ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যৌতুক প্রদান, গ্রহণ সহায়তায় পাঁচ বছরের জেল

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  যৌতুক প্রদান, গ্রহণ সহায়তায়  পাঁচ বছরের জেল

সংসদ রিপোর্টার ॥ যৌতুক গ্রহণ কিংবা যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলা করলে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। এছাড়া যৌতুক প্রদান, গ্রহণ বা যৌতুকে সহায়তা বা চুক্তি করলেও একই সাজা হবে। এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে একটি বিল পাস হয়েছে। রবিবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ নামের বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটির ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। গত ২৫ জুন জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ওই বিলটি উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নে বিলটি তোলা হয়। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোন দন্ডের বিধান ছিল না। সংসদে পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কাউকে ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে ৫ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। যদি বিয়ের কোন এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে, তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর, কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে আরও বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে এ সংক্রান্ত মামলা আপোসযোগ্য হবে। হিজড়াদের পরিবারে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে- মেনন ॥ সমাজের তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়াদের পরিবারে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, হিজড়াদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কর্মসূচী আছে। তবে সমাজের বাইরে অন্তর্ভুক্ত না করে পরিবারেই পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আক্তার জাহানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান। মন্ত্রী জানান, ‘সরকার হিজড়াদেরকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এই হিজড়াদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কর্মসূচী আছে। আমাদের লক্ষ্য হিজড়াদের সমাজের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা। এ কারণে পরিবারে পুনর্বাসনের চেষ্টা। সমাজকল্যাণ বিভাগের কর্মকর্তা এবং এনজিওদের মাধ্যমে সেই কাজগুলো করছি। কয়েক দিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে থেকে যে মতামত উঠে আসবে তার উপর ভিত্তি করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’ সরকার দলীয় সদস্য ফরিদুল হক খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে শনাক্তকৃত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মোট সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭৯৪। ২০১৫ সালের ww w.disgov.bd নামে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্য সম্বলিত একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে সফটওয়্যারটি আপগ্রেডেশন হচ্ছে।
×