ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বোলিংয়ে সেরা মুস্তাফিজ, ব্যাটিংয়ে তিনে মুশফিক

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বোলিংয়ে সেরা মুস্তাফিজ, ব্যাটিংয়ে তিনে মুশফিক

মোঃ মামুন রশীদ ॥ আরেকবার হতাশা আর আক্ষেপে শেষ হলো এশিয়া কাপ ক্রিকেট। ২০১২ সালে পাকিস্তানের কাছে, ২০১৬ সালে ভারতের কাছে ফাইনালে হারার পর একই তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষ আবারও ভারত। তবে ব্যাট-বলের নৈপুণ্যে রানার্সআপ বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নজর কেড়েছেন এবারও। শুরু থেকেই অনুপস্থিত ছিলেন অপরিহার্য ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, ইনজুরি নিয়ে খেলে নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরতে পারেননি সাকিব আল হাসান। এরপরও বাংলাদেশের ব্যাটিং নৈপুণ্যে মিডলঅর্ডারে সবাইকে বিস্মিত করেছেন মুশফিকুর রহীম। তিনি ৫ ম্যাচে ৩০২ রান করে আসরের তৃতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রাহক। আর বোলিংয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে সেরা মুস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট। অবশ্য বোলিং গড়ে এগিয়ে থাকায় আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খান সমান উইকেট নিয়ে শীর্ষে। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৪ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন মুশফিক। পাঁজরের হাড়ে চিড় থাকা সত্ত্বেও খেলেছিলেন তিনি এবং বিপদের মুহূর্তে এই ইনিংসটি খেলে দলকে জয় পাওয়ার মতো বড় সংগ্রহ পাইয়ে দেন। এ কারণে পরের ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হয় তাকে। তবে মাঝের দুটি ম্যাচে আর বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২১ ও ৩৩ রান করেন তিনি ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তবে আবারও জ্বলে ওঠেন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ৯৯ রানের দারুণ এক ইনিংস বের হয়ে আসে মুশফিকের উইলো থেকে। কিন্তু ফাইনালে আর তার ব্যাট হাসেনি। মাত্র ৫ রান করেই সাজঘরে ফিরেছেন। ইনিংসটা বড় করতে পারলে হয়তো এবার এশিয়া কাপের সেরা খেলোয়াড় হয়ে যেতেন তিনি। কিন্তু ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান দুটি সেঞ্চুরি হাঁকানোয় এগিয়ে গেছেন অনেকখানি। তিনি ৫ ম্যাচে ৩৪২ রান করে সবার ওপরে। তিনিই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। তারই সতীর্থ অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৩১৭ রান করে দ্বিতীয় স্থানে। এরপরই মুশফিকের অবস্থান। এই আসরেই তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে তৃতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইলফলকও পেরিয়েছেন। ওপেনার লিটন কুমার দাস ধারাবাহিক না হলেও বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সেরা পারফর্মার। ফাইনালে ১২১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে তিনি ১৮১ রান নিয়ে সপ্তম স্থানে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৬ ম্যাচে ১৫৬ রান করে ১০ নম্বরে। সার্বিকভাবে এই আসরে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল বিপর্যস্ত। ব্যাটসম্যানরা ধারাবাহিক ছিলেন না এবং নিয়মিতই বিপর্যয় দেখা গেছে। তবে বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছেন টুর্নামেন্টজুড়েই। বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যেই ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ দল। এক্ষেত্রে সবার সেরা হয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২৩ বছর বয়সী এ কাটার মাস্টার ৫ ম্যাচে ৪২ ওভার বোলিং করে ১৮.৫০ গড় ও ৪.৪০ ইকোনমি রেটে ১০ উইকেট নিয়েছেন। আফগান লেগস্পিনার রশিদ সমান উইকেট নিয়েছেন ১৭.২০ গড়ে। এ কারণে শীর্ষস্থান তারই। ৬ ম্যাচে ভারতীয় স্পিনার কুলদ্বীপ যাদব ১০ উইকেট নিয়েছেন ২৩.৭০ গড়ে। তিনি তৃতীয় স্থানে। বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সেরা বোলার সাকিব। ইনজুরির কারণে দুই ম্যাচ খেলতে না পারা সাকিব ৪ ম্যাচে ২৪.৫৭ গড়ে নিয়েছেন ৭ উইকেট। তিনি ৭ নম্বরে। রুবেল হোসেন ও মাশরাফি বিন মর্তুজা উভয়েই ৬টি করে উইকেট নিয়েছেন।
×