ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি ১ অক্টোবর

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

খালেদার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি ১ অক্টোবর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি দুই আসামি যে নারাজি দিয়েছেন তার আদেশের জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য করেছে আদালত। অন্যদিকে দেশের বিশেষায়িত কোন হাসপাতালে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি মূলতবি হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের পর এ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, আইনে এমন কোন বিধান নেই প্রাইভেট হাসপাতালে দ-প্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসা করাতে হবে। এদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় কারাগারে থাকা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপীলের (আপীলের অনুমতির আবেদনের) শুনানিও ১ অক্টোবর হবে। মঙ্গলবার আপীল বিভাগের চেম্বার জজ, হাইকোর্ট ও বিচারিক আদালত এ আদেশগুলো প্রদান করেছে। খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি দুই আসামি যে নারাজি দিয়েছেন তার আদেশের জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য করেছে আদালত। মঙ্গলবার রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মোঃ আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। এ ছাড়া এ মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্যও বুধবার দিন ধার্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার এটির যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল এবং বিচারকের প্রতি দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মোল্লা ও মনিরুল ইসলাম খানের অনাস্থার আদেশের দিনও ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া যুক্তি উপস্থাপন মূলতবি রাখার আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে। অপরদিকে কারাগারে থাকা আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নাকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে সোমবার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে জেল কোড অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এবং তার জামিন বৃদ্ধি করেন। চিকিৎসা চেয়ে রিটের শুনানি ১ অক্টোবর ॥ দেশের বিশেষায়িত কোন হাসপাতালে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি মূলতবি হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান ও এ্যাডভোকেট এম জে আক্তার জাকির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শুনানিতে আদালত খালেদা জিয়ার আইনজীবীর কাছে জানতে চান, আপনারা কি রুল চান? তখন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, শুনানি শেষে আমরা আদালতের কাছে একটা অর্ডার চাই। তখন আদালত বলে, এখন তো ভ্যাকেশন কোর্ট, অল্প সময় কোর্ট চলবে। আপনাদের এটা বিস্তারিত শুনতে গেলে অন্য আইনজীবীদের ম্যাটারগুলো শোনা হবে না। এ পর্যায়ে আদালতে এ্যাটর্নি জেনারেল প্রবেশ করেন। তখন খালেদার জিয়ার আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে এ্যাটর্নি জেনারেল বিরোধিতা না করলে এখনই একটা অর্ডার দিতে পারেন। তখন আদালত বলে, আপনারা যে প্রক্রিয়ায় বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে তো বিরোধিতার সুযোগ রয়েছে। এরপর আদালত বলে, আমরা উভয়পক্ষের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনব। এ জন্য ১ অক্টোবর শুনানির জন্য রাখছি। এদিকে হাইকোর্টের আদেশের পর এ্যাটনি জেনারেল মাহবুবে আলম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আইনে এমন কোন বিধান নেই প্রাইভেট হাসপাতালে দ-প্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসা করাতে হবে। তার চিকিৎসা নিয়ে যে রিট ছিল সেটা আদালত আমাদের ছুটির (আদালতের অবকাশ শেষে) পর ১ অক্টোবর শুনানির জন্য ধার্য করেছেন। ইতোমধ্যে তার সর্বাত্মক চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাঁচজন চিকিৎসক দেখে এসেছেন, তারা টেস্ট করিয়েছেন। তবে তিনি বিশেষ কাউকে দিয়ে রক্ত পরীক্ষা করাতে চাইলেও সে বিষয়ে আইজি প্রিজন রাজি আছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। কিন্তু দ-প্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার সুযোগ নেই। চিকিৎসকরা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের সমগ্র হাসপাতালে যান, প্রাইভেট হাসপাতালে বসেন, এখানেই সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। অথচ তারা এ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছেন। তার চিকিৎসার বিষয়ে সরকার চেষ্টা করছে। শহিদুল আলমের লিভ টু আপীল শুনানি ১ অক্টোবর ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপীলের শুনানি ১ অক্টোবর হবে। এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার আপীল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শরিফ আহমেদ ভূঁইয়া ও তানিম হোসাইন শাওন। শুনানি শেষে আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন জানান, ১ অক্টোবর আপীল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
×