ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজনৈতিক সুসম্পর্ক না থাকায় বাড়ছে না দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১ অক্টোবর ২০১৮

 রাজনৈতিক সুসম্পর্ক না থাকায় বাড়ছে না দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ একে অন্যের সঙ্গে রাজনৈতিক সুসম্পর্ক না থাকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাড়ানো যাচ্ছে না বাণিজ্যের পরিমাণ। অথচ সম্ভাবনার বিবেচনায় এই অঞ্চল এগিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির দেশগুলোর চেয়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে এগিয়ে আসা উচিত বড় দেশগুলোর। সেই সঙ্গে যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শুল্ক অশুল্ক বাধা দূর করতে উদ্যোগ নিতে হবে সব পক্ষকে। মানবসম্পদ, বাণিজ্য-বিনিয়োগ আর গতিশীল প্রবৃদ্ধির বড় সম্ভাবনার জায়গা দক্ষিণ এশিয়া। যেখানে আড়াই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ভারত আর তৈরি পোশাক ক্রেতাদের বড় ভরসা বাংলাদেশ নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। আছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটানও। তবে সমস্যা হলো এই দেশগুলোর মধ্যে প্রতি বছর যে পরিমাণ বাণিজ্যের সুযোগ রয়েছে, হচ্ছে তার অর্ধেকেরও কম। আর যতটুকু হচ্ছে, তাও ধরে রাখতে পারছে না ভারসাম্য। যা পরিষ্কার বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলের বাণিজ্য ঘাটতি ২০০১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বেড়েছে সাড়ে ছয় গুণ। কিন্তু কেন? বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্য এখন ৯০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। যার ৯১ শতাংশই হয় দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে। আর ভারত থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানি করলেও রফতানি হচ্ছে সামান্য। অথচ দেশটি বছরে আমদানি করে সাড়ে চারশ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। যার বড় একটা অংশ তৈরি পোশাক হলেও, সেখানে জায়গা নেই বাংলাদেশের। বাণিজ্যের এই ভারসাম্যহীনতা রয়ে গেছে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে। অথচ বিশ্বব্যাংক বলছে, কেবল এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যবসা করতে পারে অন্তত ১৯ বিলিয়র ডলারের। যার অর্ধেকও হচ্ছে না বর্তমানে। যার কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয় সমাধানের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বর্তমানে বাংলাদেশ রফতানি করে থাকে জিডিপির ১৫ শতাংশ। অথচ ভারতে এই হার ২০ শতাংশ।
×