স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ সেøাগানে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর অংশ হিসেবে হত দরিদ্রদের মাঝে স্বল্প মূল্যে শরণখোলার চাল বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার তাফালবাড়ী বাজারে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা দেবদুত রায় ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আঃ হাইসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন। এ সময় ৩০ কেজির প্যাকেটজাত চালের একটি বস্তা পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন, সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ সংলগ্ন সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা নজির আহম্মেদ (৭০)। চাল পেয়ে তিনি উপজেলার কয়েক হাজার হতদরিদ্র পরিবার ও শরণখোলা বাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে তার নির্বাচনী ওয়াদা পালনের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান। একই গ্রামের বাসিন্দা হত দরিদ্র মিনারা বেগম ও নান্না মিয়া বলেন, যেখানে বাজারে ৪৫-৫০ টাকার কমে ১ কেজি চাল পাওয়া যায় না, সেখানে ১০ টাকা কেজি দরে মাত্র ৩০০ টাকায় ৩০ কেজি চাল পেয়ে আমরা (দরিদ্র পরিবারগুলো) সরকারের কাছে ঋণী।
তারা এ প্রকল্প ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার জোর দাবি জানান। এছাড়া চাল সরবারহের কাজে নিয়োজিত স্থানীয় তাফালবাড়ী বাজারের ডিলার শামসু জোমাদ্দার, সরোয়ার তালুকদার, ডালিম তালুকদার, মোঃ তারেক হাওলাদার ও আঃ হালিম হাওলাদার সহ অনেকে বলেন, বিগত দিনের তুলনায় এখন চাল সরবরাহের ক্ষেত্রে কোন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। উপকারভোগীদের তালিকা দেখে খুব সহজেই ৩০ কেজি ওজনে একটি করে প্যাকেটজাতক বস্তা দরিদ্রদের হাতে তুলে দেয়া যায় সহজেই। এক্ষেত্রে উপকারভোগীদের কারো কোন অভিযোগও নেই। এছাড়া সংশ্লিষ্ট খাদ্য কর্মকর্তা সকল ডিলারদের মাঝে খুব সহজে চাল বুঝিয়ে দিতে পারছেন। বস্তা পাল্টানোর ঝামেলা করতে হয় না। আর সেক্ষেত্রে চাল ঘাটতি হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা দেবদুত রায় জানান, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর অংশ হিসেবে হত দরিদ্রদের মাঝে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রির কার্যক্রম বছরের মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নবেম্বর এ ৫ মাস চালু থাকে। খাদ্য অধিদফতরের ওই কর্মসূচীর আওতায় শরণখোলা উপজেলার ২০ জন ডিলারের মাধ্যমে ৮ সহস্র্রাধিক দরিদ্র পরিবারকে এ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: