ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে কোন গাফিলতি সহ্য করা হবে না ॥ সিইসি

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নির্বাচনে কোন গাফিলতি সহ্য করা হবে না ॥ সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, সুষ্ঠু, ত্রুটিমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে যারা বিঘœ সৃষ্টি করতে পারে তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা একথা বলেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার বাহিনীর সদস্য এবং তার অধীনস্থ নির্বাচন কমিশনের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তিনি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে প্রাপ্ত মতামত পর্যালোচনা করে মাঠ পর্যায়ে যারা ভোট গ্রহণের দায়িত্ব এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন তাদের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন সংক্রান্ত সব ধরনের উপকরণ সরবরাহ ও সহায়তা প্রদানের কোন ত্রুটি থাকবে না। একজন ভোটার তার বাড়ি থেকে বের হয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে যাতে ভোট দিয়ে পুনরায় বাড়ি ফিরে আসতে পারে সে ধরনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ভোট গ্রহণের সময় কোন অবহেলা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ধরনের অনিয়ম ও গাফিলতি সহ্য করা হবে না। ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, ইভিএম ব্যবহারের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। আইন প্রণয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চালু থাকলে ভোট চুরি, জাল ভোট প্রদান বা ভোটের বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা কোনটি ঘটবে না। একজন ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইভিএম পদ্ধতি সহজভাবে ভোট দিতে পারবে। একজনের আঙ্গুলের ছাপ অন্যজনের সঙ্গে মিলবে না। এজন্য এই পদ্ধতি সবচেয়ে উত্তম। আগামীতে জেলা ও উপজেলায় অনুষ্ঠিত উন্নয়ন মেলায় নির্বাচন কমিশনের স্টল থেকে ভোটারদের ইভিএম ব্যবহারে ভোট দেয়ার পদ্ধতি শেখানো হবে। এভাবেই সারা দেশে ইভিএমের প্রয়োগ জনপ্রিয়তা নিয়ে আসার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ চালিয়ে যাবে। তিনি জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার সময়সীমা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হবে। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক ড. আ ন ম আবদুছ ছবুরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম, দিনাজপুর বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল মোর্শেদুর রহমান, র‌্যাব ১৩ ক্যাম্প কমান্ডার মেজর সোহেল হোসেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (রংপুর) জিএম সাহাদাম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ, সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, ভারপ্রাপ্ত আনসার এ্যাডজুটেন্ট মোতালেব হোসেন, ডিজিএফআই’র উপ-পরিচালক জুলফিকার রহমান, এনএসআই উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম মামুন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদ ইবনে ফজলসহ প্রমুখ কর্মকর্তাবৃন্দ পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিনাজপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠক করেন।
×