স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুস্থ সঙ্গীত বিকাশের লক্ষে অনুষ্ঠিত হলো ‘চ্যানেল আই মিউজিক এ্যাওয়ার্ডস ২০১৮’ পাওয়ার্ড বাই সেভেন আপ। এবার এই আসরের যুগপূর্তি আয়োজনটি হবিগঞ্জের ‘দ্যা প্যালেস’ লাক্সরী রিসোর্টের উন্মুক্ত চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে এবার আজীবন সম্মাননা দেয়া হয় প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে। তাঁর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, ট্রান্সকম বেভারেজস্ লিমটেডের এমডি খুরশীদ ইরফান চৌধুরী, ইমপ্রেস গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ মজুমদার, সঙ্গীতজ্ঞ আজাদ রহমান এবং শিল্পী মোঃ খুরশীদ আলম। সম্মাননা গ্রহণ করে সুবীর নন্দী বলেন, আমার জন্মস্থান হবিগঞ্জ। এখানেই আমাকে সম্মানীত করা হলো। আমার জন্মভূমিতে চ্যানেল আই আমার প্রতি যে ভালবাসা দেখিয়েছে তাতে আমি খুবই সম্মানীতবোধ করছি। এ সম্মাননা আমার একার নয়, পুরো হাবিগঞ্জ বাসির।
এদিকে এবার আজীবন সম্মাননাসহ ১৬টি ক্যাটাগরিতে সমালোচক পুরস্কার এবং ৬ ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভয়েস এ্যাওয়ার্ডস দেয়া হয়েছে । পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- রবীন্দ্র সঙ্গীত (বীথি পান্ডে), নজরুল সঙ্গীত (ছন্দা চক্রবর্তী), লোক সঙ্গীত (সাগর বাউল), গীতিকার (আসিফ ইকবাল), সঙ্গীত পরিচালক (অটামনাল মুন), মিউজিক ভিডিও (চন্দন রায় চৌধুরী), কাভার ডিজাইন (মাসুম বিল্লাহ্), সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার (এস আই সুমন), আধুনিক গান-২টা (সিঁথি সাহা এবং চন্দন সিনহা), ব্যান্ড (অরণ্য), নবাগত (রোমানা আক্তার ইতি), ছায়াছবির গান (চিরকুট) এবং উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, যন্ত্র (গাজী আব্দুল হাকিম)। গোল্ডেন ভয়েস এ্যাওয়ার্ডস প্রাপ্তরা হলেন- রবীন্দ্র সঙ্গীত (রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা), নজরুল সঙ্গীত (ফেরদৌস আরা), লোক সঙ্গীত (মমতাজ), ছায়াছবি গান (সামিনা চৌধুরী), আধুনিক গান (কুমার বিশ্বজিৎ) এবং গোল্ডেন মেকার (আফজাল হোসেন)। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন- শেখ সাদী খান, আব্দুর রশীদ মজুমদার, ফেরদৌসী রহমান, ফরিদা পারভীন, সিতারা জেবিন, সৈয়দ আব্দুল হাদী, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, দ্যা প্যালেস লাক্সারী রিসোর্ট-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুর রহমান, শাহানা সিরাজ, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, মৌসুমী ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি কাজী মঈনুদ্দীন আহমেদ টিপু, মোহাম্মদ আতাউর রহমান প্রদান, মানাম আহমেদ, নারী উদ্যোগক্তা কনা রেজা প্রমুখ। পুরস্কার প্রদানের ফাঁকে ফাঁকে নাজমা জামান, পিলু মমতাজ, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা এবং আঞ্জুমান আরা বেগমের গান পরিবেশন করেন মেহরীন, কোনাল, কনা, রমা, এলিটা এবং আলিফ। মৌলিক গান পরিবেশন করে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ঐশি, তিশা, মৌমিতা, ফাতেমা, লতা, তরিক এবং জনি। তানজিল এবং ইগল ড্যান্সের কোরিওগ্রাফিতে নৃত্য পরিবেশন করেন নুসরাত ফারিয়া। হাসন রাজা, রাধা-রমন দত্ত, শাহ্ আব্দুল করিম-এর লোকসঙ্গীত পরিবেশন করে চ্যানেল আই বাংলার গানের শিল্পী শারমিন, সেরাকণ্ঠ আশিক, দোলা, ঐশি, বিন্দু-কণা এবং রেশমী। সেরাকণ্ঠ কোনাল এবং ইমরানের গানের সঙ্গে পারফর্ম করেন লাক্স স্টার মিম মানতাসা এবং চ্যানেল আই-ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম আজাদ। তিন ঘণ্টার জাকজমকপূর্ণ এই আয়োজনটির উপস্থাপনা করেন ফারজানা ব্রাউনিয়া। পরিচালনায় ছিলেন ইজাজ খান স্বপন।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং ট্রান্সকম বেভারেজস্ লিমটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুরশীদ ইরফান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোটের এমডি মোঃ আরিফুর রহমান। সমাপনী বক্তব্যে চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ চ্যানেল আইয়ের অগনিত দর্শকদের চ্যানেল আইয়ের ২০ বছরে পদার্পণের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।
