ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আয় নিয়ে প্রতিযোগিতায় এ্যাপল ও এ্যামাজন

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  আয় নিয়ে প্রতিযোগিতায় এ্যাপল ও এ্যামাজন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আয় আর মোট সম্পত্তির আকার নিয়ে ট্রিলিয়ন ডলারের স্থান ধরে রাখতে প্রতিযোগিতা চলছে বিশ্বের দুই শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এ্যাপল এবং এ্যামাজনের মধ্যে। এ্যামাজনের চেয়ে এ্যাপল অনেক পুরনো হলেও এ অনলাইন জায়ান্টের জনপ্রিয়তা বেড়েছে এ্যাপলের চেয়ে অনেক বেশি। বেড়েছে শেয়ারের দরও। জায়ান্ট এ দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতাকে ‘ব্যাটেল অব টাইটান’ বলছেন প্রযুক্তিবিদরা। টেক জায়ান্ট এ্যাপল আর অনলাইন জায়ান্ট এ্যামাজন। শীর্ষ এ দুই প্রতিষ্ঠানের পার্থক্য আপেল আর কমলার মতোই। জীবনকে আরও সহজ করার নিত্যনতুন প্রযুক্তি পণ্য নিয়েই এ্যাপলের মাথাব্যথা। অন্যদিকে, যেকোন পণ্য সহজে, কম খরচে আর কম সময়ে পৃথিবীর যেকোন স্থানে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর এ্যামাজন। কার্যক্রম ভিন্ন হলেও দুটোই প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া, বিশ্ব শেয়ারবাজারে শীর্ষে থাকা ফ্যাং হিসেবে পরিচিত ৫ প্রতিষ্ঠান ‘ফেসবুক, এ্যাপল, এ্যামাজন, নেটফ্লিক্স ও গুগল’ এর মধ্যেই রয়েছে এ দুই প্রতিষ্ঠান। আইফোন বাজারে এনে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকলেও বর্তমানে মোট সম্পত্তি আর শেয়ারের দামের দিক দিয়ে এ্যাপলকে ছাড়িয়ে গেছে এ্যামাজন। সাম্প্রতিক সময়ে এ্যাপলের মোট মূল্যমান ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেলেও কিছুদিন পরই সে অবস্থানে পৌঁছেছে এ্যামাজন। মূলত প্রযুক্তি পণ্য বিক্রির মধ্য দিয়েই আসছে এ্যাপলের আয়। এসবের মধ্যে রয়েছে আইফোন, আইপ্যাড, আইম্যাক এবং আইপড। অন্যদিকে পণ্য শিপমেন্টের মধ্য দিয়ে আয় করে এ্যামাজন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন কিছু প্রযুক্তি পণ্য তৈরি করছে এ্যামাজন। এরমধ্যে রয়েছে হোমপড ওয়্যারলেস স্পীকার, ইকোস্মার্ট স্পীকার, যা দিয়ে গৃহস্থালি অনেক কাজ করানো সম্ভব। এগুলো এ্যাপলের এ্যাপসের চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয়। ডিভাইসের পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন এ্যাপস এবং সফটওয়্যারও বিক্রি করছে এ্যামাজন। চালু করেছে এ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস। সফটওয়্যারের এ বাজার ২০২০ সাল নাগাদ ১৪ হাজার ৫শ’ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে, এ্যাপল গুরুত্ব দিচ্ছে এ্যাপল মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিসে। বর্তমানে এ্যাপল এবং এ্যামাজনের মোট মূল্যমান যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টি বৃহত্তম কোম্পানির সমান। এ্যাপলের শেয়ারের দাম ওঠানামা করলেও প্রতিষ্ঠানটি সবসময় শক্তিশালী অবস্থানে থাকে। এ্যাপলের গ্রাহক সার্বজনীন। কিন্তু এ্যামাজনের কার্যক্রম এখনও অনেক দেশেই পৌঁছায়নি। এরপরও এ্যামাজন অল্প সময়েই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানরেই পরিশোধ করতে হয় মোটা অঙ্কের কর। বর্তমানে এ্যাপলের শেয়ারের দর ২শ’ ২১ ডলার, অন্যদিকে এ্যামাজনের শেয়ারের দর প্রায় ২ হাজার ডলারের কাছাকাছি। মোট সম্পত্তির আকারের দিক দিয়ে টাইটানের এ প্রতিযোগিতায় সবশেষ কে এগিয়ে থাকবে, সেটাই এখন প্রশ্ন।
×