ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ইউটিউব বাংলাদেশে আসছে

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ইউটিউব বাংলাদেশে আসছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভিডিও শেয়ারিং পোর্টাল ইউটিউব কারও মাধ্যমে নয়, সরাসরিই বাংলাদেশে আসছে। অক্টোবরের মধ্যে দেশে অফিস চালু করবে বলে ইউটিউব জানিয়েছে। বিশ্বের ৬১তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তাদের এই অফিস চালু হচ্ছে। জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছেন স্থানীয় আইন মেনেই তারা অফিস করবে। এজন্য তাদের কারও সহায়তা বা পৃষ্ঠপোষকতা লাগবে না। নিজেদের নয়, তারা বাংলাদেশের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড ফলো করবে বলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। অফিস হলে ইউটিউবে আমাদের ইজি একসেস পাওয়া যাবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে তাদের বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু ইউটিউব আমাকে তাদের ইতিবাচক মনোভাব জানিয়ে দিয়েছে। হয়ত আগামীতে অফিসিয়াল ভিজিট হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘দেশের কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ‘ইউটিউব চ্যানেল’ ভাল করছে। এগুলোতে দৃষ্টি পড়েছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের। তারা মনে করছেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশে তাদের ভাল একটা বাজার হবে, কনটেন্টের হাব হবে। এমনকি বিজ্ঞাপনের বাজারকেও তারা বিশাল সম্ভাবনাময় বলেও মনে করছেন।’ দেশের একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলের অনলাইন ভার্সনের প্রধান বলেন, ‘ইউটিউব ওই অর্থে কাউকে পাত্তা দেয় না। যদি ওরা কাউকে প্রয়োজন মনে করে তাহলে নিজে থেকেই তার কাছে আসে। ফলে ইউটিউব কারও মাধ্যমে এদেশে আসছে এটা ভাবার কোনও যৌক্তিক কারণ নেই। ইউটিউব অনেক আগে থেকেই এ দেশকে নজরে রেখেছে। ফলে ব্যবসায়িক সম্ভাব্যতা যাচাই করেই তারা এদেশে আসছে। তারা নিজেরাই অফিস করবে। বরং তারা সম্ভাবনাময় কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তাদের পার্টনার করে নেয়। সিএমএস (কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) দেয়।’ তার প্রতিষ্ঠান আরও ৪ বছর আগে সিএমএস পেয়েছে বলে তিনি জানান। ওই কর্মকর্তা জানান, তার প্রতিষ্ঠানের ২২টি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সম্প্রতি একটি চ্যানেল গোল্ডেন বাটন পেয়েছে। শীঘ্রই আরেকটি চ্যানেল গোল্ডেন বাটন পাবে। তিনি আরও জানান, এই চ্যানেলগুলো থেকে ইউটিউব প্রতিমাসে বেশ বড় অঙ্কের অর্থ আয় করে থাকে। তিনি বলেন, ‘তবে ইউটিউব দেশে এলে ভাল কিছুই হবে। কোনও সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান করা যাবে। নতুন নতুন ব্যবসার দ্বার উন্মুক্ত হবে।’ জানা গেছে, দেশের একাধিক টিভি চ্যানেল এরই মধ্যে ইউটিউব থেকে গোল্ড বাটন পেয়েছে। দেশে সিলভার বাটন এসেছে অসংখ্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়েছে। দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ফেসবুক, ইউটিউবে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখছে। এই বিষয়টিকেই ইউটিউব আরও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশে অফিস চালু হলে ইউটিউবভিত্তিক নতুন নতুন ব্যবসার ক্ষেত্র তৈরি হবে।
×