ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে কাজ করছে ভারত ॥ শ্রিংলা

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে কাজ করছে ভারত ॥ শ্রিংলা

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে কাজ করছে ভারত। অতীতে প্রয়োজনের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ছিল ভারত সরকার। আগামীতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। সোমবার উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ত্রাণ বিতরণকালে এ কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। হাইকমিশনার আরও বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের শুরু থেকে বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। এর আগেও কয়েক দফায় ভারতীয় ত্রাণ রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হয়। এছাড়া রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় এবং তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে ২৫০ টিনশেড ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। যা শীঘ্রই শেষ হবে। প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গারা সেখানে থাকবে। উল্লেখ্য, ভারত সরকারের পক্ষ বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য অপারেশন ইনসানিয়াত-এর তৃতীয় চালান সোমবার হস্তান্তর করেন হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ভারত থেকে সোমবার সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরে সরাসরি আসে তৃতীয় দফার ত্রাণ সামগ্রীর এই চালান। বিমানবন্দরে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এ ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছে। তৃতীয় দফায় এসেছে ১০ লাখ ১০ হাজার লিটার কেরোসিন তেল ও ২০ হাজার স্টোভ। এর আগে সকাল ৯টায় ঢাকা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার পৌঁছান ভারতীয় হাইকমিশনার। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনের প্রথম সচিব রাজেশ উইকে, নবনিকা চৌধুরী, প্রেস এ্যাটাশে রঞ্জন ম-ল। প্রসঙ্গত, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য এর আগে ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় ৫৩ টন খাদ্য সামগ্রী পাঠায় ভারত। যার মধ্যে ছিল, চাল, ডাল, চিনি, লবণ, বিস্কুট, গুঁড়ো দুধ, নুডুলস, সাবান, মশারি ও তেল। এরপরে মে মাসে আসে ১০৪ টন গুঁড়ো দুধ, ১২০ টন শুঁটকি মাছ, ৬১ টন শিশু খাদ্য, ৫০ হাজার রেইনকোট এবং ৫০ হাজার গামবুট। যা হস্তান্তরিত হয়ে পৌঁছানো হয় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে। তৃতীয় চালানটি এলো সোমবার।
×