ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দৃষ্টি শ্রীলঙ্কা-আফগান ম্যাচের দিকে

আজই কি ‘সুপারফোর’ নিশ্চিত বাংলাদেশের?

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আজই কি ‘সুপারফোর’ নিশ্চিত বাংলাদেশের?

মিথুন আশরাফ ॥ বাংলাদেশের ম্যাচ নেই আজ। তবুও আজ দিনটিতে বাংলাদেশ জড়িয়ে থাকছে। আজই এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ‘সুপারফোরে’ খেলা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। একটিই শর্ত, যদি শ্রীলঙ্কাকে আজ আফগানিস্তান হারিয়ে দেয়। তাহলেই বাংলাদেশ ‘সুপারফোরে’ খেলবে। শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানও যদি আজ হারিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কাকে তাহলে লঙ্কানদের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে। তখন বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার ২০ সেপ্টেম্বর ম্যাচটির আগেই বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ‘সুপারফোরে’ খেলা নিশ্চিত করবে। শ্রীলঙ্কা জিতলেও বাংলাদেশের ‘সুপারফোরে’ যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে জিতলে তো কথাই নেই। তর্কের খাতিরে ধরে নেয়া যাক যদি আফগানদের বিপক্ষে নাও জিতে বাংলাদেশ তাহলেও এক ম্যাচ জিতেই ‘সুপারফোরে’ খেলার সুযোগ থাকছে। রানরেটে আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থাকলেই চলবে। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচটিতে যেভাবে জিতেছে তাতে এমন আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে; বাংলাদেশের সামনে এখন যে দলই পড়বে তাদেরই বিপদ আছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরুতেই ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তামিম ইকবালও ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তাতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া বাংলাদেশ দলকে টেনে তোলেন মুশফিক ও মিঠুন। মুশফিক তো বীরত্বগাথা ইনিংসও খেলেন। শেষ মুহূর্তে দলের প্রয়োজনে ব্যথা পাওয়া হাতকে আড়ালে রেখে এক হাত দিয়েই যে খেলেন তামিম তা ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় চিরকাল লেখা থাকবে। তামিমের এমন গর্বভরা কাজ সবাইকে প্রেরণাও দিয়েছে। অনবদ্য সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হওয়া মুশফিক যেমন তামিমকে নিয়ে পুরস্কার মঞ্চেই বলেছেন, ‘তামিম যখন ফের ব্যাট করতে নামে এটা আমাকে তারজন্য এবং আমার দেশের জন্য কিছু করার প্রেরণা জোগায়।’ অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, ‘আমি মনে করি তামিমের জন্য যে বাক্য প্রযোজ্য তা হচ্ছে সবাইকে তার কথা মনে রাখা উচিত। মাঠে নামার সিদ্ধান্তটা ওরই ছিল। কেবল এই ম্যাচটির জন্যই তামিমকে মনে রাখা উচিত। এখানে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারত। ওর ক্যারিয়ারের ব্যাপার ছিল এখানে। আমি মনে করি, সবার মনে রাখা উচিত। তামিমকে বাহবা জানাই, ওই সময় সে ব্যাটিংয়ে গিয়েছিল।’ এক রানেই দুই উইকেট নেই। দুই রান হতেই তামিম ব্যথা পেয়ে মাঠের বাইরে। এমন কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন মুশফিক ও মিঠুন। দুইজন মিলে ১৩২ রানের জুটি গড়েছেন। এই দুই ব্যাটসম্যানের প্রশংসা করতেও ভুলেননি মাশরাফি। জানিয়েছেন, ‘মুশফিক এবং মিঠুনকে অনেক ধন্যবাদ। শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা সবসময় চাপের বিষয়। কিন্তু তারা যেভাবে ব্যাট করেছে দেখতে খুব ভাল লেগেছে। সে (মুশফিক) খুবই চাপের মুখে খেলতে নেমেছিল। দ্রুত দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল। আমি মনে করি, এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই অন্যতম সেরা ইনিংস। তামিমও ব্যাট করতে পারছিল না। এমন একটা সময় সে যেভাবে ইনিংসটা শেষ করেছে সেটি দুর্দান্ত। মিঠুনও দারুণভাবে চাপ সামলেছে।’ তবে তরুণদের পারফর্মেন্স নিয়ে হতাশ মাশরাফি। বলেছেন, ‘সিনিয়ররা যেভাবে পারফর্ম করছে এটা বেশ উৎসাহব্যঞ্জক। আমি মনে করি আমাদের আরও উন্নতির সুযোগ আছে। আমরা যেভাবে উইকেট হারিয়েছি, আশাকরি আমরা এদিকটাতে আরও ভাল করে নজর দিব। মিঠুন ভুল সময়ে আউট হয়েছে এবং সে আউট না হলে আমরা ২৮০-২৯০ রান করতে পারতাম। বাকি ম্যাচগুলোয় মিঠুনের মতো কেউ যদি এগিয়ে আসে তাহলে দল হিসেবে আমাদের জন্য ভাল হবে। তামিম যদি খেলতে না পারে তাহলে স্কোয়াডে অন্য যারা তরুণ আছে তাদের জন্য খুব ভাল সুযোগ এটি।’ ফিল্ডিং নিয়েও হতাশা আছে মাশরাফির, ‘ফিল্ডিংটা আরও ভাল হতে পারত।’ বাংলাদেশ দল এখন ‘সুপারফোরে’ খেলবে, তা নিশ্চিতই বলা চলে। ভুলগুলো এখন দূর করার জন্যই প্রস্তুত হবেন ক্রিকেটাররা। ২০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটির জন্যই প্রস্তুত হবেন। তবে সেই ম্যাচ খেলতে নামার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আফগানিস্তানের জয়ে ‘সুপারফোর’ আজই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের।
×