ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

অর্ণব ও নীলিমেশের সরোদ এবং তবলার যুগলবন্দীতে মুগ্ধ শ্রোতা

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অর্ণব ও নীলিমেশের সরোদ এবং তবলার যুগলবন্দীতে মুগ্ধ শ্রোতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম। পুরো মিলনায়তনজুড়ে ধ্বনিত হচ্ছে একের পর এক শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিভিন্ন রাগ। ভারতের দুই তরুণ শিল্পী অর্ণব ভট্টাচার্য ও নীলিমেশ চক্রবর্তীর সরোদ ও তবলার যুগলবন্দীতে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন যেন সুর-নন্দনে পরিণত হয় বুধবার সন্ধ্যায়। শ্রোতারা পিন পতন নিরবতায় উপভোগ করে সেই সুর মূর্ছনা। শিল্পীদ্বয়ের এ যুগলবন্দীর আয়োজন করে ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।। অনুষ্ঠানটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। শুরুতে রাগ জয়জয়ন্তীর আলাপের সুর সেতারে তোলেন শিল্পী অর্ণব ভট্টাচার্য। এরপর শিল্পী পরিবেশন করেন রাগের জোড়। পরে ঝালা পরিবেশনের মধ্যদিয়ে রাগ জয়জয়ন্তীর শেষ টানেন শিল্পীদ্বয়। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এমনই নিজস্বতা যা কোন কোন সময় সব কিছু থেকে আলাদা করে ফেলে। বৈচিত্র্যময় রাগ-রাগিনীর সুধায় এ সঙ্গীত এক স্বগীয় অনুভূতি জাগায়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নানা বাদ্যযন্ত্র ও কণ্ঠের আশ্রয়ে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের চর্চা হচ্ছে। প্রবীণদের পাশাপাশি প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন অপেক্ষাকৃত তরুণ শিল্পীরাও। তেমনি দুজন শিল্পী সরোদ বাদক অর্ণব ভট্টাচার্য এবং তবলা বাদক নীলিমেশ চক্রবর্তী। ভারতের এই দুই শিল্পী তাদের সুরেলা ও ছন্দময় পরিবেশনায় মুগ্ধতা ছড়ালেন ঢাকার দর্শকদের। সরোদ আর তবলার যুগলবন্দীতে মাতিয়ে রাখলেন কয়েক ঘন্টা। যদিও নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে শুরু হয় শিল্পীদের পরিবেশনা। শিল্পীদের দ্বিতীয় পরিবেশনায় ছিল রাগ তিলোক কামোদ। তিন তালে চামৎকার ভাবে রাগটি পরিবেশন করে সকলকে তাক্ লাগিয়ে দেন তারা। ভারতীয় শাস্ত্রীয়সঙ্গীতে প্রথাগত ও আধুনিক উভয় ধারারই সংমিশ্রণ পাওয়া যায় অর্ণব ভট্টাচার্যের পরিবেশনায়। বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন তিনি। দেশে-বিদেশের বহু মঞ্চে সরোদ পরিবেশনের খ্যাতি অর্জন করেছেন অল ইন্ডিয়া রেডিও ও দূরদর্শনের এই নিয়মিত শিল্পী। অন্যদিকে সঙ্গীত পরিবারে জন্ম নেয়া নীলিমেশ চক্রবর্তী বহু গুণী তবলাবাদকের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সর্বভারতীয় সঙ্গীত পরিষদসহ নানা প্রতিযোগিতায় সেরা তবলা বাদকের কৃতিত্ব লাভ করেছেন। কথামালায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন ॥ অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করল বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বুধবার দুপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ। প্রধান আলোচক ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, চিত্রনায়িকা নতুন, চিত্রনায়িকা অরুনা বিশ^াস, মোবারক আলী শিকদার, অরুন সরকার রানা, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি, আজাদ খান, শাহ আলম প্রমুখ। ভাষাসংগ্রামী শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত ॥ বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি, রাজনীতি জগতের চার গুণী স্মরণে স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। এরা হলেন ভাষাসংগ্রামী শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, অজিত কুমার গুহ ও কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী এবং শিক্ষাবিদ গবেষক ড. মুহম্মদ এনামুল হক। চার দিনব্যাপী এ স্মারক বক্তৃতানুষ্ঠানের তৃতীয় দিন ছিল বুধবার। ভাষাসংগ্রামী শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এদিন বিকেলে। বক্তৃতা প্রদান করেন গবেষক, প্রকাশক নিশাত জাহান রানা। সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অর্থনীতিবিদ এম সাইদুজ্জামান, লেখক মোনায়েম সরকার এবং শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী আরমা দত্ত। আতাউস সামাদ স্মৃতিসভা অনুষ্ঠিত ॥ বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভা হয় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বুধবার সকালে। স্মরণসভার আয়োজন করে আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ। অনুষ্ঠানে বরেণ্য এ সাংবাদিকের স্মৃতিচারণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।
×