ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

টু ক রো খ ব র

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

টু ক রো খ ব র

পরিবেশ দূষণরোধে করারোপ কর আরোপের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণকারী কর্মকাণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা যেতে পারে। এজন্য প্রয়োজন পরিবেশগত আর্থিক সংস্কার। ২০ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বেসরকারী গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক এ্যাডাম স্মিথ ইন্টারন্যাশনালের (এএসআই) ‘ইকোনমিক ডায়ালগ অন গ্রিন গ্রোথ (ইডিজিজি)’ শীর্ষক কর্মসূচীর উদ্যোগে এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিসিএডি) সহযোগিতায় আয়োজিত ‘এ্যানুয়াল ডিসিমিনেশন ইভেন্ট’ শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে দুটি পৃথক সেশনে সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সেশনের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘দি কেস ফর এনভায়রনমেন্টাল ফিসকাল রিফর্মস ইন বাংলাদেশ’। এ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশের অনেক উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু এ অগ্রগতি অর্জন প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। সরকারের অনেক নিয়মনীতি ও আইন থাকলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন দুর্বল। পরিবেশ সুরক্ষায় সঠিক কৌশলেরও ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য ইআরএফের তিনটি ধরন হিসেবে ড. সাদিক প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার, পরিবেশগত সরকারী সেবার মূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশগত কর আরোপের কথা উল্লেখ করেন। তিনি প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস, মৎস্য ও বনসম্পদে কর আরোপের পরামর্শ দেন। ইআরএফের উপকরণ কী হতে পারে এমন প্রশ্নের ব্যাখ্যায় ড. সাদিকের উপস্থাপনায় সরকারী ব্যবস্থাপনায় সরবরাহকৃত পানির মূল্য নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ রয়েছে, ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ মিউনিসিপ্যালিটির নলের পানি ব্যবহারের সুবিধা পেয়েছে। পরিচালন ও ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত অদক্ষতায় পানি কমে যাওয়ার হার ২১-৩০ শতাংশ। শুধু ঢাকা শহরে আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে, যার আওতায় আছে মাত্র ২০ শতাংশ বর্জ্য পানি। এ পরিস্থিতি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হিসেবে উল্লেখ করা হয়। উপস্থাপনায় পরিবেশগত করের ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর কর আরোপসহ শিল্প দূষণ, পানি দূষণের ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ জানানো হয়েছে। এছাড়া বায়ু দূষণেও কর আরোপের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অর্থনীতি ডেস্ক
×