ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আগামীকাল নড়াইল;###;সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি ৩-এর পাতায়

তিন আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হবেন অনেক বেশি ব্যবধানে ॥ গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

তিন আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হবেন অনেক বেশি ব্যবধানে ॥ গোপালগঞ্জ

নীতিশ চন্দ্র বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ ॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গোপালগঞ্জেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি গোপালগঞ্জের তিনটি আসনেই চলছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মতৎপরতা ও মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতি। আসনগুলো বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে। তারপরও বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দৌড়ঝাঁপ, সভাসমিতি, উঠান বৈঠকসহ নানাবিধ রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকা-ের মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। পাশাপাশি ডিজিটাল ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট, বিলবোর্ড ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জানান দিচ্ছেন নিজ নিজ প্রার্থিতার খবর। ভোটারদের মনে ঠাঁই করে নিতে যারা নতুন মুখ তারাও যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি, চাইছেন দোয়া-আশীর্বাদ। গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার ও চায়ের স্টলগুলোও সরব হয়ে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনায়। গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় তিনটি আসন। স্বাধীনতা উত্তর গোপালগঞ্জের কোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের তিনটি আসনে সবসময়ই বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। তাছাড়া বিএনপি বা জাতীয় পার্টির শাসনামলে তারাও এ এলাকায় কোন উন্নয়নে হাত দেয়নি। বরং গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজগুলোও তারা বন্ধ করে রেখেছিল। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে রাজনৈতিক দল হিসেবেও বিএনপি বা জাতীয় পার্টি কখনও গোপালগঞ্জবাসীর আস্থা অর্জন করতে পারেনি। আর তাই, আওয়ামী লীগের বাইরে যিনিই এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, প্রায় সবারই শেষপর্যন্ত জামানত বাজেয়াফত হয়েছে। মুজিব-পাগল গোপালগঞ্জের মানুষ বারবারই প্রমাণ করে দিয়েছে, ‘নৌকা’ ছাড়া অন্যকিছু তারা চেনে না বা চিনতেও চায় না। বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের যে ব্যবধান তাতেই প্রমাণিত হয়েছে, এখানে আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। এ কারণে বিএনপি বা জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে চরম হতাশা। তাছাড়া ওয়ান-ইলেভেনের পরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায় গোপালগঞ্জের যে উন্নয়ন হয়েছে, তা দেখেও বিএনপির অনেক নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগে। এ ছাড়াও এবারে গোপালগঞ্জে ভোটার সংখ্যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় সোয়া লাখ। তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, এবার আগের চেয়েও বেশি ব্যবধানে গোপালগঞ্জের তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হবে। গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী) ॥ মুকসুদপুর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং কাশিয়ানী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে তিনবারের নির্বাচিত এমপি আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান। ’৯৬-এ প্রথম তিনি এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনীত হন এবং লক্ষাধিক ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হন। এরপর থেকে প্রতিবারেই প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ভোটের ব্যবধান বাড়িয়ে তিনি জয়ের ধারা ধরে রেখেছেন। তিনি এবারও এ আসনে প্রার্থী হবেন বলে শোনা যায়। আবার এও শোনা যায়, এ আসনে এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নে ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজীব। এ আসনের ২৩টি ইউনিয়ন ও মুকসুদপুর পৌরসভায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেরিয়ে নিজহাতে লিফলেট বিতরণ করে ইতোমধ্যে প্রার্থিতার কথা জানান দিয়েছেন এ আসনেরই তিনবারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সহচর ও বাংলাদেশের মূল সংবিধানে স্বাক্ষরদাতা মরহুম এ্যাডভোকেট কাজী আব্দুর রশিদের বড় ছেলে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ কাজী হারুণ অর রশীদ মিরন। তিনি একজন সফটওয়্যার প্রোগ্রামার এনালিস্ট, একসময় যুক্তরাষ্ট্রে আইটি কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দল ও গণমানুষের সেবা করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে তিনি তার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও নতুন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারে রয়েছেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক কে এম মাসুদুর রহমান। ইতোমধ্যে তিনি দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশ্বরোডে মুকসুদপুর থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত বিলবোর্ড, ডিজিটাল ব্যানার ও ফেস্টুন টানিয়ে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে জানান দিয়েছেন। এ ছাড়া রয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য মুকুল বোস। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বয়োজ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে গণমানুষের কাছে নিজেকে নির্ভরযোগ্য করে তুলেছেন বলে শোনা যায়। এ ছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক খন্দকার মঞ্জুরুল হক লাভলু, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য্য (প্রশাসন) সাবেক বিএমএ নেতা ডাঃ শারফুদ্দিন আহম্মেদ ও বিএফইউজে’র সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহামুদসহ অনেকে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে যিনিই এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন, তিনিই বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হবেন-এটা নিশ্চিত। গোপালগঞ্জের এ আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্তির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম। যিনি ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপির কয়েক বাঘা নেতাকে টপকিয়ে এ আসনে থেকে মনোনয়ন পান। এবারেও বিভিন্ন প্রচারের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তরুণ নেতা হিসেবে তিনি তার প্রার্থিতার বিষয়টি জানান দিয়েছেন। এ ছাড়াও শোনা যাচ্ছে বিএনপির সাবেক এমপি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীরের নাম। ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে তিনি এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। নিরীহ ভদ্রলোক ও দলের দুঃসময়ের কা-ারি হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে প্রচারে মাঠে রয়েছেন ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক নবরাজ পত্রিকার নিউজ এডিটর এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। এর আগেও তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করেছেন। জাতীয় পার্টি থেকে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- কাশিয়ানী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা শেখ আব্দুল মান্নান মুন্নু ও দীপা মজুমদারের নাম। দীপা মজুমদার গত নির্বাচনে এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। এ ছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু) প্রার্থী হিসেবে মুকসুদপুর উপজেলা জাসদ (ইনু) সভাপতি আজম শরীফের নাম শোনা যাচ্ছে। গোপালগঞ্জ-২ (সদর ও কাশিয়ানীর বাকি অংশ) ॥ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২১ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং কাশিয়ানীর বাকি সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে রয়েছেন টানা সাত বারের নির্বাচিত সংসদ-সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য-মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। ’৮০-এর উপ-নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিনি এ আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সেই থেকে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে এলাকার মাটি ও মানুষের সঙ্গে। অদ্যাবধি তিনিই এ আসনের অভিভাবক হয়ে রয়েছেন। তার মধ্যে নেই কোন অহঙ্কার, নেই কোন প্রতিহিংসার রাজনীতি। তার ¯েœহ, মমতা আর ভালবাসা দিয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের মধ্যে সর্বাধিকবার সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার রেকর্ড রয়েছে শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ঝুলিতে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ কারণে একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবেও তার সুখ্যাতি রয়েছে এলাকার সর্বত্র। তার দূরদর্শিতা ও দক্ষতার প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে এলাকার মানুষও তার নামে পাগল। গোপালগঞ্জের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূল কারণই হলো সংখ্যালঘুদের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালবাসা। স্বাধীনতা উত্তর উন্নয়ন-বঞ্চিত গোপালগঞ্জকে ঢেলে সাজাতে তিনি অনবদ্য চেষ্টা করেছেন। তার উন্নয়নমুখী পদক্ষেপে গোপালগঞ্জ শহরসহ গোটা এলাকার জীবনযাত্রার মান আকর্ষণীয় ও উন্নত হয়েছে। এ আসনে তার কোন বিকল্প নেই। তাই এ আসন থেকে এবারেও আওয়ামী লীগ তাকেই মনোনয়ন দেবে বলে সবাই নিশ্চিত। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলামের নাম। বিগত দুটি নির্বাচনে তিনি এ আসন থেকে চার-দলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী ছিলেন; কিন্তু দু’বারই তার জামানত বাজেয়াফত হয়। এবারেও এ আসনে তারই বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা যায়। এছাড়াও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জু, সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মুনসুর আলী এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পিনু এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও এলাকার অল্পকিছু সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী যারা রয়েছেন তারাও দ্বিধাবিভক্ত এবং হতাশাগ্রস্ত। এছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষক পার্টির সভাপতি আলহাজ সাহিদুর রহমান টেপা এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব শেখ আলমগীর হোসেনও এ আসনে প্রার্থিতা চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, জাসদ (ইনু) গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মাসুদুর রহমানের নামও। গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) ॥ টুঙ্গিপাড়ার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং কোটালীপাড়ার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে রয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। হাজার বছরের বাঙালীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে তিনি। দু’জনেরই জন্ম টুঙ্গিপাড়ায়। এখানকার মাটি ও মানুষ তাঁকে এ পর্যন্ত ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে। এ আসন থেকে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ’৮৬-এর নির্বাচনে। এরপর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে তাঁর কোন বিকল্প নেই। প্রতিবারই তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। এ আসনে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস. এম. জিলানী। এখানে আওয়ামী লীগের অন্য কোন প্রার্থী নেই। নেই অন্য কোন দলেরও শক্ত প্রার্থী। তবে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিক্ষক এস এম আফজাল হোসেন এবং কোটালীপাড়া উপজেলা জাসদের (ইনু) সভাপতি অরুণ চন্দ্র সাহা দলীয় প্রার্থিতা চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জের এ তিনটি আসনে যারাই প্রার্থিতার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন, তারাও ভাল করে জানেন, এখানকার সাধারণ জনগণের মণিকোঠায় রয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। আর সে অনুভূতি থেকেই তারা ভোট-ব্যালটে নৌকা ছাড়া অন্য কোন মার্কা খোঁজেন না। গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতা প্রায় শেষের পথে এবং নির্বাচন আসন্ন। গোপালগঞ্জ জেলার মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ^াসী। গোপালগঞ্জবাসী যে কোন মূল্যে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও পার্লামেন্টারি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়ে যাকে মনোনয়ন দেবেন, আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁকে বিজয়ী করতে কাজ করব। জেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানিয়েছেন, বিএনপি-চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দল নির্বাচনে যাবে কিনা আগে দলীয় ফোরামে সেই সিদ্ধান্ত হতে হবে। দলে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইতে পারে, তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করব।
×