ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায়ের আগে হৃদয় জয় করল হংকং

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিদায়ের আগে হৃদয় জয় করল হংকং

শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ গ্রুপপর্বে দুটি ম্যাচেই হেরে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে বাছাই খেলে এশিয়া কাপে সুযোগ করে নেয়া হংকং। প্রথম ম্যাচে শক্তিধর পাকিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হারলেও শেষ ম্যাচে আরেক পরাশক্তি ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল পুচকে এই দেশটি। আসর থেকে বিদায় নিতে হলেও এশিয়া কাপের ইতিহাসে তাদের লড়াইয়ের কথা বিশেষভাবে লেখা থাকবে। মঙ্গলবার ভারত ম্যাচে ২৮৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে তাদের ওপেনিং জুটিই তুলে নিয়েছিল ১৭৪ রান। দুর্দান্ত ব্যাট করেন নিজাকত খান (৯২) ও অধিনায়ক অংশুমান রথ (৭৩)। ‘ডিফেন্ডিং’ চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫৯ রানে থামে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশটি। কেবল অভিজ্ঞতার অভাবে ২৬ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় হংকংকে। একদিকে মারছিলেন নিজাকত আর অন্যদিক ধরে রেখে একেবারে পেশাদারী ভঙ্গিতে ইনিংস গড়েন তারা। এদিন ভারত জাসপ্রিত বুমরাহকে খেলায়নি। তার অভাব বড় হয়ে দেখা দেয় ওই ম্যাচে। চোট সারিয়ে দলে ফেরা ভুবনেশ্বর কুমারকে তার স্বাভাবিক ছন্দে পাওয়া যায়নি। ৯ ওভারে তিনি ৫০ রান দেন। তার ঝুলিতে কোন উইকেট আসেনি। এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া খলিল আহমেদও প্রথম স্পেলে কোন রকম প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। আর শারদুল ঠাকুর এই ম্যাচ ভুলতে চাইবেন। ৪ ওভারে তিনি ৪১ রান দেন। হংকং-এর ওপেনাররা ২০ ওভারে ১১০ রান তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরই কেদার যাদব, যুবেন্দ্র চাহাল এবং কুলদীপ যাদব মিলে ২০ থেকে ৩০ ওভারে তাদের রান তোলার গতি আটকে দেন। এই ১০ ওভারে মাত্র ৩০ রান ওঠে। আস্কিং রানরেট পৌঁছায় ৭-এ। তাতেই চাপে পড়ে যায় হংকং। ৩৫তম ওভারে গিয়ে কুলদীপের বলে প্রথমে আউট হন অংশুমান। তারপরের ওভারেই আউট হন নিজাকত। দুই সেট ব্যাটসম্যান আউট হতেই হংকংয়ের আশা অনেকটাই নিভে যায়। নিজাকতের উইকেট নেন অভিষিক্ত পেসার খলিী। উইকেট নেয়ার পর থেকে তিনি ছন্দটা পেয়ে যান। তারপর থেকে তিনি অসাধারণ বল করেন। ৪ ওভার পরই তিনি তুলে নেন ক্রিস্টোফার কার্টারকে। শেষ ওভারেও একটি স্লোয়ার ডেলিভারিতে তিনি তুলে নেন এহসান খানকে (২২)। সবমিলিয়ে এদিন তিনি ১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ৩ উইকেট নেন চাহালও। কুলদীপ নিয়েছেন ২ উইকেট। টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল হংকং। শিখর ধাওয়ান (১২৭), আম্বাতি রায়ডুর (৬০) ব্যাটিংয়ে ভারত ৪০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানে পৌঁছেছিল। কিন্তু সেখান থেকে স্লগে বিগ হিট না নিতে পেরে শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৪৫ রান তুলতে পারে ভারত। ‘ফিনিশার’ ধোনি এদিন কোন রান না করেই আউট হয়ে যান। দীনেশ কার্তিক (৩৩), কেদার যাদব (২৮*) রান পেলেও একেবারেই খুঁটে খুঁটে রান নিয়েছেন। শেষদিকে যে মারের খেলা প্রয়োজন ভারতীয়দের ব্যাটিংয়ে তা পাওয়া যায়নি। হংকংয়ের দুই স্পিনার কিঞ্চিত শাহ ও এহসান খান ভাল বল করেন, দু’জনে মিলে ৫ উইকেট নেন। তারা প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিলেও তাদের বোলিং, ফিল্ডিং, ব্যাটিংÑ তিন বিভাগই মুগ্ধ করেছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। দুই হারে এশিয়া কাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিলেও পুচকে দেশটি ভারতকে নাড়িয়ে দিয়ে বেশ রোমাঞ্চই ছড়িয়েছিল।
×