স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদ্যালয়ে যেতে সক্ষম শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং ঝরে পড়া রোধে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সোমবার উদযাপিত হয় ‘মীনা দিবস’। দিবসের এক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, বর্তমানে কোটি টাকার বিনিময়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের চাকরি মেলে না, কেবল মেধার ভিত্তিতে এখানে চাকরি পাওয়া যায়। সোমবার ‘মীনা দিবস-২০১৮’ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন কথা বলেন। দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাল্য বিবাহ, পরিবারে অসম খাদ্য বণ্টন, শিশুশ্রম রোধ ইত্যাদি বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা ও কার্যকরী বার্তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ‘মীনা’ চরিত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘মায়ের দেয়া খাবার খাই, মনের আনন্দে স্কুলে যাই’।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোঃ আকরাম আল হোসেন, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান খানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রী বলেন, কোটি টাকা দিয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া যাবে না। যারা টাকা দিয়ে চাকরি নেয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ধর্ণা দেন, দেন-দরবার করেন, তারা টাকাটাই হারাবেন, চাকরি পাবেন না। কিছু কুচক্রী মহলের উদ্দেশ্যই থাকে ধোঁকা দিয়ে মানুষের টাকা আত্মসাত করা।
তিনি আরও বলেন, মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে কোয়ালিটি শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব। সরকার একটি নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে খুব বেশি দেরি নেই। এটি করতে আমরা সেদিকেই হাঁটছি। বিদেশে অশিক্ষিত নয়, শিক্ষিত মানবসম্পদ পাঠাতে চাই। যেন বিদেশে গিয়ে মাথা উঁচু করে থাকতে পারে।’
মিনা দিবসের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মীনা চরিত্র কন্যা শিশুদের একটি স্বপ্নের চরিত্র। যুগের পর যুগ মীনার বয়স ১০ বছরই আছে, আমরা তাকে বড় হতে দেব না। কারণ, মীনাকে এ বয়সেই মানায়। মীনা অপ্রতিরোধ্য, সে সব কন্যা শিশুর আদর্শ। পরে মীনা চরিত্রের ওপর বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: