মাওয়ায় এসেছে পদ্মা সেতুর নতুন স্প্যান

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে পদ্মা সেতুর কাজ। ইতোমধ্যে জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর পৌনে এক কিলোমিটার কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর ১১ পিলারের মধ্যে চারটির নক্সা সমাধান চূড়ান্ত হয়েছে। সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে মডিউল ৩ এর একটি স্প্যান চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে। রবিবার সকালের দিকে মংলা বন্দর থেকে জাহাজে করে মাওয়ায় এসেছে নতুন এই স্প্যানটি। ইতোমধ্যে ৭ নম্বর মডিউলের ৫টি স্প্যান বসে গেছে। এখন ৬ নম্বর মডিউলের স্প্যান স্থাপন তৈরির করার কাজ চলছে। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে স্প্যান প্রস্তুত আছে ৭টি। বর্তমানে স্প্যানটি আনলোডের কাজ চলছে। পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর মডিউল থ্রি-এর ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি স্থাপনের জন্য এসেছে। দুই দিন আগে এটি চীন থেকে মংলা আসে। এরপর জাহাজের মাধ্যমে মাওয়ায় আসে। স্টিলের এসব কাঠামো ফিটিং করে স্প্যান তৈরি করা হয়। এ কাঠামোর ওপর দিয়ে চলবে গাড়ি ও যানবাহন। ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। প্রথমে স্টিলের কাঠামোগুলো চীনে তৈরি করা হয়েছে। এরপর মংলা বন্দর থেকে জাহাজে করে সেগুলো মাওয়ার নির্মাণ মাঠে আনা হয়। পদ্মা সেতুর একটি পিলার থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব হচ্ছে ১৫০ মিটার। সেতুর ১২টি পিলার সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, সেতুর ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পাঁচটি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে জাজিরা প্রান্তে পৌনে এক কিলোমিটার কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুর কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যানটি। এর প্রায় ৪ মাস পর চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। এর মাত্র দেড় মাস পর ১১ মার্চ শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ধূসর রঙের তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়। এর ২ মাস পর ১৩ মে বসে চতুর্থ স্প্যান। আর পঞ্চম স্প্যানটি বসে এক মাস ১৬ দিনের মাথায়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।