ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফাইনালে খেলতে চান মৌসুমীরা

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ফাইনালে খেলতে চান মৌসুমীরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাফ অনুর্ধ-১৮ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে আসরটি। প্রতিযোগিতার ভেন্যু ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ আছে ‘বি’ গ্রুপে। তাদের সঙ্গে আছে নেপাল ও পাকিস্তান। ‘এ’ গ্রুপে আছে ভারত, মালদ্বীপ ও স্বাগতিক ভুটান। বাংলাদেশের গ্রুপপর্বের খেলাগুলো হলো : ৩০ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান এবং ২ অক্টোবর নেপালের বিরুদ্ধে। এই আসরে খেলতে বাংলাদেশ দল ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রশ্ন ওঠে এই আসরের খেলা শুরু হতে এবং বাংলাদেশের ভুটান যেতে এখনও দেরি এবং এই দলে অনুর্ধ-১৬ দলের অনেক খেলোয়াড় আছে যারা ঢাকায় এএফসি অনুর্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব খেলছে। এই আসরটি শেষ হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। অনুর্ধ-১৬ দলের যারা অনুর্ধ-১৮ দলে সুযোগ পায়নি তাদের কি মন খারাপ হবে না? এতে কি অনুর্ধ-১৬ সাফে তাদের খেলায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না? কাজেই সংবাদ সম্মেলনটি কি ২৪ বা ২৫ তারিখে করা যেত না? কেন এত আগে করা হলো? এর উত্তরে মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানান, ‘অনুর্ধ-১৮ দল দেশ ছাড়ার আগেই আমাকে চলে যেতে হবে এএফসির কাজে দেশের বাইরে, ২৩ তারিখে। এ জন্যই আজকে প্রেসমিট ডাকা।’ কিরণ আরও বলেন, ‘এই দলটি দীর্ঘদিন ধরে এক সঙ্গে থেকে অনুশীলন করে আসছে। এই দলটি গত বছর অনুর্ধ-১৭ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলেছে। সবদিক থেকেই দলটি ফিট আছে। আশাকরি তারা চ্যাম্পিয়ন হবার জন্যই খেলবে।’ তবে কিরণের সুরে কণ্ঠ মেলাননি কোচ গোলাম রব্বনী ছোটন এবং অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী। ছোটন বলেন, ‘এই আসরে আমরা প্রথমবারের মতো খেলব। নার্গিস ইনজুরির কারণে দলে নেই। এই দলে ১০ সিনিয়র এবং অনুর্ধ-১৬ দলের ১৩ ফুটবলার আছে। তারা অনেকদিন এক সঙ্গে অনুশীলন করায় তাদের মধ্যে ভাল সমন্বয় আছে। তবে অনুর্ধ-১৮ দলের সিনিয়র খেলোয়াড় গত ২ বছর ধরে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি। তবে তারা অন্যদের সঙ্গে অনুশীলনের পাশাপাশি সপ্তাহে ৩/৪টি করে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছে। আশাকরি সমস্যা হবে না। আমাদের লক্ষ্য ফাইনাল খেলা।’ অধিনায়ক হিসেবে এটাই প্রথম মিশন মিডফিল্ডার মৌসুমীর। তার ভাষ্য, ‘ক্যাপ্টেন্সি মানেই বাড়তি চাপ, বাড়তি দায়িত্ব। চেষ্টা করব ভালমতো দায়িত্ব পালন করতে। দলগতভাবে আমরা কঠোর হার্ডওয়ার্ক করেছি। অনুর্ধ-১৬ দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন অনুশীলন করেছি। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যেন ফাইনাল খেলতে পারি।’ উল্লেখ্য, ভুটানের মাটিতে এর আগে বাংলাদেশ দল দু’বার শিরোপা জিতেছে। দু’বারই পুরুষ দল। একবার ২০০২ সালে আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে (বাফুফে একাদশ নামে)। আরেকটি ২০১৪ সালে কিংস কাপে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব। ক’দিন আগেই মেয়েদের অনুর্ধ-১৫ জাতীয় দলও সেখান থেকে অল্পের জন্য সাফ অনুর্ধ-১৫ আসরের শিরোপা জিততে পারেনি। ফাইনালে ১-০ গোলে হেরে যায় ভারতের কাছে। এবার কি তাদের সেই ব্যর্থতা-অপূর্ণতা ভুলিয়ে দিতে পারবে অনুর্ধ-১৮ দল শিরোপা জিতে? যদিও তারা শিরোপা জেতার কথা জোর দিয়ে বলেনি। বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৮ জাতীয় নারী ফুটবল দল ॥ মাহমুদা আক্তার, রূপনা চাকমা, রোকসানা বেগম, মাসুরা পারভীন, শিউলি আজিম, আঁখি খাতুন, সাজেদা খাতুন, শামসুন্নাহার, আনাই মগিনি, নাজমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, নীলুফা ইয়াসমিন নীলা, মারিয়া মান্দা (সহ-অধিনায়ক), মিশরাত জাহান মৌসুমী (অধিনায়ক), ইশরাত জাহান রতœা, মনিকা চাকমা, মারিয়া খাতুন, সানজিদা আক্তার, তহুরা খাতুন, সিরাত জাহান স্বপ্না, কৃষ্ণা রাণী সরকার, রাজিয়া খাতুন এবং আনুচিং মগিনি। কোচ : গোলাম রব্বানী ছোটন, সহকারী কোচ : মাহবুবুর রহমান লিটু।
×