ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের গ্লাস ডোর ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্টের উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১ অক্টোবর ২০১৮

 ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের গ্লাস ডোর ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্টের উদ্বোধন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ওয়ালটন কারখানায় এসে আমি মুগ্ধ, অভিভূ‚ত, গর্বিত। ওয়ালটন শুধু বাংলাদেশেরই বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়, বরং আন্তর্জাতিক বিশ্বে ইতোমধ্যেই সুনাম অর্জন করেছে। খুব শীঘ্রই ওয়ালটন বিশ্ববাজারে মর্যাদাশীল ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানির জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে সরকার নগদ সহায়তা দেবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়ালটনের অনেক নাম শুনেছি, প্রশংসা শুনেছি। আজ স্বচক্ষে দেখলাম। প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন ইউনিট ঘুরে ঘুরে যা দেখলাম, তা অকল্পনীয়। ওয়ালটনের প্রত্যেকটা ইউনিট সাজানো-গোছানো। রবিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে নবনির্মিত ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের গ্লাস ডোর ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্ট উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ওয়ালটন শুধু দেশের অর্থনীতিকেই এগিয়ে নিচ্ছে না, বরং বৃহৎ সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানও করছে। ওয়ালটন কারখানায় বর্তমানে ২৫ ধরনের পণ্য তৈরি হচ্ছে। ৬০ ধরনের পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করছে। কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছে বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়ালটন প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের গ্লাস ডোর ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার ইত্যাদি পণ্যের বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন। ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম জানান, ৬৮০ একর জায়গার ওপর রয়েছে ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্স। ৭০ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে চলে পণ্য উৎপাদন কার্যক্রম। যেখানে নিয়োজিত আছেন প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানসহ দেশ-বিদেশের প্রায় ২০ হাজার কর্মী। ওয়ালটন কারখানার গ্লাস ডোর প্রজেক্টে প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ১ হাজার গøাস ডোর ফ্রিজ তৈরি হচ্ছে। শীঘ্রই তা দৈনিক ৫ হাজার ইউনিটে উন্নীত হবে।
×