ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থীরা

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কেরানীগঞ্জে মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১৮ সেপ্টেম্বর ॥ নির্বাচন সামনে রেখে কেরানীগঞ্জে দুই গ্রুপ মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। একটি গ্রুপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুবার নির্বাচিত এমপি এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং অপর একটি গ্রুপ নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুবার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহম্মেদ। ২০০৮ সালে কেরানীগঞ্জ উপজেলা ভেঙ্গে দুটি আসন (ঢাকা-২ ও ঢাকা-৩) করা হলে, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগই আসনটি ধরে রেখেছে। শুরুতে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ একত্রে কাজ করলেও নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলেও গ্রুপ দুটি আলাদা হতে হতে বর্তমানে পুরাই ফাটল ধরে আছে। বর্তমানে উভয় গ্রুপই আলাদা-আলাদা নির্বাচন সমন্বয় কমিটি গঠন করে যে যার মতো করে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একদিকে জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে থাকা শাহীন আহম্মেদ এবং অপর দিকে দৃঢ় অবস্থানে থাকা কামরুল ইসলাম, দুজনেই আলাদা-আলাদা মঞ্চ তৈরি করে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে তুলছেন। প্রার্থী হিসেবে দলের মধ্যে নতুন মুখের আবির্ভাবে দুবারের নির্বাচিত এমপি এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত হলেও দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে তার শক্ত অবস্থান রয়েছে। এই অবস্থানকে ধরে রাখার জন্য তিনি ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। অপরদিকে শাহীন আহম্মেদও মনোনয়নের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ চালাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি তিনি লিফলেট বিতরণ করছেন। তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও মসজিদ-মন্দিরে সহায়তা প্রদান করছেন। ঢাকা-২ আসনে অর্ধেকের বেশি ভোটার সাভার উপজেলার তেঁতুলঝরা, ভাকুর্তা ও আমিন বাজার ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ড যেখানে দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে কামরুল ইসলামের বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। অন্যদিকে অর্ধেকের কাছাকাছি ভোটারের বাস কেরানীগঞ্জের হযরতপুর, কলাতিয়া, রুহিতপুর, তারানগর, শাক্তা, বাস্তা ও কালিন্দী ইউনিয়নে। এসব এলাকায় দলের প্রভাব রয়েছে শাহীন আহম্মেদের। দুবার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনা শাহীন আহম্মেদকে ¯েœহের চোখে দেখেন। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দুজন সম্ভাব্য প্রার্থী কর্মকা- শুরু করায় দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। কে হবেন এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী? তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক নেতা জানান, দলীয় বিরোধ মীমাংসা না করে কাউকে প্রার্থী করা হলে সম্ভাবনাময় ঢাকা-২ আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। সিরাজগঞ্জে মিল্লাতের মতবিনিময় স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্যও বীরঙ্গনামাতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুরে মতবিনিময় সভা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি। তিনি এই মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শহীদের রক্তস্রাত বাংলার মাটিতে স্বাধীনতার বিপক্ষীয় শক্তি আবারও তৎপর। নানা অজুহাতে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাই এদের হিং¯্র থাবা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা মুক্তিযোদ্ধাদের পবিত্র দায়িত্ব। তিনি তার নিজের নির্বাচনী এলাকাসহ ৬টি আসনেই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ নেতা আনোয়ার হোসেন রতু। সভা সঞ্চালন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কেএম হোসেন আলী হাসান। বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট জুলফিকার আজাদ, এ্যাডভোকেট শুকুমার চন্দ্র দাস, আলহাজ ইসাহাক আলী, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, এ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস, পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের কমান্ডার-ইন-চীফ গাজী সোরহাব আলী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, যুদ্ধকালীন বেসরকারী সেক্টর পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সহঅধিনায়ক সোহরাব আলীসহ সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ উপজেলার প্রায় ৬ শ’ মুক্তিযোদ্ধা। মৌলভীবাজারে নির্বাচন করতে চান মুক্তিযোদ্ধা রফিকুর নিজস্ব সংবাদদাতা মৌলভীবাজার থেকে জানান, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ আসনে (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়েছেন, বর্তমান কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ রফিকুর রহমান। মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। এ সময় উপস্থিত থেকে অধ্যাপক রফিকুর রহমানকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী। অধ্যাপক মোঃ রফিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেছেন, উপাধ্যক্ষ এম এ শহীদ দীর্ঘ ২৬/২৭ বছর ধরে মৌলভীবাজার-৪ আসনের এমপি। এক ব্যক্তি এক জায়গায় একটানা এতদিন থাকার কারণেই এ আসনের ভোটাররা পরিবর্তন চাইছে। কাজেই এই পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশী। তবে অধ্যাপক রফিকুর রহমান, দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষেই তিনি কাজ করার প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেন।
×