ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অসামাজিক কর্মকা-ের আখড়া রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টার

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অসামাজিক কর্মকা-ের আখড়া রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৭ সেপ্টেম্বর ॥ আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের আবাসিক কোয়ার্টারগুলোকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পরিত্যক্ত ঘোষণার পর দীর্ঘ দুই যুগ অতিবাহিত হলেও এগুলো অপসারণ করা হয়নি। ওইসব পরিত্যক্ত কোয়ার্টারগুলো দিন দিন বিভিন্ন প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে। এছাড়াও কোয়ার্টারগুলোর ইট, দরজা, জানালাসহ মূল্যবান সামগ্রী দিন দিন লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। এসব দেখার কেউ নেই। বর্তমান আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে আত্রাই পুরনো রেলওয়ে স্টেশন। এক সময় এখানেই ছিল রেলওয়ে স্টেশনের সকল কার্যক্রম। পরবর্তীতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যাত্রী ও জনসাধারণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আত্রাই নদী সংলগ্ন আত্রাইঘাটে রেলওয়ে স্টেশনটি স্থানান্তর করে। স্টেশন স্থানান্তর করা হলেও এখানে কেবল যাত্রীদের ট্রেনে ওঠা নামার জন্য প্লাটফরম, টিকিট কাউন্টার ও বুকিং কার্যক্রম ছাড়া সব কিছুই থেকে যায় পুরনো রেলওয়ে স্টেশনে। ট্রেনের ক্রসিং, পয়েন্টস পরিবর্তন, ডাউন কার্যক্রমসহ এখনও সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয় পুরনো রেলওয়ে স্টেশন থেকে। এদিকে পুরনো রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন স্থানে সে সময় গড়ে তোলা হয় বেশ কয়েকটি আবাসিক কোয়ার্টার। যেখানে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বসবাস করতেন। কালের বিবর্তনে পুরনো রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে জনসংযোগ কমে যাওয়ায় সেখানে বসবাসেও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন রেল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ফলে দিন দিন অকেজো হতে থাকে এসব কোয়ার্টার। পরিণত হতে থাকে অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায়। রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, এক সময় সেখানে ১৪টি কোয়ার্টার ছিল। যার সবস্টেশন মাস্টার থেকে শুরু করে পয়েন্টম্যান পর্যন্ত সপরিবারে বসবাস করতেন। বর্তমানে ১৪টি কোয়ার্টারের প্রায় সবগুলোই পরিত্যক্ত অবস্থায় দিন দিন বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এখনও একটি কোয়ার্টারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন পয়েন্টম্যান মতিউর রহমান। এ বিষয়ে আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোঃ ছাইফুল ইসলাম জানান, রেলের ওকেজো ও পরিত্যক্ত মালামাল সম্পর্কে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আর এগুলোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার তাদেরই রয়েছে।
×