পটিয়ায় দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ ॥ ফাঁকা গুলি

নিজস্ব সংবাদদাতা,পটিয়া, ১৭ সেপ্টেম্বর ॥ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩টি দোকান ভাংচুরও করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের চক্রশালা রেলস্টেশন এলাকায় মল্লাপাড়া ও খরনা ইউনিয়নের ওয়াহিদুরপাড়া গ্রামের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের মল্লাপাড়া গ্রামের কয়েক যুবকের সঙ্গে পাশর্^বর্তী খরনা ইউনিয়নের ওয়াহিদুরপাড়া এলাকার যুবকের সঙ্গে বাগ্বিত-া এবং পরবর্তীতে মারামারি হয়। গত শুক্রবার কচুয়াই ইউনিয়নের পারিগ্রাম এলাকার আবদুল হামিদ নামের এক যুবককে উপজেলার ওয়াহিদুরপাড়া এলাকার কয়েক যুবক মারধর করে। এই বিরোধের জের ধরে সোমবার সকালে ও রবিবার দুই দফায় দুই গ্রামের লোকজনের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ওই সময় দুই পক্ষ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। মল্লাপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনাফ জানিয়েছেন, অতর্কিতভাবে তাদের এলাকার আবদুল হামিদকে মারধর ও জবাই করে হত্যা করার চেষ্টা করেছে ওয়াহিদুরপাড়া এলাকার যুবকরা। এলাকার লোকজন এগিয়ে আসায় ওই যুবক প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। তাছাড়া হামলা ও ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনা ওয়াহিদুরপাড়ার লোকজনের পরিকল্পিত ছিল। তার আগের দিন (রবিবার) রাতে বৈঠক করে হামলা করেছে। খরনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মামুন, সোহা, ফারুক, শহীদ, জাফর, জসিমের নেতৃত্বে মল্লাপাড়া এলাকার হামিদকে হকিস্টিক ও রামদা দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেছে। তবে ছাত্রলীগ নেতা মামুন উল্টো অভিযোগ করেছে, মল্লাপাড়া এলাকার লোকজন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী। তারা এলাকায় বিশৃঙ্খলা করতে মারামারির সময় ফাঁকা গুলি করেছে। তাদের পক্ষের কেউ গোলাগুলিতে ছিল না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পটিয়া থানা পুলিশ ছাড়াও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ লাঠিচার্জ করে দুই পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। কচুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম ইনজামুল হক জসিম বলেন, মল্লাপাড়া এলাকার এক যুবককে মারধর করার ইস্যুতে ওয়াহিদুরপাড়া এলাকার লোকজনের সঙ্গে এই মারামারির প্রথম সূত্রপাত হয়। দুইপক্ষই লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করেছে। বৈঠকের মাধ্যমে দুই পক্ষের বিরোধ মীমাংসা করে দেয়ার আশ^াসে পুলিশের উপস্থিতিতে শান্ত করা হয়েছে।