ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নূর চৌধুরীকে ফেরাতে ট্রুডো বরাবর অনলাইন পিটিশন শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নূর চৌধুরীকে ফেরাতে ট্রুডো বরাবর অনলাইন পিটিশন শুরু

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনী নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে দেয়ার আর্জি জানিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বরাবর অনলাইন পিটিশনের উদ্বোধন করা হয়েছে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব ৭১, কানাডা আওয়ামী লীগ অল ওভারসিস বাংলাদেশী এবং মুভমেন্ট ফর ডিপারটেশন অব কিলার নূর চৌধুরী টু বাংলাদেশ যৌথভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক অনুষ্ঠানে এর উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যঃঃঢ়ং://িি.িরঢ়বঃরঃরড়হং.পড়স/ঢ়বঃরঃরড়হ/ঢ়বঃরঃরড়হ-ভড়ৎ-ফবঢ়ড়ৎঃধঃরড়হ-ড়ভ-শরষষবৎ-হঁৎ-পযড়ফিযঁৎু লিঙ্কে অনলাইনে পিটিশন দাখিল করা যাবে জানানো হয় ওই অনুষ্ঠানে। ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনীর ফাঁসি কার্যকর হয় যদিও আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল ১২ জনের। বাকি খুনীদের একজন বিদেশে মারা গেছে আর ছয়জন খুনী এখনও পলাতক। এদের মধ্যে কানাডায় নূর চৌধুরী এবং যুক্তরাষ্ট্রে রাশেদ চৌধুরীর অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত সরকার। তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। মৃত্যুদ-বিরোধী কানাডা নূর চৌধুরীকে ফেরাতে চাইছে না তার নীতির কারণে। যদিও ট্রুডো বলেছেন, তিনি নূর চৌধুরীকে ফেরানোর বিষয়ে একটি উপায় খোঁজার চেষ্টা করছেন। অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আছে খুনী রাশেদ চৌধুরী। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদেরকে সহযোগিতা করছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে ওখানে একটি মামলা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, নূর চৌধুরীর বিষয়ে কানাডার একটি আইন আছে; সেটা হলো কাউকে মৃত্যুদ- দেয়ার বিধান সে দেশের আইনে নেই। এ কারণে আইনটিকে শিথিল করে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কানাডায় একটি মামলাও বাংলাদেশ সরকার করেছে। কানাডা সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত আছে। বিএনপির কাছে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি এবং সংবিধান পরিবর্তন করে পঞ্চম সংশোধনীতে সেটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার কারণ জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রশ্নের জবাব বিএনপি আজও দেয়নি। আমি আবারও সেই প্রশ্নের জবাব চাচ্ছি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, কানাডার মতো সভ্য দেশ আত্মস্বীকৃত দ-িত খুনীর জন্য অভয়ারণ্য হতে পারে না। এই খুনী ও তার দোসরা একটি দেশের জাতির পিতাকে, তাঁর সহধর্মিণীকে ও তাঁর ১০ বছরের শিশু রাসেলসহ ১৮ জন মানুষকে হত্যা করেছে। এই খুনী গত ৪৩ বছর ধরে মুক্ত জীবন-যাপন করছে। তিনি বলেন, প্রথমত তারা এই খুনীকে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেবেন, যাতে আত্মস্বীকৃত দ-িত খুনীর ফাঁসি কার্যকর করা যায় এবং আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কানাডা সরকারের অঙ্গীকার রক্ষা পায়। দ্বিতীয়ত, তাকে যেন স্বাভাবিক মুক্ত জীবন-যাপনের সুযোগ যেন না দেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আত্মস্বীকৃত খুনী থাকবে জেলে, তার স্বাভাবিক জীবন-যাপন কেন? অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×