ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাণিজ্য যুদ্ধে ক্ষতির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সাইকেল শিল্প

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাণিজ্য যুদ্ধে ক্ষতির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সাইকেল শিল্প

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বেইজিং আর ওয়াশিংটনের বাণিজ্য যুদ্ধে ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে চলছে হিসেব নিকেশ। প্রায় প্রতিটি রফতানিযোগ্য পণ্যের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন হুমকির মুখে। তেমনই একটি খাত বাইসাইকেল। যুক্তরাষ্ট্রের এ শিল্পটি এখন ঘাটতি পুষিয়ে সামনে এগুতে পারবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। যে কোন ধরনের যুদ্ধের ফলাফল কখনই সুখকর হয় না। সেটি প্রেমই হোক কিংবা বাণিজ্য। আঘাত সইতে হয় দু’পক্ষকেই। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের আঘাতটাও যেন সে কথাই বলে। আমেরিকার ৯৪ ভাগ তৈরি করা বাইসাইকেল আর বাইসাইকেল তৈরি ৪০ শতাংশ কাঁচামাল চীন থেকে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বাইসাইকেল কোম্পানি অব আমেরিকা এ যুদ্ধের যেন দামামায় টিকে থাকা চেষ্টায় এক একাকী যোদ্ধা। প্রতিষ্ঠানটির বছরে ৪ লাখ বাইসাইকেল উৎপাদন করে যার শতভাগ কাঁচামাল আসে চীন থেকে। তবে, অতিরিক্ত করের বোঝা প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যাহত করছে। সেই সঙ্গে অন্য দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে টিকে থাকার লড়াইয়ে নিজেদের অবস্থান নড়বড়ে বলে স্বীকারই করলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তা ব্যক্তিরা। বাইসাইকেল কর্পোরেশন অব আমেরিকর সিইও আরনল্ড কামলার বলেন, তথাকথিত বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে আমাদের উৎপাদন ২৮ লাখ থেকে কমে ২০ লাখ ইউনিট হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এ সুযোগে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো জায়গা করে নেয়ার কাজ শুরু করেছে। যা ব্যবসা পরিচালনার জন্য নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ। চীনের বাইসাইকের প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা পূরণ হবে না বলেও জানায় ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ব্যবস্থাপনার যে পদ্ধতিতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এগুচ্ছিলেন তাতে একপ্রকার পারিবারিক সম্পর্ক তৈরিও হয়ে গিয়েছিল, যা এখন ভেঙ্গে পড়েছে। বাইসাইকেল কর্পোরেশন অব আমেরিকা সিইও আরনল্ড কামলার বলেন, ‘সাংহাই থেকে আমাদের কাঁচামাল আসত। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের বহু বছরের সম্পর্ক। আমরা এ ছায়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে। এতে, শুরু ব্যবসা নয়, বহুবছরের গড়ে উঠে সম্পর্কেও চীড় ধরছে।’ এদিকে, সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সময়মতো পণ্য না পেলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি চাকরি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে কর্মচারীদের।
×