ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

জন্মদিনে মানবতার জননীকে অভিবাদন

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 জন্মদিনে মানবতার জননীকে অভিবাদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শরতের বিকেলে সোনামণিদের হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে অজস্র বেলুন। একপর্যায়ে অসীমের পানে ছেড়ে দেয়া হয় লাল-নীল-হলুদ রঙের বর্ণবহুল বেলুনগুলোকে। এরপর শত স্কুলের হাজার শিক্ষার্থীর কণ্ঠে ভেসে বেড়ায় গান। সবাই মিলে গেয়ে ওঠে- আকাশ ভরা সূর্য-তারা, বিশ্বভরা প্রাণ/তাহারই মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান...। এভাবেই গানের সুরে, ক্যানভাসে ছবি এঁকে, কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে কিংবা নৃত্যের নান্দনিকতায় জন্মদিনের ভালবাসা জানানো হলো শেখ হাসিনাকে। শুক্রবার মানবতার জননীখ্যাত প্রধানমন্ত্রীর ৭২তম জন্মদিনের আয়োজনটি হয়ে উঠলো বর্ণময়। ‘উন্নয়নের ধ্বনি মহাসমুদ্রে, প্রাণে প্রাণে মহাকাশে/মানবতার জননীয় তোমায় অভিবাদন’ প্রতিপাদ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। একাডেমির উন্মুক্ত প্রান্তরসহ আয়োজনের বিস্তৃতি ছড়িয়ে পড়ে নাট্যশালার মিলনায়তন পর্যন্ত। বহুমাত্রিক পরিবেশনায় সাজানো আয়োজনটি ছিল হৃদয় রাঙানো। বিকেলে একাডেমির উন্মুক্ত আঙিনায় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। সম্মেলক কণ্ঠে গীত হয় ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি...’। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর বক্তব্য রাখেন অতিথিরা। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতি সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সচিব বদরুল আনম ভুঁইয়া। শেখ হাসিনার সংগ্রামমুখর জীবনের কথা উঠে আসে আসাদুজ্জামান নূরের বক্তব্যে। সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা যখন ইডেন কলেজের ছাত্রী ছিলেন তখন তাকে প্রথম দেখেছিলাম। এরপর দীর্ঘদিন আর দেখা হয়নি। কারণ পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর দেশের বাইরে শরণার্থীর জীবন কাটাতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। এরপর ১৯৮১ সালে ফিরে এলেন দেশের মাটিতে। যেদিন তিনি দেশে পা রাখলেন লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটেছিল বিমানবন্দরের চারপাশে। সে সময় অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরছিল। ওই বৃষ্টির ফোটার মাঝে মিশেছিল জাতির জনককে সপরিবারে হত্যাকান্ডের বেদনার্ত অশ্রু। এরপর অসীম সাহসে নতুন এক স্বাধীনতার যুদ্ধে নামলেন শেখ হাসিনা। সেই সময় এই দেশটা চলছিল উল্টো পথে। বঙ্গবন্ধুর নামটি উচ্চারণ করা যেত না। বিকৃত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। এমন প্রেক্ষাপটে নবযাত্রা শুরু করলেন শেখ হাসিনা। বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সব ভয়কে জয় করে তিনি এগিয়ে গেছেন। ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসস্তূপ থেকে জেগে উঠেছেন। তার সেই জেগে ওঠার সুবাদে আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরেছে বাংলাদেশ। ক্রমাগত উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে স্বদেশ। আনুষ্ঠানিক আলোচনা শেষে ছিল দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর আটটি গানের পরিবেশনা। একাডেমি গৃহীত দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত ও বাংলা সঙ্গীত সংস্কৃতি শিক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় এসব শিশুশিল্পীদের বাছাই করা হয়। শিশুশিল্পীরা শুরুতেই গেয়ে শোনায় ভাষার গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। এরপর একে একে গেয়ে শোনায় ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘সত্য বল সুপথে চল, ওরে আমার মন’, ‘দাও শৌয্য দাও ধৈর্য’, ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’, ‘মঙ্গল হোক এই শতকে মঙ্গল সবার’ ও ‘এ মাটি নয় জঙ্গীবাদের, এই মাটি মানবতার’। শিশুকণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশনা শেষে বাউলের সুর ছড়িয়ে দেন একাডেমির বাউল সঙ্গীতদলের শিল্পীরা। এরপর নড়াইলের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ লাঠি খেলা দল পরিবেশন করে লাঠি খেলা। সবশেষে ছিল ‘উন্নয়নের মহাকবি, মানবতার মা’ শীর্ষক পারফর্মেন্স আর্ট। এটির পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়পর্ব ছিল একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে। এ পর্বের শুরুতেই শেখ হাসিনার জীবন ও কর্ম নিয়ে পুতুল নাচ পরিবেশন করে মাল্টিমিডিয়া পাপেট থিয়েটার। এরপর ছিল প্রধানমন্ত্রীর কর্ম নিয়ে তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী। পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য। একাডেমির নৃত্যদল ‘হে নূতন দেখা দিক আরবার’ ও ‘মঙ্গল হোক এই শতকে মঙ্গল সবার’, নৃত্যাঞ্চল ‘আলোকের এই ঝরনাধারায়’ ও ‘নাও ছাড়িয়া দে’ গানের সুরে নাচ করে। একাডেমির শিশু এ্যাক্রোবেটিক দল পরিবেশন করে ক্যাপ ড্যান্স। বড়দের এ্যাক্রোবেটিক দল পরিবেশন করে চেয়ার সিটিং। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নৃত্য পরিবেশনায় বহুমাত্রিকতা পায় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদ্যাপনের আয়োজনটি। ‘শেখ হাসিনা : দুর্গম পথযাত্রী’ ॥ ‘শেখ হাসিনা : দুর্গম পথযাত্রী’ শিরোনামে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন অমর একুশ গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। প্রায় দেড় ঘণ্টা ব্যাপ্তির এ প্রামাণ্যচিত্রে শেখ হাসিনা জীবন ও কর্ম তুলে ধরেছেন তিনি। শুক্রবার শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মদিনে প্রামাণ্যচিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হলো। বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে প্রামাণ্যচিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও প্রামাণ্যচিত্রটির অন্যতম চিত্রনাট্যকার গোলাম রব্বানী। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বয়সে ছোট হলেও, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু। মূলত তিনি কবি ও সাংবাদিক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। এই অসুস্থতার ভেতরেই তার সৃজনশীল কাজ করে চলেছেন। এরই মধ্যে ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’র পর তিনি উপহার দিয়েছেন এই প্রামান্যচিত্রটি। যার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে দারুণভাবে তুলে ধরেছেন তিনি। শেখ হাসিনা জীবনের নানা অধ্যায়, বিশেষ করে তার সংগ্রামী জীবন উপস্থাপিত হয়েছে। উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের দ্বাদশ সম্মেলন ॥ ‘আমরা চলেছি দুর্গম পথে, আমরাই গড়ি ইতিহাস’ প্রতিপাদ্যে শুরু হলো উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকা মহানগর সংসদের দুইদিনব্যাপী দ্বাদশ সম্মেলন। শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে এর উদ্বোধন করেন উদীচী’র সাবেক সভাপতি, বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উদীচীর সাবেক সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ ইদু, বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, মাহমুদ সেলিম, প্রবীর সরদার, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন এবং উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য শংকর সাওজাল। এর আগে ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর’ গানের সুরে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে উদীচীর শিল্পীরা। এরপর ‘ও দুঃখী নাইয়া’ ও ‘তুমি মানুষ আমি মানুষ, কেউ হিন্দু কেউ মুসলমান’ গান দু’টি সমবেতভাবে পরিবেশন করা হয়। দিনব্যাপী সাংগঠনিক অধিবেশন শেষে বিকেলে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্ব। এ পর্বে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের অন্তর্ভুক্ত শাখাসমূহের মধ্যে উত্তরা, পল্লবী, তেজগাঁও, বাড্ডা, সাভার, লালবাগ, গুলশান, কাফরুল, ধানমন্ডি, মিরপুর ও গেন্ডারিয়ার শিল্পী-কর্মীরা বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন। এছাড়াও দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের আবৃত্তি বিভাগের বাচিক শিল্পীরা। সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষদিন আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে সাংগঠনিক অধিবেশন। দিনব্যাপী এ পর্ব শেষ হবে পরবর্তী দু’বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ও কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে। নতুন কমিটির শপথগ্রহণের পর সন্ধ্যায় পরিবেশিত হবে প্রামাণ্যচিত্র ‘মনপুরা-৭০’। এটি গ্রন্থনা ও পরিচালনা করেছেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে চিত্রাঙ্কন কর্মশালা ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে ৭১টি পোট্রেট ছবির প্রদর্শনী ও চিত্রাঙ্কন কর্মশালার আয়োজন করে হাসুমণির পাঠশালা। খুদে শিল্পীদের রং-তুলিতে চিত্রিত হয় ৭১টি প্রতিকৃতি। সেই সঙ্গে ৭১ ফুট ক্যানভাসে শিশুশিল্পীরা ফুটিয়ে তোলে স্বপ্নের সোনার বাংলার রূপরেখা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা আহমেদ, হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে গওহর রিজভী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করাটাই হত্যাকারীদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল না। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে ধ্বংস করা। যা ২১ বছর ক্ষমতা দখল করে রেখে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তাদের সে উদ্দেশ্য নষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি ধীরে ধীরে দেশকে স্বপ্নের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। গওহর রিজভী বলেন, ২০০৯ সালের দিকে শেখ হাসিনাকে জেলে রাখা হয়েছিল। তাকে দেশত্যাগ করার জন্য চাপ দেয়া হয়েছিল। মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি ভয় করেননি। উনার সঙ্গে বারবার আমার জেলে গিয়ে দেখা করার সুযোগ হয়েছিল। তিনি শুধু আমাকে একটা কথাই বলতেন, আমি ক্ষমতা চাই না। আমার বাবা যে স্বপ্ন দেখিয়ে গিয়েছিলেন- এই দেশ সোনার বাংলাদেশ হবে। এখানে দারিদ্র্য থাকবে না; কেউ না খেয়ে থাকবে না; সব ছেলেমেয়ে শিক্ষা পাবে। এই স্বপ্ন যদি পূরণ করে যেতে না পারি তাহলে কি করে বাবাকে মুখ দেখাব। ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন ইউডার শিক্ষার্থীদের সেমিনার ॥ ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা)-এর এমবিএ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘সোশ্যাল ডাইমেনশন অফ এইচ আর’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ইউডা অডিটরিয়ামে এ সেমিনারের আয়োজন করে ইউডার ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউডা প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রফেসর মুজিব খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউডার ভাইস চ্যান্সেলর ড. রফিকুল ইসলাম শরীফ। মাস্টার্স প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. আব্দুল্লাহ সেলিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আব্দুল্লাহ-হিল-মুনতাকিম। বিশেষ বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফ্ফাত চৌধুরী। গণতন্ত্রী পার্টির ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ॥ বঙ্গবন্ধু কন্যা ও ১৪ দলের নেত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার গণতন্ত্রী পার্টি কাপাসিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদারের নেতৃত্বে টোক ইউনিয়নের বীর উজুলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে ১৫ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এক হাজার ১৬৩ রোগীকে ফ্রি ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ বিতরণ করেন। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবস্থাপনায় মেডিক্যাল ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্রী পার্টি কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ গনি, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আউয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী, আব্দুল মান্নান, আব্দুল হক, আব্দুর রশীদ, মোঃ হাবিবুল্লাহ, ইউসুফসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, কাপাসিয়ার মাটি মুক্তিযুদ্ধের রক্তস্নাত উর্বর ভূমি। এখানে মুক্তিযুদ্ধের অনেক গৌরবগাঁথা রয়েছে। সবার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু কন্যা হলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্যের প্রতীক।
×