ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি দশ বছরে ১০ মিনিটও রাস্তায় নামতে পারেনি ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিএনপি দশ বছরে ১০ মিনিটও রাস্তায় নামতে পারেনি ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত ১০ বছরে বিএনপি ১০ মিনিটের জন্যও রাস্তায় নামতে পারেনি। তাদের দাবির এত জোর, কিন্তু তাদের ৫শ’ লোকের মিছিলও তো দেখি নাই। আন্দোলনের মরাগাঙ্গে ১০ বছর ঢেউ আসেনি, এখন এক মাসে কি করে আসবে। এখন কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য আন্দোলনের নামে তারা চিৎকার-চেঁচামেচি করছে। সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর হয়তো বিএনপি নেতারা বলবেন, জনগণের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে সরকার। এটাই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি। শনিবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল শিশু-কিশোর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন. রাস্তায় অবরোধ করে কোন সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে প্রয়োজনে মুক্তমঞ্চ করে দেয়ার কথাও বলেছেন তিনি। যার যা খুশি সেখানে বলতে পারবেন। দরকার হলে আমরা মাইকও লাগিয়ে দেব। কিন্তু রাস্তায় চেঁচামেচি করতে দেব না। আমরাও করব না, আপনাদেরও দেব না। বিএনপির সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এতো মাথাব্যথা, এতো হৈচৈ করার দরকার নেই। আমি পুলিশের আইজির সঙ্গে কথা বলেছি, তারা সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই চিৎকার-চেঁচামেচি না করে ধৈর্য ধরে বিএনপি নেতাদের অপেক্ষা করতে বলব। এটা নিয়ে অন্য বিষয়ের যেন নাটক করা না হয়। পুলিশ প্রস্তুতি নিচ্ছে, পেয়ে যাবেন অনুমতিপত্র। অহেতুক এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। আসলে আন্দোলনের ডাক দিয়ে পুলিশের গতিবিধি কড়া না নরম এ খবর নিতে চায় বিএনপি নেতারা। এরাই হচ্ছে নেতা, এরা আবার আন্দোলন করবে? পত্রিকার মালিক-সম্পাদকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার অনুরোধ যা দেখবেন, যা শুনবেন তাই লিখবেন। শুক্রবার ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক (মোহাম্মদ নাসিম) আমাকে বলেছেন, তারা কর্মী সমাবেশ করছেন। কিন্তু আপনারা একে সমাবেশ বলছেন কেন? সমাবেশ বানিয়ে বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি তো আমরা করব না। পাল্টাপাল্টি করলে কী আমরা নাট্যমঞ্চে করব? এটা সমাবেশ নয়, এটা হচ্ছে কর্মী সমাবেশ। এসব বিষয়গুলো জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। আর পুলিশের অনুমতি শুধু বিরোধী দল নয়, সরকারী দলকেও নিতে হয়। আমরা ক্ষমতাসীন দলও অনুমতি নেই, এটাই নিয়ম। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের নিচের সারির কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। দেশে এসে বলেছিলেন, জাতিসংঘ নাকি তাদের পক্ষে দাঁড়াবে। অথচ গতকাল (শুক্রবার) শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, বাংলাদেশে আজ যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এ জন্য শেখ হাসিনার সরকার ও জনগণের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সহযোগিতা করবেন। এটা আমরা বিএনপির মতো বানিয়ে বলছি না, দেশ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ আছে। এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশে পরাজয়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে সবার মন খারাপ। কারণ বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আমরা ক্রিকেটে হেরে গেলাম। কিন্তু আমরা হারিনি, হারব না। বাংলাদেশের টাইগাররা চোট খেয়েছে। কিন্তু এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কয়েকবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে লড়াই করেছে। শেষ বল পর্যন্ত ঘাম ঝরিয়ে ভারতকে বিজয় দেখতে হয়েছে।
×