ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্যে চীনকে ব্ল্যাকমেল করা যাবে না

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাণিজ্যে চীনকে ব্ল্যাকমেল করা যাবে না

চীন সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এর জটিল সম্পর্ক একটি গ্লাসের মতোই ভেঙ্গে যেতে পারে এবং দেশটি ট্রাম্প প্রশাসনকে সতর্ক করতে অধিকাংশ আন্তর্জাতিক মঞ্চ ব্যবহার করছে। দেশটি বলেছে, বেজিংকে বাণিজ্য ভয় দেখানো যাবে না। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংই জোর দিয়ে বলেছেন, বাণিজ্যে তার দেশকে ব্ল্যাকমেল বা চাপের মুখে নত করা যাবে না। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বলেন, সংরক্ষণনীতি নিজেকেই আঘাত করে এবং একপক্ষীয় পদক্ষেপে সকলের ক্ষতি ডেকে আনে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সপ্তাহে চীনের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক ধার্য করেছেন এবং বেজিং পাল্টাভাবে একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে বিশেষ দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে বাণিজ্যযুদ্ধ। চীন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে অনধিকার চর্চা করছে বলে ট্রাম্প অভিযোগ আনলে বেজিংয়ের প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কারণ, চীন ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধে। ট্রাম্প অবশ্য এ অভিযোগের সমর্থনে তেমন কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। চীন অবশ্য বলেছে, অভিযোগ অসত্য। ওয়াং এক পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পৃথক মন্তব্যে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সম্পর্ক চার দশক পর এক জটিল অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, আমাদের দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক হচ্ছে এক অভিন্ন সম্পর্ক। এ সম্পর্ক অবশ্য রক্ষা করতে হবে এবং এর মূল্য দিতে হবে। এ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে কয়েক প্রজন্মের জনগণের প্রচেষ্টার ফলে। তিনি বলেন, এ সম্পর্ক একটি গ্লাসের মতো। তা ভেঙ্গে পড়া সহজ। তবে তার সংস্কার কঠিন। ওয়াং ট্রাম্পের বৈশ্বিক বিরোধী অবস্থানের বিপরীত চীনকে বহুমুখী প্রতিষ্ঠানের দেশ হিসেবে তুলে ধরেন। কিন্তু চীন বৈশ্বিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে এবং বিশ্বনেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে স্থানচ্যুত করতে চাইছে বলে যে, সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে তা মিথ্যা বলে সতর্ক করে দেন বেজিংয়ের এ শীর্ষ কূটনীতিক। ওয়াং নিউইয়র্কে কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসে বলেন, এটা এক মারাত্মক কৌশলগত ভুল ধারণা এবং তা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও ভবিষ্যতের জন্য চরম ক্ষতি ডেকে আনবে। তিনি বলেন, চীন বরং এক শান্তিপূর্ণ অগ্রগতির পথ খোঁজে। তিনি দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দৃঢ়প্রত্যয়ী আচরণের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলোতে সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের সার্বিক কর্মকা-ের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবেই স্থাপনাগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। ট্রাম্প গত সোমবার ২শ’ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। বেজিং পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ৬০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছে।
×