ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অক্টোবরে মেডিক্যাল কলেজের নতুন ভবন ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি

বদলে যাবে সিরাজগঞ্জের স্বাস্থ্যসেবা

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 বদলে যাবে সিরাজগঞ্জের  স্বাস্থ্যসেবা

সিরাজগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে শিয়ালকোলে উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প ‘শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও পাঁচ শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল’ নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রকল্পের কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যেই ভবনসমূহের নির্মাণ কাজের ৬০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সরেজমিন প্রকল্প এলাকায় কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে চলতি বছরের অক্টোবরর মাসের মধ্যে একাডেমিক ভবনসহ ছাত্রছাত্রী হোস্টেল নির্মাণ কাজ শেষ করে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। হাসপাতাল ভবন, একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনের নির্মাণ কাজ জোরেশোরে চলছে। রাতেও কাজ করা হচ্ছে। কাজের অগ্রগতিও সন্তোষজনক। জাতীয় নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ, এম মনসুর আলীর নামানুসারে সিরাজগঞ্জে স্থাপিত ‘শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও ৫ শ’ শয্যার হাসপাতাল’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মনসুর আলী সরকারী এই মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। ৩০ একর জমির উপর নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবার কথা ২০১৯ সালের জুন মাসে। সিরাজগঞ্জ শহর উপকণ্ঠের শিয়ালকোলে বিসিক এস্টেটের সামনে শুরু হয়েছে উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের নির্মাণ কাজ। মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ কাজে এক হাজার কর্মজীবী মানুষের হাঁকডাকে শহর উপকণ্ঠের এই শিয়ালকোল নতুন করে জেগে উঠেছে। এই মেডিকেল কলেজ নির্মাণ কাজ শেষ হলে সিরাজগঞ্জ জেলাসহ আশপাশের মানুষ উন্নতর চিকিৎসা সেবা পাবে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে। এটা চালু হলে সিরাজগঞ্জ শহরে সাড়ে সাত শ’ শয্যার সরকারী হাসপাতালের সেবা পাবে এ অঞ্চলের মানুষ। এখন অস্থায়ী ক্যাম্পাস সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের পাশে ট্রমা সেন্টার থেকে এই মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার টার্গেট নিয়ে গণপূর্ত বিভাগ নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এক শ’ ছিয়াশি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ৫শ’ শয্যার হাসপাতাল ভবনের নির্মাণ কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাঁচ কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের ১০ তলা ফাউন্ডেশনের ৬ তলা একাডেমিক ভবন ও ৮ তলা ফাউন্ডেশনের ৬তলা বিশিষ্ট ছাত্রছাত্রী হোস্টেল ভবন নির্মাণ, ডরমেটরি ভবনসহ আনুষঙ্গিক আরও অন্যান্য ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় সোয়া তিন শ কোটি টাকার নির্মাণ কাজ এ বছরেই শেষ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। -বাবু ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে
×