ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দলীয় সরকারে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব ॥ টিআইবি

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দলীয় সরকারে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব ॥ টিআইবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, যদি ক্ষমতাসীন দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ অন্য স্টেকহোল্ডাররা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা থাকলে দলীয় সরকারের অধীনেও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব। সোমবার রাজধানীর ধানম-িতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে ‘রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সুশাসন ও শুদ্ধাচার’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন। এ সময় টিআইবির উপদেষ্টা ও নির্বাহী ব্যবস্থাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, রিসার্চ এ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসানসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন টিআইবি’র গবেষণা ও পলিসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম। গবেষক দলের অপর তিন সদস্য গবেষণা ও পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জুলিয়েট রোজেটি, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাহিদ শারমীন ও মোঃ শহিদুল ইসলাম। জনাব ইফতেখার বলেন, আমাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক প্রক্রিয়াটি গ্রহণ হয়েছিল তা সাংবিধানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। এখন বাস্তবতা মেনে সাংবিধানিকভাবে যেভাবে বৈধ নির্বাচন করা সম্ভব সেভাবে করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেখানে সংসদীয় গণতন্ত্র বিরাজ করছে সেখানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিরল। যদিও আমাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণে কোন কোন দেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালুর চেষ্টা করছে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দলীয় নির্বাচনে অনুষ্ঠিত অনেক নির্বাচন ভালো হয়েছে। কিন্তু পরাজয় হলেই সেই ফলাফল মেনে না নেয়ার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। ফলাফল মেনে না নেয়ার কারণে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন দলের মনোনয়ন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রচর্চার ঘাটতিও রয়েছে। ড. জামান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোটা দাগে সবদেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমরা সেই সংস্কৃতিতে যেতে চাই। কিন্তু এটা অবশ্যই মানতে হয়, আস্থাহীনতার যে কথাটি বলা হয় তা বাস্তব। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যেটা আশা করতে পারি, নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণকারী দল তাদের সবার মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে। সেই শ্রদ্ধা বোধ থেকেই সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে দায়িত্ব পালন করবে। রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ভূমিকা থাকলে তা সম্ভব। ড. ইফতেখার বলেন, আমাদের দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আস্থার সংকট রয়েছে। টিআইবি মনে করে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং হেরে যাওয়া দল ফল প্রত্যাখ্যান করার কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতা রয়েছে। জনগণের মধ্যেও আস্থাহীনতা দেখা যাচ্ছে। ফলে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না বলে অনেকে মনে করেন। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে কি না-তা নিয়ে সবার মধ্য সংশয় আছে। তার মানে এই নয়, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। যদি রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা থাকলে দলীয় সরকারের অধীনেও আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে ইশতেহার প্রকাশে যতটা আগ্রহী থাকে, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ইশতেহার বাস্তবায়নে ততটা আগ্রহী থাকে না। সম্মেলনে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির জন্য টিআইবি ৬টি ক্যাটাগরিতে ৩৫টি সুপারিশ করে। সুপারিশগুলোর মধ্যে সংসদে সরকারী দলের একচ্ছত্র ভূমিকা নিরুৎসাহিত্য করতে দলীয় প্রধান, সরকার প্রধান ও সংসদ নেতা একজন হওয়া উচিত নয়। তিনজন এক ব্যক্তি হলে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকে না। বিরোধীদলকে সংসদীয় কার্যক্রমে আরও বেশি সুযোগ দেয়া, ডেপুটি স্পীকার বিরোধীদল থেকে নিয়োগ দেয়া, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য বলা যাবে না। তবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের কাছে আস্থার সংকট রয়েছে। বিভিন্ন নির্বাচনে ত্রুটিও রয়েছে। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারের বাস্তব কার্যকরের কথা বলেন। টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকায় সংসদ প্রত্যাশিত পর্যায়ে কার্যকর হতে পারেনি। একইসঙ্গে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়নি। এ ছাড়া প্রশাসন, আইন ও বিচার বিভাগে নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব দেখা যায়। তিনি আরও বলেন, দলীয় নির্বাচনে অনুষ্ঠিত অনেক নির্বাচন ভাল হয়েছে। কিন্তু পরাজয় হলেই সেই ফলাফল মেনে না নেয়ার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। ফলাফল মেনে না নেয়ার কারণে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন দলের মনোনয়ন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রচর্চার ঘাটতিও রয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার কোনটাই গ্রহণযোগ্য হয়নি তা বলা যাবে না। কোন কোন স্থানীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য হয়েছে। বিতর্কের উর্ধে হয়েছে। কি পরিপ্রেক্ষিতে এই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। সেই নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট সেই নির্বাচনে তারা চেয়েছিল বলেই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। তার অর্থ এই নয় দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অসম্ভব। দেশের অনেক মানুষের মধ্যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আস্থাহীনতার সংকট রয়েছে। যদি পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়, সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ভূমিকা রাজনৈতিক দলগুলো পালন করে এবং আমরা সাধারণ মানুষ যদি সেই ভূমিকা পালন করে পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারি তাহলে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে আমি মনে করি। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা আশা করি, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সার্বিক প্রতিফলন, বিশেষ করে অভীষ্ট ১৬ এ সুনির্দিষ্টভাবে অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটিয়ে সুশাসন, সকল স্তরে স্বচ্ছ, কার্যকর ও দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠানের বিকাশ, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কাউকে পেছনে না রেখে উন্নয়ন, মত ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা, বাক-স্বাধীনতা ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়সমূহ নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি। নির্বাচনী ইশতেহার ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনসমূহে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া নির্বাচনী ইশতেহারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারসমূহের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইশতেহার পূরণ করা হয়েছে। তবে কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠা, ন্যায়পাল নিয়োগ, ‘কালো আইন’ বাতিল, জনপ্রতিনিধিদের সম্পদের তথ্য প্রকাশ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত রেডিও ও টেলিভিশনের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার মতো সুশাসন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ অনেক অঙ্গীকার পূরণ হয়নি। এছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বেশিরভাগ দলের অনেক অঙ্গীকার থাকলেও সেগুলো বাস্তবায়নে দলগুলোর নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। একইসঙ্গে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার পরিপন্থী বাক-স্বাধীনতা ও মানবাধিকার ক্ষুণœ করার মতো বিতর্কিত বা নিয়ন্ত্রণমূলক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচনী ইশতেহারে রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া অঙ্গীকারসমূহের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাস্তবায়িত হলেও প্রদত্ত অঙ্গীকার ও তা বাস্তবায়নের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান লক্ষণীয়। সকল দলই সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন অঙ্গীকার করলেও বিরোধী দল হিসেবে ইশতেহারে অঙ্গীকারকৃত সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও শুদ্ধাচার চর্চার দৃষ্টান্ত দেখা যায় না। এ ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফলে ইশতেহারের প্রভাব লক্ষণীয়, যদিও অনেকক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে ইশতেহার প্রণয়ন ও প্রকাশ করা হয়। ড. জামান বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জনও বাস্তবে অর্থবহ হয় না। কারণ যে সকল আইনী, প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতি পরিবর্তন হয়েছে তার কার্যকরিতা নিশ্চিতে ঘাটতি অব্যাহত থাকছে। খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোন কোন ধারা যেমন তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, তেমনি নিবর্তনমূলক হচ্ছে খসড়া পাবলিক সার্ভিস এ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারা, যার মাধ্যমে দুদকের ক্ষমতা আরও খর্ব করার প্রয়াস করা হচ্ছে। দুর্নীতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ব্যক্তির পরিচয় ও অবস্থানের উর্ধে থেকে পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টির অঙ্গীকার নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করতে সকল দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি’র পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর বিবেচনার জন্য উত্থাপিত সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে: সরকার গঠনকারী প্রতিটি রাজনৈতিক দল কর্তৃক পূর্ববর্তী নির্বাচনে দেয়া অঙ্গীকার কতটুকু পূরণ করেছে সে সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ, নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন না করতে পারলেও বিরোধী দল হিসেবে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কী ভূমিকা থাকবে তা ইশতেহারে স্পষ্ট করা, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলপত্র অনুসরণ করে কর্মপরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন এবং প্রতিবছর তা পর্যালোচনা করা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে গণতন্ত্র ও সুশাসনের বিদ্যমান ঘাটতি পূরণে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকারসহ এসব অঙ্গীকার কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান। এ ছাড়াও বিরোধী দলকে সংসদীয় কার্যক্রমে আরও বেশি অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে ডেপুটি স্পীকার নিয়োগ, সরকারী হিসেব সম্পর্কিত কমিটিসহ এক-তৃতীয়াংশ কমিটিতে বিরোধীদলীয় সদস্যকে সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, কমিশনার ও সদস্যসহ সকল নিয়োগ এবং নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি, গোষ্ঠীস্বার্থ এবং দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনা পরিহার করা ও প্রয়োজনে সংস্কারের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া কেবলমাত্র যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে জনপ্রশাসনে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন করা; প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ, প্রশাসনসহ সকল সরকারী খাতে আধুনিক কর্মী মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রণোদনা নিশ্চিত করা; পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের প্রতি বৈষম্যমূলক সব আইনী, প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কার করা; তথ্যের অভিগম্যতাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোন আইন প্রণয়ন না করা এবং তথ্য অধিকার আইনবিরোধী এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পরিপন্থী বিভিন্ন নিবর্তনমূলক উপধারা বাতিল করা। তাছাড়া জাতীয় বাজেটে কালো টাকাকে বৈধতা না দেয়া, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনার আহ্বান জানানো হয়।
×