ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে স্কুলের ছাদ ধসে সাত শিক্ষার্থী আহত

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আমতলীতে স্কুলের ছাদ ধসে সাত শিক্ষার্থী আহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ১৮ সেপ্টেম্বর ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার পাতাকাটা নুরুল হক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী। জানা গেছে, উপজেলার পাতাকাটা নুরুল হক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করে। শুরুতেই নিম্নœমানের কাজ করায় ভবন ছিল নড়বড়ে। মঙ্গলবার সকালের সিফট শেষে দুপুর ১২টায় দ্বিতীয় সিফট শুরু হয়। দ্বিতীয় সিফটে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা কক্ষে প্রবেশের পরেই বিকট শব্দে ভবনের পাঁচটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ও সুরকি ধসে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা দৌঁড়ে বিদ্যালয় ভবনের বাহিরে বের হয়ে যায়। এতে ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী লামিয়া, উসমিতা, মরিয়ম, পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ইমন ও ওবায়দুল্লাহসহ ৭ জন আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের পাঁচটি কক্ষের সবকটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ও সুরকি ভেঙ্গে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ ও মেঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ছাদ ও ভিমগুলো থেকে পলেস্তারা ও সুরকি পড়ে রড বের হয়ে গেছে। আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে প্রবেশ করছে না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশামনি, তিশা, লিমন ফকির, মারুফা, ইমন চন্দ্র ও নাঈম জানান, ক্লাসে প্রবেশের পরপরই বিকট শব্দে ভবনের ছাদের পলেস্তারা ও সুরকি খসে পড়ে। আমরা দৌঁড়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে কোন মতে রক্ষা পেয়েছি। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ম-ল ও রেকসোনা লাইজু বলেন, বিকট শব্দে একই সঙ্গে ভবনের চারটি কক্ষের পলেস্তারা ও সুরকি খসে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ডাক চিৎকার দিয়ে ভবন থেকে বের হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিস নাহার বলেন, বিদ্যালয় ভবন ধসের খবর তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে। এ ভবনে আর ক্লাস নেয়ার কোন পরিবেশ নেই। আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, ওই ভবনে ক্লাস করার উপযোগী নেই। আপাতত পার্শ্বে টিন সেটে ক্লাস নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
×