ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো বেজিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন ট্রাম্প

চীনের বিরুদ্ধে আরও শুল্ক

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চীনের বিরুদ্ধে আরও শুল্ক

চীনা পণ্যের ওপর ২০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন আমদানি শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্রতর করেছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো শুরুর কথা। পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়েও চীনকে সতর্ক করেছেন তিনি। চীন যদি পাল্টা পদক্ষেপ নেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাৎক্ষণিকভাবে তৃতীয় পর্বের দিকে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তৃতীয় পর্বের অর্থ আরও ২৬৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যে নতুন করে শুল্ক আরোপ করা। আর যদি তাই হয় তাহলে কার্যত যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা চীনের প্রায় সব পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হবে। -বিবিসি ও গার্ডিয়ান এবার চীনের প্রায় ছয় হাজার পণ্যের ওপর উচ্চ আমদানি শুল্কারোপ করা হচ্ছে। এসব পণ্যের মধ্যে হাতব্যাগ, চাল ও টেক্সটাইল পণ্য থাকতে পারে। তবে স্মার্ট ঘড়ি ও হাই চেয়ারের মতো পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হবে, এমন ধারণা থাকলেও এসব পণ্য ছাড় পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ফের কোন শুল্কারোপ করলে তার পাল্টা পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আগেই জানিয়ে রেখেছে চীন। নতুন এই শুল্ক আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। শুরুতে ১০ শতাংশ করে শুল্ক আদায় করা হবে। চলতি বছরের বাকি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে কোন সমঝোতা না হলে আগামী বছরের শুরু থেকে এসব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আদায় করা হবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের অন্যায্য বাণিজ্যনীতি, ভর্তুকি এবং কিছু খাতে বিদেশী কোম্পানিকে স্থানীয় অংশীদার নেয়ার বিধানের জবাবে এসব শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ‘কী ধরনের পরিবর্তন করা প্রয়োজন সে বিষয়ে আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার, আমাদের সঙ্গে আরও ন্যায্য আচরণ করার জন্য চীনকে সব সুযোগ দিয়েছি আমরা, কিন্তু এ পর্যন্ত চীন তার ধরন পাল্টাতে রাজি হয়নি,’ বলেছেন তিনি। এ নিয়ে চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো চীনা পণ্যে শুল্কারোপ করল যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে জুলাইতে ৩৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি করেছিল হোয়াইট হাউস। এরপর গত মাসে চীনের আরও ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এবার আরও শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আদমানিকৃত মোট চীনা পণ্যের প্রায় অর্ধেককে নতুন মাশুলের আওতায় নিয়ে এল। ব্লমবার্গ জানিয়েছে, চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিউ হে অতিরিক্ত শুল্কারোপের বিষয়ে আলোচনা করতে বেজিংয়ে এক বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে ওয়াশিংটনের পদক্ষেপের জবাব দিয়েছেন। এক জ্যেষ্ঠ চীনা নিরাপত্তা বাজার কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন শুল্কারোপ কাজ করবে না, যেহেতু পরিস্থিতি সামাল দিতে চীনের রয়েছে পর্যাপ্ত অর্থ এবং অর্থবিষয়ক নীতি সরঞ্জাম। বেজিংয়ের একটি অসমর্থিত সরকারী সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলেছে, নতুন করে আলোচনার জন্য চীন সম্ভবত কোন বাণিজ্যিক প্রতিনিধি ওয়াশিংটনে পাঠাবে না। এতে আরও বলা হয় আগামী সপ্তাহে লিউয়ের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে চীন তার পূর্ববর্তী পরিকল্পনা পর্যালোচনা করছে। সূত্রটি আরও বলেছে যে, বেজিং এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি, কিন্তু যে পর্যাপ্ত সহযোগিতা দেখানো পরিকল্পিত আলোচনার পূর্বশর্ত। এর আগে বিদেশী রাষ্ট্রগুলোকে সতর্ক করে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নায্য বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হতে ব্যর্থ হয় তবে তারা উচ্চ আমদানি শুল্কের মুখে পড়বে।
×