ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অবজারভারে লেখা নিবন্ধে দাবি

দ্বিতীয় ব্রেক্সিট গণভোট চাই ॥ লন্ডন মেয়র

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 দ্বিতীয় ব্রেক্সিট গণভোট চাই ॥ লন্ডন মেয়র

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান দ্বিতীয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) গণভোটের আহ্বান জানিয়েছেন। রবিবার প্রকাশিত অবজারভারে লেখা এক নিবন্ধে তিনি এ দাবি জানান। ইইউর সঙ্গে ব্রেক্সিট আলোচনায় সরকারের অবস্থানেরও সমালোচনা করেছেন তিনি। খবর বিবিসির। লেবার পার্টির রাজনীতিবিদ সাদিক খান বলেন, ইইউ ছাড়ার জন্য ব্রিটেনের হাতে আর মাত্র ছয় মাস সময় আছে। এর মধ্যেই ব্রিটেনকে হয় একটি খারাপ চুক্তি অথবা কোন চুক্তি ছাড়াই ইইউ ত্যাগ করার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন, দ্বিতীয় গণভোট হবে আমাদের গণতন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। সাবেক টুটিং এমপি বলেছেন, যদিও তিনি ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন পরে তিনি ব্রিটিশ জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী ইইউ ছাড়ার ইচ্ছা মেনে নিয়েছিলেন। তাই তার কাছ থেকে দ্বিতীয় গণভোটের আহ্বান প্রত্যাশা করা যায় না। তবে আলোচনার প্রধান বিষয়গুলো নিয়ে ক্রমবর্ধমান আতঙ্কজন পরিস্থিতিতে বিভ্রান্তি ও বিলম্বিত হওয়া নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ২০১৯ সালের মার্চ মাসের আগে ইইউর সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়া নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের সময় দ্রুতই ফুরিয়ে যাচ্ছে। সাদিক খান বলেন, যুক্তরাজ্যের সামনে দুটি অবিশ্বাস্য ঝুঁকিপূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। এই উভয় পরিস্থিতিতে গণভোটের প্রচারের সময় প্রতিশ্রুতি থেকে সরকার বহু দূরে অবস্থান করছে। শুধু আবার মিথ্যাচার করে ও অবিশ্বাস বিকিয়ে দিয়ে জনগণকে ধোঁকা দেয়া হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি না টেরেসা মেকে ব্রিটিশ অর্থনীতি ও জনগণের জীবনযাত্রার সঙ্গে বাগাড়ম্বরপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নিতে ম্যান্ডেট দেয়া হয়েছে। জুলাইতে সাদিক খান বিবিসির এ্যান্ডু মার শোতে বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যদি পার্লামেন্ট সরকারের চূড়ান্ত ব্রেক্সিট চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেয় তবে ব্রিটিশ জনগণের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পরমর্শ করা উচিত। রবিবার লন্ডন মেয়র বলেন, তিনি এখন মনে করেন, জনগণকে শেষ কথা বলার সুযোগ অবশ্যই দিতে হবে। এর অর্থ হলো সরকার গৃহীত যেকোন ব্রেক্সিট চুক্তিতে জনসাধারণের ভোটের মাধ্যমে গৃহীত হওয়া উচিত। যদি কোন একটি সুরক্ষিত না হয় তবে ব্রেক্সিটে কোন চুক্তি হবে না। সেই সঙ্গে ইইউতে থাকার ক্ষেত্রে বিকল্প চুক্তিও থাকতে হবে। এ মাসের শুরুতে সানডে টেলিগ্রাফে লেখা এক নিবন্ধে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মে জানান, সরকার অপর একটি গণভোট দিতে পারবে না। এই প্রশ্ন আবারও জিজ্ঞাসা করা আমাদের গণতন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে এবং সেই বিশ্বাসের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। যাই হোক সাদিক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার নিজের দলের মধ্যে ব্রেক্সিটের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ইইউর সঙ্গে চুক্তিতে একমত হওয়া তো অনেক দূরের বিষয়। সরকারের ব্রেক্সিট কৌশল নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের কথা উল্লেখ করে ও চেকার্স পরিকল্পনা নিয়ে সন্দেহ জানিয়ে লন্ডন মেয়র বলেন, জনসাধারণের জন্য ভাল কিছু করার চেয়ে জনসনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে এই বিতর্ক আরও বেশি হয়ে উঠেছে। এদিকে সানডে টাইমসে প্রকাশিত ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডোমিনিক রাবকে লেখা এক চিঠিতে ছায়া ব্রেক্সিটমন্ত্রী সার কেয়ার স্টারমার সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, লেবার এমপিরা দেশের মধ্যে একটি ‘অন্ধ ব্রেক্সিটে’ ভোট দেয়ার মাধ্যমে সরকারের জোর প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে। লেবার পার্টির নীতি হচ্ছে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইইউ গণভোটের ফলকে সম্মান জানানো।
×