ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সমস্যায় পড়ে গেলেন সাকিব

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সমস্যায় পড়ে গেলেন সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যে ভয় ছিল সেটিই শেষ পর্যন্ত হলো। সাকিব আল হাসানের আঙ্গুলের অবস্থা এমনই হয়ে দাঁড়াল, পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতেই খেলতে পারলেন না। একাদশের বাইরেই থাকতে হলো সাকিবকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে দেশে ফিরেই সাকিব জানিয়েছিলেন, অস্ত্রোপচারটা এশিয়া কাপের আগে হলেই ভাল হয়। তার ইচ্ছে ছিল এশিয়া কাপের আগেই অস্ত্রোপচার করানো। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শুরুতে এশিয়া কাপের পরে সাকিব অস্ত্রোপচার করলে দলের জন্য ভাল হয় বলে মত দেন। এরপর সাকিবের ওপরই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেন। শেষ পর্যন্ত হজ করে এসে বিসিবি সভাপতি-সাকিব আলোচনার পর এশিয়া কাপ খেলারই সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। এশিয়া কাপে গ্রুপপর্বে দুই ম্যাচ, ‘সুপারফোরে’র দুই ম্যাচও খেলেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘অঘোষিত’ সেমিফাইনাল ম্যাচে আর খেলতে পারেননি। যতদূর জানা গেছে, সাকিব নাকি ব্যাটিংই করতে পারছিলেন না। ব্যাটিং করার জন্য ব্যাটই ঠিকমতো ধরতে পারছিলেন না। যে আঙ্গুলে সমস্যা, সে আঙ্গুল ফুলে গেছে। বাড়তি হাড়ের কারণে সমস্যা হচ্ছিল, তা আরও বেড়েছে। অনেক লিকুইডও জমা হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেমন ইনজেকশন নিয়ে খেলেছেন সাকিব। এশিয়া কাপেও তাই করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাও করে কাজ হচ্ছিল না। ব্যাটই ধরতে পারছিলেন না। আর তাই সাকিবকে ছাড়াই পাকিস্তানের বিপক্ষে দলকে খেলতে নামতে হয়েছে। এখন এশিয়া কাপের পর যে অস্ত্রোপচার করানোর কথা ছিল সেইরকম নিশ্চয়ই হবে। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সাকিবকে ছাড়াই দলকে খেলতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পুরো ফিট হয়ে খেলেননি সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি টি২০ সিরিজেও আঙ্গুলের ব্যথা দূর করতে সাকিবকে একটি ব্যথানাশক ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। তা নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছে সাকিবকে। প্রথম টি২০তে সেই কাজ করতে হয়েছে। এ বছর জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিংয়ের সময় বল ধরতে গিয়ে আঙ্গুলে চোট পেয়েছিলেন সাকিব। তাতে করে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচে খেলতে পারেননি। ফাইনালসহ শেষ দুটি ম্যাচ খেলেন। মারাত্মক ইনজুরিতে পড়ায় সেই সময় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টও খেলতে পারেননি সাকিব। আঙ্গুলে সেলাই হয়েছিল। সেলাই করার কয়েকদিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে ভাবা হলেও তা হয়নি। উল্টো সেলাই খোলার সময় আঙ্গুল ফুলে গিয়েছিল। ব্যথাও করছিল। তাতে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেননি সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ব্যথা হওয়ায় এশিয়া কাপে সাকিবের খেলা নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সাকিব খেলেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে আঙ্গুল ফুলে যায়। ব্যাটই ধরতে পারছিলেন না। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে খেলেননি সাকিব। যে ভয় ছিল, টুর্নামেন্টের সময় না আবার সমস্যা ধরা পড়ে। তাই হলো।
×