ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে ঢাকার পরিচ্ছন্নতা অভিযান

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে ঢাকার পরিচ্ছন্নতা অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী ঢাকাকে ‘পরিচ্ছন্ন ঢাকা’ হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে ‘গিনেস বুকে’ নাম লিখিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষ। ডিএসসিসি আয়োজিত ‘ঢাকা পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ নামে কর্মসূচীতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নিয়ে ভারতের আহমেদাবাদের কাছের একটি শহরের আগের গড়া রেকর্ড ভঙ্গ করল রাজধানীর অন্যতম সেবাদানকারী সংস্থাটি। সোমবার গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত একটি সনদ মেয়র সাঈদ খোকনের হাতে তুলে দিয়েছে। ডিএসসিসির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকির হোসেন জনকণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কর্মসূচী বাস্তবায়নের প্রায় পাঁচ মাস পরে রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়ে এ সংক্রান্ত একটি সনদ ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়রের কাছে পৌঁছে দিয়েছে গিনেস রেকর্ডবুক কর্তৃপক্ষ। পরিচ্ছন্নতায় বিশ্বরেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে গত ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তিতে ডিএসসিসি ও রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘ডেটল পরিচ্ছন্ন ঢাকা’ শিরোনামে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচীর মাধ্যমে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়তে প্রতীকী কর্মসূচী পালন করে ডিএসসিসি। এতে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করে। অপরদিকে বিশ্বরেকর্ড গড়তে এজন্য দরকার ছিল পাঁচ হাজার ৫৮ জনের রেজিস্ট্রেশন। ডিএসসিসি সূত্র জানায়, ভারতের আহমেদাবাদের কাছের একটা শহরে ৫ হাজার ২৬ জনকে নিয়ে এক কিমি রাস্তা পরিষ্কার করার মাধ্যমে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করার একটি রেকর্ড রয়েছে। সেই রেকর্ড ভাঙ্গার চেষ্টা করার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতায় জনগণকে সচেতন করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। ডিএসসিসি মনে করেছে, ভারতের ওই শহরে যত মানুষকে নিয়ে সড়ক পরিষ্কার করে বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়েছে, সেই সংখ্যার চেয়ে বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী তাদের রয়েছে। এ অবস্থায় নিজেদের কর্মীদের দিয়ে অভিযান চালানো হলেও রেকর্ডটি ভাঙ্গা সম্ভব। এর বাইরে নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করে রেকর্ডসংখ্যক মানুষকে উপস্থিত করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখার পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি করা যাবে। কর্মসূচীতে ডিএসসিসির নিজস্ব পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি বিভিন্ন সেবা সংস্থা, স্কুল-কলেজ, সরকারী, বেসরকারী, আধাসরকারী প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন, রাজনৈতিক দলের কর্মীসহ নগরবাসী অংশ নেন। রেজিস্ট্রেশনকালে পরিচ্ছন্নতা কাজে অংশ নেয়ার জন্য সবার হাতে একটি করে ঝাড়ু, মাথায় ক্যাপ ও মুখে মাস্ক দেয়া হয়। ঝাড়ুর সঙ্গে একটি বারকোড ও হাতে নির্দিষ্ট যন্ত্রবিশেষ দেয়া হয়। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ ড্রোন, স্যাটেলাইট ও লাইভ ভিডিওসহ তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে উপস্থিতি গণনা করে। সেদিন সকাল নয়টায় এ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেয়র সাঈদ খোকন। কর্মসূচী পালনকালে উপস্থিতির সংখ্যা পাঁচ হাজার ৫৮ অতিক্রম করার পরপরই সাঈদ খোকন বলেছিলেন, ‘ঢাকাবাসী, আমরা রেকর্ড ভেঙ্গেছি। এই রেকর্ড জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করলাম। এই রেকর্ডের মধ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছি, ঢাকাবাসী পরিষ্কার নাগরিক।’ এ সময় রেকর্ড গড়ার ঝাড়ু সবাইকে বাসায় নিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে তুলে রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
×