পাঠান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন চিত্রনায়িকা নতুন, বৃষ্টি রানী প্রমুখ।
×