ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র

বিডিনিউজ ॥ মিয়ানমার এবং বাংলাদেশে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য সহায়তা প্রায় দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাড়তি সাড়ে ১৮ কোটি মার্কিন ডলার দেবে। এর মধ্যে সাড়ে ১৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ সাহায্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের পেছনে খরচ হবে। হ্যালি জাতিসংঘ তদন্তকারীদেরকে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও তুলে ধরার দাবি জানান। গত বছর আগস্টে মিয়ানমারের প্রায় ৩০টি সীমান্ত পুলিশ ও সেনা পোস্টে মুসলিম ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলায় কয়েকজন নিহত হওয়ার পর দেশটির পশ্চিমে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সেনা অভিযান শুরু হয়। সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে হত্যা ও ধর্ষণের পর বাড়ি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রাণ বাঁচাতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘ গঠিত স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রাখাইনে যে ধরনের অপরাধ হয়েছে, আর যেভাবে তা ঘটানো হয়েছে তার মাত্রা, ধরন এবং বিস্তৃতির দিক দিয়ে একে ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ বলে বর্ণনা করেছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মিয়ানমারের প্রধান সেনা কামান্ডার এবং জ্যেষ্ঠ পাঁচ জেনারেলকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) বা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে বিচারের মুখোমুখি করার কথা বলা হয়েছে। মিয়ানমার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের ওই প্রতিবেদনকে ‘একতরফা’ বর্ণনা করে বলেছে, সন্ত্রাসদমনে বৈধভাবে তারা রাখাইনে সেনাঅভিযান পরিচালনা করেছে। সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে হ্যালি সাংবাদিকদের বলেন, সেনাবাহিনী সেখানে অন্যায় করেছে। সেখানে কী ঘটেছিল তার পরিষ্কার উদাহরণ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সন্ত্রাসীরা সেখানে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেনি। বরং সেনাবাহিনী তাদের এ অবস্থা করেছে। এসব মানুষ বসবাসের জন্য শুধু একটি জায়গা চায়। হ্যালির এ ব্যক্তব্যের পর মিয়ানমার সরকার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।
×