ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মংলা ও বুড়িমারীর দুর্নীতি প্রশ্নে টিআইবি

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 মংলা ও বুড়িমারীর দুর্নীতি প্রশ্নে টিআইবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মংলা বন্দর ও বুড়িমারী স্থলবন্দরে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। এই দুই বন্দরে গ্রহীতাদের সেবা দিতে বছরে প্রায় ৩১ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয় বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। রবিবার টিআইবি’র প্রধান কার্যালয়ে মংলা বন্দর ও কাস্টম হাউস এবং বুড়িমারী স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন। আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়ায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে এ দুটি বন্দর ও কাস্টমসের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির করা গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই যেখানে দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে, কিন্তু দুর্নীতিবাজরা শাস্তি পায়। আমাদের দেশেও এমন নজির দরকার। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের কার্যক্রম আরও জোরদার করা দরকার। তবে যদি রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত না নেয়া হয়, তাহলে দুর্নীতি কমবে না। টিআইবির গবেষণায় বলা হয়, এ দুটি বন্দরে পণ্য আমদানি-রফতানিতে সবগুলো ধাপেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে আর্থিক লেনদেন হয়। গত এক বছরে মংলা বন্দর ও কাস্টমসে অবৈধ লেনদেন হয় প্রায় ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে কাস্টমসে লেনদেন হয় প্রায় ১৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। মংলা বন্দরে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর বুড়িমারী স্থলবন্দরে অবৈধ লেনদেন হয় ১০ কোটি টাকার বেশি।
×