ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জীবাণুবাহিত চর্মরোগ নিয়ন্ত্রণে আরও গবেষণা প্রয়োজন

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জীবাণুবাহিত চর্মরোগ নিয়ন্ত্রণে আরও গবেষণা প্রয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জীবাণুবাহিত চর্মরোগের যথার্থ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের নিরন্তর গবেষণা ও চিকিৎসাসেবায় মনোনিবেশ। অপচিকিৎসা, অবৈজ্ঞানিক ওষুধ সেবনের কারণে রোগীর যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি রোগীর শরীরে ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস পাওয়ায় রোগ নিরাময় কঠিন হয়ে পড়ে। তাই নতুন নতুন জীবাণু ও সেই অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করে দেশের মানুষকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্ম ও যৌনব্যাধি বিভাগের উদ্যোগে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী লাউঞ্জে চর্মরোগ বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) ও চর্ম ও যৌনব্যাধি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, এমপি এবং বিশেষ অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মশিউর রহমান রাঙ্গা, এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ ডার্মাটোলজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম সেরাজুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক এহসানুল কবির জগলুল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউনিমেড ইউনিহেলথ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মোসাদ্দেক হোসেন। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল বৈজ্ঞানিক সেশন। বৈজ্ঞানিক সেকশন প্যানেল এক্সপার্ট হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক এজেডএম মাইদুল ইসলাম, অধ্যাপক এম এ ওয়াদুদ, অধ্যাপক এম ইউ কবির চৌধুরী, অধ্যাপক আগা মাসুদ চৌধুরী, অধ্যাপক মোঃ আকরাম উল্লাহ সিকদার, অধ্যাপক এম এ রউফ। গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক এম এ ওয়াহাব, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ অসিম কুমার নন্দী, ডাঃ দীপক কুমার দাস, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রফিকুর মওলা, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ তুষার কান্তি সিকদার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার ১২ হাজার চিকিৎসক, ১৫ হাজার নার্স ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ দিয়েছে। দেশের মানুষকে আরও উন্নত সেবা প্রদান করতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। গণমানুষকে সেবা দিতে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতেই বর্তমান সরকার গ্রামেগঞ্জে আবারও কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মশিউর রহমান রাঙ্গা, এমপি হাতুরে ডাক্তারদের বিষয়ে রোগীদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, চিকিৎসার বিষয়ে রোগী বা তাদের স্বজনদের কোন অভিযোগ থাকলে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) অথবা বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)কে জানাতে অনুরোধ করেন। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ তৈরির ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আজকের বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সেবাখাতেও আমরা অনেক অগ্রগতি লাভ করেছি। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমেছে, গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়েছে, গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ বছরে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও স্বাস্থ্য খাতে অনেক আরাধ্য কর্ম আমাদেরকে অব্যাহত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
×