ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে আইনমন্ত্রী

বিএনপি-জামায়াত জোটের নৃশংসতার মামলা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিএনপি-জামায়াত জোটের নৃশংসতার মামলা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ ২০১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের জ্বালাও-পোড়াও ও নৃশংস হত্যাকা-ের ঘটনাগুলোর মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, যেসব মামলার চার্জশীট দেয়া হয়েছে তার কিছু মামলার বিচার শেষ হয়েছে এবং আসামিদের শাস্তি হয়েছে। বাকি মামলাগুলোর মধ্যে কিছু মামলা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট কোর্টে না এলে বিচার হবে না। সেই জন্য দেরি হচ্ছে। তবে যাতে দ্রুত এই মামলাগুলোর তদন্ত কাজ শেষ হয় এবং চার্জশীট দেয়া হয় সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভা-ারীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নূর জাহান বেগমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকা-ের নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড ও পরিকল্পনাকারীদের বিষয়ে একটি পৃথক কমিশন গঠনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, বাল্য বিয়ে বন্ধে একটি সার্বজনীন আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, বাল্য বিয়ে বন্ধে প্রচলিত বর্তমান আইনকে যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, বাল্য বিবাহমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বার্থে বিয়ে নিবন্ধনের সময় সংশ্লিষ্ট মুসলিম নিকাহ রেজিস্টার ও হিন্দু পুরোহিতগণকে বর্তমান প্রচলিত আইনের বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি বাল্য বিয়ে নিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে দেওয়ানী ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছেন। বর্তমান সরকার মামলা জট কমানোকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে জট কমানোর জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক আদালত সৃজন করে বিচারক নিয়োগ করেছে। এছাড়া বর্তমানে আরও বিচারক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি জানান, বিচার কাজে গতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে এবং উচ্চ আদালত ও নি¤œ আদালতে বিচারক নিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশের বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে বিচার কাজ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এজলাস সঙ্কট নিরসনে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিচার কাজে গতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। আইনমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটি আধুনিক বিচার বিভাগ ও বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বিচার বিভাগ আধুনিকায়ন ও গতিশীল করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা একটি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হবে।
×