ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী বাড়ছে বিমানের

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী বাড়ছে বিমানের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সড়ক পথে বিড়ম্বনা এড়িয়ে কম সময়ে গন্তব্য পৌঁছাতে উচ্চবিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও এখন আকাশপথকে বেছে নিচ্ছেন। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরকারী বেসরকারী সব বিমান পরিবহন সংস্থা এখন অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে চলতি মাসে আরও একটি ড্যাশ এইট উড়োজাহাজ লিজ নিচ্ছে বিমান। তবে বিমানবন্দরগুলোর অবকাঠামো সুবিধা সেভাবে না বাড়ায় মানসস্মত সেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানান খাত সংশ্লিষ্টরা। ভাড়া বেশি থাকায় এক সময় শুধু উচ্চবিত্তরা ভ্রমণ করতেন বিমানে। তবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে বদলেছে চিত্র। সিভিল এ্যাভিয়েশনের গত পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অভ্যন্তরীণ রুটে আকাশপথে যাত্রী বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ২০১৩ সালে যেখানে যাত্রী ছিল ১৩ লাখ, ২০১৭ তে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ লাখে। ক্রমবর্ধমান যাত্রীর চাপ সামলাতে চলতি মাসেই ঢাকা থেকে যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে ফ্লাইট সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বিমান। একইভাবে বেসরকারী এয়ারলাইন্স ইউএসবাংলা যশোর, সৈয়দপুর ও সিলেটে এবং নভোএয়ার রাজশাহী, সৈয়দপুর ও চট্টগ্রামে ফ্লাইট বাড়িয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, ‘চাহিদা বাড়ার কারণে সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি হবে। ঢাকা থেকে সৈয়দপুর সপ্তাহে ৭টি ফ্লাইটের বদলে ১৪টি, ঢাকা থেকে রাজশাহী ৪টির বদলে ৭টি। এছাড়া ঢাকা থেকে যশোরে ১৪টি ফ্লাইট করার পরিকল্পনা নিয়েছি।’ এদিকে যাত্রীর চাপ বাড়লেও বাড়েনি বিমানবন্দরগুলোর হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি ও অবকাঠামো সুবিধা। এক্ষেত্রে মান সম্মত সেবা নিশ্চিতে বিমানবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের আহ্বান খাত সংশ্লিষ্টদের। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কক্সবাজার-সৈয়দপুর-যশোর ৩টি এয়ারপোর্টে যে সিটিং ক্যাপাসিটি থাকা উচিত। সেই সুবিধা নেই। টার্মিনাল ও ল্যাগেজ ফ্যাসিলিটি বাড়ানো হলে যাত্রীরা বিমানকে বেছে নিবে।’ অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোর কারিগরি ও অবকাঠামো সক্ষমতা বাড়াতে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে জানায় বেবিচক কর্তৃপক্ষ। বেবিচকের ফ্লাইট সেফটি পরিচালক উইং কমান্ডার চৌধুরী জিয়াউল কবির বলেন, ‘কক্সবাজার যশোরে কাজ দ্রুত হচ্ছে। নতুন ভবনসহ রানওয়ের কাজ নেভিগেশনের কাজসহ প্রযুক্তিগত আপগ্রেড হচ্ছে। খুব দ্রুত এই কাজগুলো এগুচ্ছে। যাতে যাত্রী বৃদ্ধির কাজ সহজে করা যায়।’ বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সাতটি রুটে সরকারী বেসরকারী মিলিয়ে সব বিমান সংস্থার প্রতিদিন গড়ে ১৯২টি ফ্লাইট চলাচল করে। আর যাত্রী ভ্রমণে করে প্রায় ১০ হাজার।
×