ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মাদকের কারবার থামছে না, রাজধানীতে ইয়াবা ফেনসিডিলসহ আটক ৪

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মাদকের কারবার থামছে না, রাজধানীতে ইয়াবা ফেনসিডিলসহ আটক ৪

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশব্যাপী সাঁড়াশি মাদকবিরোধী অভিযান চলার পরও থামছে না মাদকের কারবার। এখনও চলছে ইয়াবা ফেনসিডিল ও গাঁজার রমরমা বাণিজ্য। দেদারসে আসছে এসব পণ্য। বিশেষ করে হাত বাড়ালেই সহজেই মিলছে ইয়াবা। ধরাও পড়ছে ব্যাপক। গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ৩০ হাজার ৫৫০ পিস ইয়াবা ও সেগুনবাগিচায় ফেনসিডিলসহ চারজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আটকরা হলেন- মামুনুর রশিদ (৩৫) ও মিনারা বেগম (৩৫) হাসান (২৮) ও দুরল (২৬)। রবিবার দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুর থানাধীন নবীনগর হাউজিং প্রকল্প এলাকা থেকে র‌্যাব-১ এর একটি দল তাদের আটক করে। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে মোহাম্মদপুর থানাধীন নবীনগর হাউজিং প্রকল্প এলাকায় অভিযানে যায় একটি দল। র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় ওই দুজনকে আটক করা হয়। সারওয়ার বিন কাশেম জানান, মামুনুর রশিদ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। চায়ের দোকানের আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিলেন। দোকানে বসেই রশিদ মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করতেন। এর আগে তিনি মাদকের ছোট ছোট চালান বহন করেছেন। আজ এ চালানটি নিয়ে রাজধানীর উত্তরার রাজলক্ষ্মী হতে মোহাম্মদপুর পৌঁছানোর কথা ছিল। মোবাইলে লোকেশন ও ঠিকানা পাবার অপেক্ষাকালেই আটক হন তিনি। অন্যদিকে মিনারা বেগম জ্বালানি কাঠের ব্যবসা করতেন। টেকনাফের জনৈক দ্বীন মোহাম্মদের মাধ্যমে তিনি ইয়াবার ব্যবসায় জড়ান। মোটা অঙ্কের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে টেকনাফ থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ইয়াবার চালান ঢাকায় পৌঁছানোর আগেই মিনারা বেগম ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান নেন। চালান ঢাকায় পৌঁছার পর মামুনুর রশিদ ফোন করে জানালে রাজলক্ষ্মীতে যান মিনারা। সেখান থেকে মোহাম্মদপুর পৌঁছার পর আটক হন। ইয়াবার চালানটি পৃথক দুটি স্থানে পৌঁছানোর দায়িত্ব ছিল তাদের। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছে র‌্যাব। আটকদের বিরদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে সেগুনবাগিচা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮০ বোতল ফেনসিডিলসহ হাসান (২৮) ও দুরল (২৬) নামে দুই মাদকবিক্রেতাকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩)। রবিবার দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে সেগুনবাগিচার করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই মাদকবিক্রেতাকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ডিসকোভার মোটরসাইকেলসহ ৮০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদিকে সোমবার মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালানোর সময় মাদকবিক্রেতা ও সেবীরা দৌঁড়ে গা ঢাকা দেয়। রুবেল নামের এক সোর্স দশ হাজার টাকা নিয়ে মাদকবিক্রেতাকে ধরিয়ে দেবার কথা বলে পালিয়ে যায়।
×